সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম - সোনালী ব্যাংক একাউন্ট চেক
সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোনপ্রিয় পাঠক, আপনি কি সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে চাচ্ছেন? অথবা আপনি
কি সোনালী ব্যাংক একাউন্ট চেক করবেন কিভাবে সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে
আপনি এখন সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা সোনালী
ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ও সোনালী ব্যাংক একাউন্ট চেক করবেন কিভাবে সেই
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরেছি।
একটি ব্যাংক একাউন্ট আমাদের সকলের অর্থের জন্যই নিশ্চতা দেয়। আর সেটা যদি হয়
সোনালী ব্যাংকের মতো ব্যাংক তাহলে তো চিন্তাই থাকেন না। তাই আপনি যদি আপনার
অর্থের নিশ্চয়তা নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
এ ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে। কিভাবে খুলবেন তার সকল নিয়ম জানার জন্য অবশ্যই শেষ
পর্যন্ত পড়তে হবে।
পেজ সচিপত্রঃ
সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সোনালী ব্যাংকে একটি একাউন্ট খোলার জন্য কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। তাই সোনালী
ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জানার পূর্বে কোন কাগজপত্রগুলো দরকার হবে সেই
সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত হবে। না হলে আপনি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে গিয়ে ঝামেলায়
পরতে পারেন। তাই চলুন আমরা প্রথমেই জেনে নেই সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য কি
কি কাগজপত্রে প্রয়োজন হবে।
- যদি সোনালী ব্যাংকে ব্যাক্তিগত একাউন্ট খুলতে হয় তাহলে অবশ্যই নিজের ভোটার আইডি কার্ড/ পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর প্রয়োজন হবে।
- যদি প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হয় তাহলে অবশ্যই ব্যাবসার ট্রেড লাইসেন্স এর প্রয়োজন হবে।
- যার নামে ব্যাংক একাউন্ট হবে তার ২ কপি সদ্য তোলা রঙিন ছবির প্রয়োজন হবে।
- একাউন্টধারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক হতে হবে।
- একজন নমিনি লাগবে।
- নমিনির ভোটার আইডি কার্ড ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
- সেভিংস একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে প্রাথমিক ডিপোজিট হিসেবে নূন্যতম ৫০০ টাকা একাউন্টে রাখতে হবে।
- যদি চলতি হিসেব খুলতে হয় তাহলে প্রাথমিক ডিপোজিট হিসেবে ১৫০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত জমা রাখতে হবে।
উপরের উল্লিখিত এই সকল কাগজপত্রগুলো সেভিংস একাউন্ট এবং চলতি হিসাব দুটি
একাউন্টের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে হলে অবশ্যই এই সকল
কাজপত্রগুলোর প্রয়োজন হবে।
সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে সেগুলো আমরা
ইতিপূর্বে জানতে পেরেছি। ওই পাঠের মধ্যে আমরা জানবো সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার
নিয়ম সম্পর্কে। অর্থাৎ কোন নিয়ম অনুসরণ করে আপনি সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলবেন
সেই সম্পর্কে জানবো। চলুন তাহলে জেনে নেই।
সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট মূলত দুইভাবে খোলা যায়। সেগুলো হলো
- সরাসরি ব্যাংকে ফর্ম জমা দেওয়ার মাধ্যমে
- অনলাইন মাধ্যমে মোবাইল অ্যাপ ব্যাবহার করে
সরাসরি ব্যাংকে ফর্ম জমা দেওয়ার মাধ্যমে ব্যাংক একাউন্ট খুলবেন যেভাবে
সোনালী ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য কিছু কাগজ পত্র ফর্মের সাথে যুক্ত করে
জমা দিতে হবে। সেগুলো হলোঃ
