আমেল আইডি ভিসা মানে কি বিস্তারিত জানুন
আমেল আইডি ভিসা কাজ কিপ্রিয় পাঠক, আপনি কি আমেল আইডি ভিসা মানে কি সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে
আপনি এখন একদম সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আমেল আইডি
ভিসা মানে কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই জানার জন্য অবশ্যই শেষ
পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলে আমরা আমেল আইডি ভিসা মানে কি, আমেল আইডি ভিসা চেনার
উপায় এবং আমেল আইডি ভিসা নিয়ে আপনাদের সকল ধরণের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া চেষ্টা
করবো। আশা করছি আপনাদের এই আর্টিকেলটি অনেকটাই উপকারে আসবে।
পেজ সূচিপত্রঃ
আমেল আইডি ভিসা মানে কি
আমেল আইডি ভিসা মানে হলো সৌদিতে কাজের জন্য একটি শনাক্তরণ নাম্বার বা আইডি। এটিকে মূলত কোন প্রকৃত ভিসা বলা হয় না। বরং এটি হলো একটি আইডেন্টিফিকেশান নাম্বার। যেটি প্রদান করে থাকে সৌদি আরবে কর্মজীবি মানুষের জন্য শ্রম মন্ত্রণালয়। আপনাদের জানার ইচ্ছা হলো আমেল আইডি ভিসা মানে কি? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রথমে বলতে
হয় আমেল আইডি ভিসা মূলত কোন একটি নির্দিষ্ট কাজের ভিসা নয়।
এর কারণ হলো এই
ভিসাতে আপনাকে সৌদি আরবের একজন ব্যক্তি নিয়ে যাবেন। তিনি হলেন আপনার মালিক। সৌদি
আরবের ভাষায় মালিককে কফিল বলা হয়। এই ভিসাতে যদি আপনি সৌদি আরব গিয়ে থাকেন
অথবা যেতে চান তাহলে আপনাকে শুধুমাত্র আপনার সেই কফিলে অধীনে কাজ করতে হবে। তিনি আপনাকে যেই কাজের হুকুম করবে আপনি শুধুমাত্র সেই কাজই করতে পারবেন। তার
অনুমতি ব্যতীত আপনি অন্য কোন কাজ করতে পারবেন না।
যদি আপনি তার অনুমতি ছাড়া এমন
ধরনের কাজ করেন তাহলে সে আইনানুর ব্যবস্থা নিতে পারবেন। আপনার সকল প্রকারের
দায়িত্ব তিনি একমাত্র গ্রহণ করেছেন। আপনার সকল বিষয়ে যেমন দেখাশোনার দায়িত্ব
তার। তেমনি করে আপনিও শুধুমাত্র তার হুকুমের গোলাম। এই ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরব গিয়ে যদি আপনাকে কঠিন অনুমতি দেয় অন্য কোন কাজ করার
তাহলে আপনি কেবলমাত্র সেই কাজই করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি
আর এই কাজের জন্য কফিলকে কিছু টাকা
পারিশ্রমিক দিতে হবে। যেটা সৌদি আরবের ভাষায় রিয়াল বলা হয়। এই ভিসার মাধ্যমে
যেতে খরচ হয়ে থাকে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকার সমপরিমাণ।
তবে এই ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরব গেলে এই ভিসা আপনাকে প্রতিবছর ইকামা করে নিতে হবে।
যদি আপনার কফিল ভালো হয় তাহলে তিনি আপনার ভিসার জন্য ইকামা করে দেবে।
আর যদি
আপনি নিজে এই ভিসার জন্য ইকামা করতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ১০ হাজার
রিয়াল থেকে ১৫ হাজার রিয়াল পর্যন্ত। আপনি যদি কোকিলের থেকে অনুমতি নিয়ে অন্য কোন কাজ করতে যান তাহলে অবশ্যই তার জন্য
আপনার প্রোফাইল কে কিছু টাকা ফায়দা দিতে হবে। তবে এটা নির্দিষ্ট নয়। আপনি যত