- যার একাউন্ট তার ভোটার আইডি কার্ড/ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ পাসপোর্ট ইত্যাদি
- পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি সদ্য তোলা রঙিন ছবি
- একজন নমিনি
- নমিনির ভোটার আইডি কার্ড
- নমিনির পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি সদ্য তোলা রঙিন ছবি
- ব্যাংক একাউন্ট ফরম
ব্যাংক একাউন্ট খোলার ফরম সঠিকভাবে পূরণ করে উপরের সকল কাগজপত্রগুলো একসাথে
সংগ্রহ করে নিয়ে ব্যাংকের শাখায় গিয়ে জমা দিতে হবে। তবে যদি আপনার এলাকাতে অনেক
বেশি সোনালী ব্যাংকের শাখা থেকে থাকে তাহলে আপনার যেই শাখায় একাউন্ট নিলে সুবিধা
হবে সেই শাখায় চলে যাবেন। যদি সকল কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনার একাউন্ট সাথে
সাথেই খোলা হয়ে যাবে।
মোবাইল অ্যাপ ব্যাবহার করে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
কোন প্রকারের হয়রানি ছাড়া আপনি এখন ঘরে বসে থেকেই সোনালী ব্যাংকের শুধুমাত্র
মোবাইল অ্যাপ দিয়েই একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন। কিভাবে খুলবেন সেই সম্পর্কে
বিস্তারিত জানাবো এই অংশে। চলুন জেনে নেই।
আরো পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন সংশোধন অনলাইন আবেদন
- মোবাইল অ্যাপ দিয়ে সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে আপনাকে মোবাইলের প্লে স্টোরে গিয়ে সার্চ করতে হবে Sonali esheba লিখে। তাহলেই আপনি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। সেটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিতে হবে।
- অ্যাপটি ইনস্টল করার পরে আপনি যখন অ্যাপটিতে প্রবেশ করবেন তখন একটি "ব্যাংক একাউন্ট খুলুন" নামে অপশান পাবেন। ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য সেখানে ক্লিক করতে হবে।
- এখান থেকে প্রথমে আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে আপনি কোন ধরণের ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান। এখানো মোট ৩ টি ক্যাটাগরি পাবেন। সেখান থেকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাংক একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন।
- এরপরে আপনাকে আপনার মোবাইলের একটি সচল নাম্বার প্রদান করতে হবে। এই নাম্বারে একটি OTP কোড পাবেন। সেটি সেখানে বসাতে হবে।
- এরপরে আপনার ফেইস ভেরিফিকেশন করতে বলবে। আর তার জন্য আপনাকে সেলফি তুলতে হবে।
- পরবর্তিতে আপনার জন্ম তারিখ দিতে হবে। (জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ি)
- আপনার জাতীয় পত্রে নাম্বার প্রদান করতে হবে।
- এরপরে আপনাকে আপনার সকল তথ্যগুলো একটি ফর্মের আকারে লিখে লিখে একেক করে সাবমিট করতে হবে।
- আপনার ভোটার আইডি কার্ডের দুইপাশের ছবিই আপনাকে এখানে সাবমিট করতে হবে।
- তারপরে আপনাকে একটি সোনালী ব্যাংকের শাখা নির্বাচন করতে হবে। এখানে থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ি একটি শাখা সিলেক্ট করে নিতে হবে।
যদি এক্ষেত্রে আপনার সকল তথ্যগুলো সঠিক থাকে তাহলে সোনালী ব্যাংক থেকে আপনাকে
একটি এসএমএস করার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার একাউন্টটি সচল করা হয়েছে।
এভাবে অ্যাকাউন্ট সচল হওয়ার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে যেকোনো সময়ে আপনাকে সোনালী
ব্যাংকের শাখায় গিয়ে পরবর্তী যাবতীয় সকল কার্যক্রম গুলো সম্পন্ন করে আসতে হবে।
সোনালী ব্যাংক একাউন্ট চেক
সোনালী ব্যাংকে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে সঠিকভাবে একাউন্ট খোলার
পরে সেই সোনালী ব্যাংক একাউন্ট চেক করে নেওয়ার প্রয়োজন পরে। তবে এই বিষয়ে অনেকেই
জানেন না কিভাবে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট চেক করবেন। তেমনি আপনিও যদি সোনালী ব্যাংক