টাকা ইনকাম করবেন কত টাকার উপরে প্রতি মাসে কিছু টাকা আপনার প্রোফাইল কে ফায়দা
দিতে হবে। তাহলে তিনি আপনাকে অন্য কোন কাজের জন্য অনুমতি দিবেন।
আমেল আইডি ভিসা চেনার উপায়
আমরা তো সকলেই ইতিপূর্বে আমেল আইডি ভিসা মানে কি সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আশা
করছি আপনি এই সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। আজকের এই আর্টিকেলে এই অংশের
মধ্যে আমরা জানবো আমেল আইডি ভিসা চেনার উপায় সম্পর্কে। কেননা যদি আপনি ভিসা না
চেনেন তাহলে অন্য কোন ভিসাতে আপনি চলে যেতে পারেন। তাই চলুন এটি কিভাবে চিনবেন
সেটি জেনে নেওয়া যাক।
আমেল আইডি ভিসা আপনি যখন হাতে পাবেন তখন এখানে দেখতে পাবেন সম্পূর্ণ মাসের কথা
উল্লেখ করা রয়েছে। যার অর্থ হলো আপনি প্রতি মাসের ৩০ দিনই কাজ করতে পারবেন।
আপনার এই কাজের ক্ষেত্রে কোন ধরা বাধা নিয়ম থাকবে না। সম্পূর্ণ মাস কাজ করার
জন্য এবং একাধিক কাজ করার জন্য এই ভিসাতে পারমিশন দেওয়া থাকবে।
তবে এক্ষেত্রে একটি কথা উল্লেখ করা লাগে যে এই ভিসাতে আপনার একজন কফিল থাকবে।
তিনি মূলত আপনাকে নিয়ে যাচ্ছেন সেখানে। আপনার সকল দেখাশোনার দায়িত্বভার তিনিই
গ্রহণ করবেন। তিনি আপনাকে যে কাজগুলো করতে বলবেন সেই কাজগুলো আপনি করতে পারবেন।
বলতে পারেন এটাই আপনার কোম্পানি। এই কাজগুলো করার পাশাপাশি আপনি তার কাজ শেষ হলে
ওভারটাইম হিসেবে অন্য কোন স্থানের কাজ করতে পারেন।
যেদিকে পার্ট টাইম ডিউটি বলা হয়। মূলত এটাই হল আমেল আইডি ভিসার সব থেকে বড়
সুবিধা। যদি আপনি এই সুবিধাটি কাজে লাগাতে পারেন তাহলে আপনি প্রতি মাসে একটি
নির্দিষ্ট বেতনের কাজের পাশাপাশি পার্ট টাইম ডিউটি করে আরও অতিরিক্ত কিছু টাকা
উপার্জন করতে পারবেন। যেটা আপনার জন্য অনেকটাই হেল্পফুল হবে। আশা করছি আপনাকে এই
বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি।
আমেল আইডি ভিসা দাম কত
আমরা তো সকলেই আমেল আইডি ভিসা মানে কি তার পাশাপাশি এই ভিসা চেনার উপায়
সম্পর্কেও ইতিপূর্বে জানতে পেরেছিলেন। এই পাঠের মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো আমেল
আইডি ভিসা দাম কত টাকা। আপনি যদি এই ভিসাতে বিদেশ যেতে চান তাহলে অবশ্যই তার জন্য
এই ভিসার দাম সম্পর্কে জানা আপনার উচিত হবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
আমেলাদির ভিসার দাম সৌদি আরবের টাকায় ২৫০০ রিয়াল। যেটা বাংলাদেশী টাকায়
দাঁড়ায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকার সমপরিমাণ। তবে এই ভিসা নেওয়ার
ক্ষেত্রে যেহেতু অনেক ধরনের প্রসেসিং এর কারণে এবং বিভিন্ন দালাল পক্ষের ঝামেলায়
পড়তে হয় সেহেতু বাংলাদেশী টাকায় এই ভিসার বর্তমান মূল্য দাড়ায় পাঁচ লক্ষ
টাকার সমপরিমাণ।
দালালের মাধ্যমে এই ভিসাটি নেওয়ার ক্ষেত্রে এই ভিসার দাম অনেকটাই বেড়ে যায়।
আবার এই ভিসার দাম বৃদ্ধি পাওয়ার একটি কারণ হলো সৌদি আরবের এজেন্সির কাছে বারবার
ভিসার অনুমতি পত্র বা কাগজ পাঠানো জন্য। অনেক সময় দেখা যায় ভিসার জন্য অথবা
বিভিন্ন আদার্স কারণে এই আমেল আইডি ভিসার দাম ৫ লক্ষ টাকার থেকেও আরো অনেক বৃদ্ধি
পেয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ দুবাই জব ফর বাংলাদেশী
তাই আমরা আজকের এই পাঠে এই ভিসার সম্পর্কে সম্পূর্ণ মূল্য হিসাব করে তুলে ধরেছে।
যাতে করে আপনার বুঝতে সুবিধা হয়। এবং আপনি যেন এই ভিসা নেওয়ার আগে সেই টাকাগুলো
আপনি রেডি করে রাখতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে বলতে হয় যদি আপনি শুধুমাত্র সৌদি
আরবের ধার্য করা টাকার উপরে নজর দেন তাহলে এটি আপনি বুঝতে পারবেন না। কারণ এই
ভিসা বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসে। তারপরে এটি আপনার হাতে পৌঁছায়। তাই
এই ভিসার দাম অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়ে যায়।
আমেল আইডি ভিসা সুবিধা কি
আমেল আইডি ভিসা মানে কি এটি তো জানলাম। এখন অনেকেই এই আমেল আইডি ভিসার সুবিধা
গুলো কি রয়েছে সেই সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকেন। অবশ্যই এই বিষয়ে সকলের জানা
উচিত। আমেল আইডি ভিসা হল এমন একটি ভিসা যেই ভিসার মাধ্যমে কর্মীগণকে সাধারণ কর্মী
হিসেবে সৌদি আরবের নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরে সেখানে যেকোনো একজন মালিকানাধীন
হিসেবে তাকে বিভিন্ন কাজ করার পারমিশন দেওয়া হয়।
এই কাজ করার অনুমতি পত্র আগে একদম উন্মুক্ত করা ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে এখন
এরিয়ার উন্মুক্ত করা নেই। তাই আপনি যেই ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে যাবেন শুধুমাত্র
সেই ভিসার উল্লেখিত কাজের জন্য আপনি কাজ করতে পারবেন। এছাড়া এখানে প্রতিনিয়ত
পুলিশ চেকিং করা হয়। তাই আপনি যদি কোন প্রকার ঝামেলায় পড়তে না চান তাহলে
অবশ্যই ভিসায় উল্লেখিত কাজগুলোই আপনাকে করতে হবে।
আমেল আইডি ভিসার সব থেকে বড় সুবিধা হলো এখানে আপনি কাজের পাশাপাশি ফ্রিতে থাকতে
পারবেন। পূর্বে এই ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরব গেলে সৌদি আরবের যেকোনো জায়গায়
ফ্রিতে যাতয়াত করার সুবিধাটি দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই সুবিধাটি এখন
আর নেই। তবে আপনি যদি চান তাহলে সেখানে আপনার কাজের পাশাপাশি কিছু একটা ছোটখাটো
কাজ ওভারটাইম হিসেবে করতে পারেন।
তবে আপনি যদি মনে করেন যে সেখানে গিয়ে এই ভিসার মাধ্যমেই আপনি পরবর্তী সময়ে
বিভিন্ন ধরনের কনস্ট্রাকশনের কাজ অথবা হোটেলের কাজ করবেন তাহলে আপনি একদমই ভুল
করবেন। কারণ এই ভিসার ক্ষেত্রে এই কাজগুলো করার জন্য বিধি নিষেধ রয়েছে। কারণ এই
ভিসার মাধ্যমে শুধুমাত্র একটি কাজের জন্যই আপনাকে পার্মানেন্ট চুক্তিবদ্ধ করা
হয়। আপনি যদি সেই কাজটি না করেন তাহলে আপনি বাকি সকল সুবিধা গুলো ভোগ করতে
পারবেন না।
আমেল আইডি ভিসা অসুবিধা। আমেল আইডি ভিসা মানে কি
আমেল আইডি ভিসার সুবিধাগুলো আমরা ইতিপূর্বে জানতে পেরেছি। তবে এই ভিসার যেমন
সুবিধা রয়েছে তেমনি রয়েছে এর বেশ কিছু অসুবিধাও। কারণ যেই জিনিসের সুবিধা থাকবে
তার পাশাপাশি এর বিপরীত হিসেবে এর অসুবিধা গুলো থাকবে। আর এটাই হল একটি স্বাভাবিক