একাউন্ট খোলার পরে চেক করতে চান তাহলে কিভাবে করবেন চলুন জেনে নেই।
সোনালী ব্যাংক একাউন্ট চেক আপনি দুইভাবে করতে পারবেন। সেগুলো হলোঃ
- মোবাইল ফোনে এসএমএস এর মাধ্যমে
- মোবাইল অ্যাপস ব্যাবহার করে
মোবাইল ফোনে এসএমএস এর মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট চেক করার নিয়ম
আপনি যদি সোনালী ব্যাংকের নতুন একাউন্টটি চেক করতে চান তাহলে নিচের নিয়মগুলো
অনুসরণ করে মেসেজ পাঠিয়ে চেক করতে পারবেন। তার জন্য
- প্রথমে মোবাইলের মেসেজ পাঠানো অপশানে যান
- সেখানে গিয়ে লিখুন SBL <space> BAL
- মেসেজ পাঠিয়ে দিন ২৬৯৬৯ নাম্বারে
- কিছুক্ষণ পরেই যদি আপনার একাউন্ট সচল থাকে তাহলে একটি ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে একাউন্টের ব্যালেন্স জানিয়ে দিবে
মোবাইল অ্যাপস ব্যাবহার করে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম
আপনি যদি মেসেজ পাঠিয়ে একাউন্ট চেক করে সন্তুষ্ট না হন তাহলে আপনি মোবাইল অ্যাপস
ব্যাবহার করেও আপনার সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট চেক করে নিতে পারবেন। কিভাবে করবেন
তার জন্য নিম্নের দেখানো নিয়ম অনুসরণ করুন।
- আপনার স্মার্ট ফোন থেকে প্রথমে গুগল প্লে স্টোরে প্রবেশ করবেন।
- সেখানে গিয়ে সার্চ করবেন Sonali esheba লিখে। তারপরে সেই এপ্লিকেশানটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিবেন।
- ইনস্টল করা হয়ে গেলে অ্যাপসটি ওপেন করে আপনার একাউন্ট লগইন করার জন্য ভোটার আইডি কার্ডের মূল কপির ছবি তুলে আপলোড করতে হবে।
- এরপরে আপনার মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। তারা সেই মোবাইল নাম্বারে একটি OTP কোড পাঠাবে। এই কোডটি সেখানে বসাতে হবে।
- এরপরে আপনার একাউন্টের পাসওয়ার্ড বসিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করলেই আপনার একাউন্ট লগইন হয়ে যাবে।
- তারপরেই এখান থেকে আপনার একাউন্টের সকল কিছু চেক করতে পারবেন। আপনার একাউন্টে বর্তমানে কত টাকা আছে। আপনি কত টাকা লেনদেন করেছেন সকল কিছু এখান থেকেই চেক করে নিতে পারবেন।
সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে সঠিক পদ্ধতিতে একাউন্ট খুলার জন্য অবার
অনেকেই জিজ্ঞেস করে থাকেন সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে? আপনি যদি
সোনালী ব্যাংকের একজন নতুন গ্রাহক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার এই বিষয়ে জানা
উচিত। চলুন তাহলে এবার এই বিষয়েও জেনে নেওয়া যাক।
সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য কোন প্রকার টাকার প্রয়োজন হয় না। তবে আপনি
যখন একাউন্ট খুলবেন তখন এই অ্যাকাউন্ট যদি সঞ্চয়ী একাউন্ট হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে
আপনাকে প্রাথমিক ডিপোজিট হিসেবে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা জমা করতে হবে। যে ৫০০ টাকা
আপনার একাউন্টেই আপনি পেয়ে যাবেন।
আরো পড়ুনঃ নগদ একাউন্ট সমস্যা হলে করণীয় কি
যদি এক্ষেত্রে এই অ্যাকাউন্টটি চলতি হিসাব হয় তাহলে সেক্ষেত্রে ১৫০০ থেকে ৫
হাজার এর মধ্যে আপনি প্রাথমিক ডিপোজিট করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে ব্যাংক কোন
প্রকারের চার্জ কাটবে না। এখানে প্রাথমিক ডিপোজিটের টাকা আপনি আপনার ব্যাংক
একাউন্টের মধ্যে পেয়ে যাবেন। যেই টাকা আপনি যেকোনো সময়ে উত্তোলন করে নিতে
পারবেন।
সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা
সোনালী ব্যাংকের যদি আপনি একটি সেভিংস একাউন্ট খুলেন তাহলে বেশ কিছু সুবিধা
পাবেন। যে সকল সুবিধা অন্য সকল ব্যাংকের থেকে একদমই আলাদা। কোন কোন সুবিধা পাবেন
চলুন তাহলে এই বিষয়ে এখন আমরা জেনে নেই।
- সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম মেনে একটি সেভিংস একাউন্ট খুললে আপনি একটি বিনামূল্যে পেয়ে যাবেন।
- আপনার সেভিংস একাউন্টে আপনি সর্বনিম্ন এক হাজার টাকা পর্যন্ত জমা রাখতে পারবেন।
- এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আপনি যে কোন দেশ থেকে বাংলাদেশের রেমিটেন্স নিতে পারবেন।
- সোনালী ব্যাংকের একটি শাখা থেকে অপর একটি শাখায় খুব সহজে টাকা স্থানান্তর করতে পারবেন।
সোনালী ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খুললে উপরের উল্লেখিত সকল সুবিধা গুলো আপনি তো
পাবেনই তার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু সুবিধা আপনি পেতে পারেন। যে সকল সুবিধা অন্য
সকল ব্যাংকে আপনি নাও পেতে পারেন। তবে আপনি যখন সোনালী ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট
খুলবেন তখন তাদের কাছে থেকে জিজ্ঞেস করে শুনে নিতে হবে এখানে সেভিংস একাউন্ট
খুললে কি কি সুবিধা আপনি পাচ্ছেন। তাহলে আপনি বুঝে যাবেন কত প্রকারের সুবিধা
শুনালে ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট থেকে পাওয়া যায়।
সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ
সোনালী ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট খোলার পরে সেই ব্যাংকের সেভিংস একাউন্টের চার্জ
সম্পর্কে আপনারা অনেকে জানতে চান। এই পাঠের মধ্যে আপনাদের সাথে সোনালী ব্যাংক
সেভিংস একাউন্ট চার্জ সম্পর্কেই বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরব। সোনালী ব্যাংক সেভিংস
একাউন্ট এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের চার্জ কেটে থাকে।
এই চার্জ গ্রাহকের সকল ধরনের কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে আলাদা আলাদা ধরনের চার্জ
কাটা হয়। তবে যে সকল গ্রাহকরা এই ব্যাংকের লেনদেন করতে চান তার পূর্বে অবশ্যই
সোনালী ব্যাংকের চার্জ সম্পর্কে জানাও উচিত। তাহলে আপনি যেকোনো ধরনের
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়িয়ে চলতে সক্ষম হবেন।
আপনি যদি সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক হয়ে থাকেন তাহলে সোনালী ব্যাংকের সেভিংস
একাউন্টের চার্জ কত হতে পারে তার নিয়মে ছকের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো। সেই বিষয়ে
জেনে নিন।
সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত বয়স লাগে?
উত্তরঃ ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য অবশ্যই সর্ব নিম্ন ১৮ বছর বয়স হতে হবে।
প্রশ্নঃ সোনালী ব্যাংকে সর্বনিম্ন কত টাকা রাখা যায়?
উত্তরঃ সোনালী ব্যাংকে সর্বনিম্ন ১০৫০ টাকা পর্যন্ত রাখা যায়।
প্রশ্নঃ সোনালী ব্যাংক কি সরকারি ব্যাংক?
উত্তরঃ হ্যা, সোনালী ব্যাংক হলো রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শীর্ষস্থানীয়
সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক।
প্রশ্নঃ ব্যাংক একাউন্ট খোলার কত দিন পর চেক বই পাওয়া যায়?
উত্তরঃ ব্যাংক একাউন্ট খোলার পরে সর্বনিম্ন ১৫ দিন এবং সর্বোচ্চ ৩০ দিনের
মধ্যেই চেক বই পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা খরচ হয়?
উত্তরঃ ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কোন প্রকারের টাকা চার্জ হয় না। তবে
প্রাথমিক ডিপোজিট হিসেবে ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত রাখতে হয়।
শেষ কথা
আজকের আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ও সোনালী
ব্যাংক একাউন্ট চেক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন। যদি
আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এমন আরো
তথ্যপূর্ণ আর্টিকেল প্রতিদিন পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
পেপারস্পট২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url