প্রক্রিয়া। চলুন তাহলে এই পাঠের মাধ্যমে আমরা জেনে নেই আমেইল আইডি ভিসার অসুবিধা
গুলো কি কি।
আমিল আইডির ভিসার সব থেকে বড় যে অসুবিধাটি রয়েছে সেটি হল যেকোন সময়ে আপনার
ভিসার ইকামা করতে হতে পারে। আর এই ইকামা করার জন্যই আপনাকে প্রতিবার অনেক খরচের
সম্মুখীন হতে হবে। আপনাদের মধ্যে এমন অনেকে চিন্তাভাবনা করেন তারা আমেল আইডি
ভিসার মাধ্যমে গিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করবেন। তাই কোন উপকার অসুবিধার কথা চিন্তা
ভাবনা না করেই তারা বিদেশ চলে যান।
আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট অফিসের মোবাইল নাম্বার
তাই আপনি যদি এই ভিসার মাধ্যমে কাজে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে হিসাব করে
তারপরে কাজে যেতে হবে। তবে আপনি যেই ভিসার মাধ্যমে বিদেশ যান না কেন সেই ভিসার
কোম্পানির সম্পর্কে সবার আগে জেনে নেওয়া আপনার জন্য উত্তম হবে। এক্ষেত্রে আপনার
যদি কিছু এক্সট্রা অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারবেন এবং
অনেক ভালো বেতন দিতে পারবেন।
যেমন ধরুন যদি আপনি একজন অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান হয়ে থাকেন তাহলে আপনি সৌদি আরব
গিয়ে বিভিন্ন কোম্পানি অনুযায়ী সেখানে কাজ করতে পারেন। সেই কাজের পাশাপাশি আপনি
কিছু ওভারটাইম কালো করতে পারবেন। তাই বুঝেশুনে আপনি যদি একটি ভালো ভিসা নিয়ে
সৌদি আরব যেতে পারেন তাহলে আপনি অনেক ভাল পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে
অবশ্যই এদিকে খেয়াল রাখতে হবে ভিসা নেওয়ার ক্ষেত্রে যেন আপনি কোন প্রকার
দালালের খপ্পরে না পরেন।
সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার ও কিকি
আমরা সকলেই এখন আমেল আইডি ভিসা মানে কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানি। এখন অনেকেই
জানতে চেয়ে থাকেন সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার ও কিকি সেই সম্পর্কে। তেমনি আপনিও যদি
এই সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকেন চলুন তাহলে এই পাঠের মাধ্যমে এই সম্পর্কে জেনে
নেওয়া যাক।
বর্তমান সময়ে সৌদি আরবের কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ভিসা পাওয়া যায়। সেই
সকল ভিসা গুলোর নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
- সৌদি আমেল আইডি ভিসা
- সৌদি আরব সুপার মার্কেট ভিসা
- সৌদি আমেল মঞ্জিল ভিসা
- সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা
- সৌদি আরব মাজরার ভিসা
- সৌদি চাওয়াক খাছ ভিসা
সৌদি আরবের কাজের ক্ষেত্রে উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলো অবলম্বন করে আপনি সৌদি আরব
যেতে পারবেন। বর্তমান সময়ে সৌদি আরব ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নামেও একটি ভিসা চালু
করেছে। যেই ভিসার কাজ হল বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য অন্যান্য দেশ থেকে শ্রমিক
সংগ্রহ করে সৌদি আরব নিয়ে যাওয়া। আপনি চাইলে এই ভিসার মাধ্যমেও সৌদি আরব যেতে
পারেন।
সৌদি ফ্যামিলি ভিসার দাম কত
এখন আমরা সকলেই জানবো সৌদি ফ্যামিলি ভিসার দাম কত সেই সম্পর্কে। কারণ অনেকেই তার
ফ্যামিলি নিয়ে সৌদি আরব যেতে চান। তাই তার জন্য সৌদি ফ্যামিলি ভিসার দাম কত এবং
আমেল আইডি ভিসা মানে কি সেই সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই আপনি যদি এই সম্পর্কে না
জেনে থাকেন তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আরব বিশ্বের মধ্যে সৌদি আরব হলো সব থেকে পবিত্রতম স্থান। তাই বাংলাদেশ থেকে অনেক
মানুষজন এখানে ফ্যামিলি নিয়ে যেতে চান হজ করার উদ্দেশ্যে। আবার অনেকেই সেখানে
তার সম্পূর্ণ ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরতেও যেতে চান। তাই আপনার ফ্যামিলির জন্য সৌদি
আরবের ভিসার কত খরচ করবে সেই সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। তাই এই পাঠের মাধ্যমে আমরা
এই সম্পর্কে আলোচনা করব।
আরো পড়ুনঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন
পূর্বে সৌদি আরবের ফ্যামিলি ভিসার দাম ছিল ২ হাজার রিয়াল। যেটি বর্তমান সময়ে
কমিয়ে নিয়ে করা হয়েছে ১ হাজার ৩০০ রিয়াল। এই ভিসার মাধ্যমে যদি আপনি সৌদি আরব
যেতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৫৮,৪৭৩ টাকা। তবে আপনার অবশ্যই
এক্ষেত্রে মনে রাখা উচিত সৌদি আরবের ফ্যামিলি ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ ৩ মাস
পর্যন্ত হয়ে থাকে।
তাই আপনি যদি সৌদি আরবের ফ্যামিলির সাথে সৌদি আরব যেতে চান তাহলে এক্ষেত্রে ৩
মাসের জন্য আপনার সর্বচ্চ খরচ ১ লক্ষ বিশ২০ হাজার টাকা অথবা তার কম বেশি হতে
পারে। তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণটাই নির্ভর করে আপনার নিজের খরচের উপরে। আশা করছি
আপনি এই বিষয়ে বুঝতে পেরেছেন।
আমেল আইডি ভিসা মানে কি সেই সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ ভিসার আবেদন করতে কত টাকা লাগে?
উত্তরঃ বর্তমানে সবথেকে সাধারণ একটি ভিসা অ-অভিবাসী ভিসার জন্য আবেদন ফি
হল US$185।
প্রশ্নঃ ভিসা দাম কত?
উত্তরঃ ভিসার দাম মূলত নির্ভর করে আপনি কোন ধরণের ভিসা নিতে চাচ্ছেন তার
ওপর। আপনি যেমন ধরণের ভিসা নিবেন যেমন কোয়ালিটি সম্পন্ন ভিসা নিবেন ঠিক তেমনই
আপনার ভিসার খরচ হবে।
প্রশ্নঃ সৌদি আরবে সর্ব নিম্ন বেতন কত?
উত্তরঃ বর্তমান সময়ে সৌদি আরবের সর্বনিম্ন বেতন রাখা হয়েছে ১৭,৫০০ রিয়াল।
প্রশ্নঃ কত বছর বয়স হলে সৌদি আরব যাওয়া যায়?
উত্তরঃ আপনার বয়স যদি সর্বনিম্ন ১৮ বছর হয় তাহলেই আপনি সৌদি আরব যেতে
পারবেন।
শেষ কথা
আজকের আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা আমেল আইডি ভিসা মানে কি সেই সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার
মাধ্যমে এই সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। যদি আপনার কাছে এই আর্টিকেলটি ভালো
লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করতে পারেন। এমন আরো তথ্যবহুল
আর্টিকেল প্রতিদিন পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
পেপারস্পট২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url