দুবাই জব ফর বাংলাদেশী - দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি

পাসপোর্ট অফিসের মোবাইল নাম্বারপ্রিয় পাঠক, আপনি কি দুবাই জব ফর বাংলাদেশী সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? অথবা আপনি কি দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি এখন একদম সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দুবাই জব ফর বাংলাদেশী সহ আরো অনেক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
দুবাই জব ফর বাংলাদেশী
আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি থেকে আপনি দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি, দুবাই কোন কাজের বেতন কত, দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত, দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত এবংদুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ

দুবাই জব ফর বাংলাদেশী

বাংলাদেশি যে সকল ভাইয়েরা দুবাই যেতে চান তাদের জন্য দুবাই জব ফর বাংলাদেশী সম্পর্কে জানাটা অনেক জরুরি। এছাড়াও যারা দুবাই চাকরির জন্য যেতে চান তাদেরকেও এই সম্পর্কে জানা উচিত। দুবাই শহর হলো অনেক ধনী একটি শহর। এরা ধনী হয়ে উঠেছে এদের ব্যাবসার কারণে। আর এই ব্যাবসার নানান কাজের জন্য অনেক লোকের নিয়োগ দিতে হয়। আর তাই তারা বাংলাদেশ থেকেও লোক নিয়োগ দিয়ে থাকেন।

যদি আপনি দুবাই শহরে চাকরির জন্য খোঁজাখুঁজি করতে চান তাহলে আপনার জন্য সবথেকে সেরা মাধ্যম হবে অনলাইন অথবা ইন্টারনেটের মাধ্যম। বর্তমান সময়ে অনেকগুলো ভালো ভালো প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা অনলাইনে চাকরির জন্য লোক নিয়োগ করে থাকে। কাজে আপনি কিছু অনলাইনে বিশ্বস্ত মাধ্যমগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে দুবাই শহরে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

তবে আপনি যখন দুবাইয়ে চাকরির জন্য আবেদন করতে যাবেন তখন অবশ্যই আপনাকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সংগ্রহ করে রাখতে হবে। যার মধ্যে প্রথমটি হল একটি ইমেইল ঠিকানা। আর এই ইমেইল ঠিকানা অনলাইনের যেকোন প্ল্যাটফর্মে আবেদন করতে গেলে প্রয়োজন হবে। এছাড়াও আপনাকে পূর্ববর্তী একটি সিভি CV তৈরি করে রাখতে হবে। সেখানে আপনার সম্পর্কে সকল কিছু উল্লেখ করা থাকবে। আপনি কোন কাজে দক্ষ এবং কোন কাজগুলো সব থেকে বেশি পারেন সেগুলো সম্পর্কে উল্লেখ করে থাকবে।
দুবাই জব ফর বাংলাদেশী এর জন্য যে সকল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সার্কুলার ছাড়া হয় সেগুলো আপনাকে প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখা উচিত। এই সকল ওয়েবসাইট গুলো ব্যবহার করে আপনি ভালো পোস্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। দুবাইয়ে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে একটু এগিয়ে থাকার জন্য এখানে একটু করে একাউন্ট তৈরি করে নিয়ে সেখানে আপনার সিভি আপলোড করে রাখতে পারেন।

দুবাইয়ে চাকরির আবেদন করা যায় এমন কিছু ওয়েবসাইট গুলোর নাম নিচে উল্লেখ করা হলো। আপনি যদি দুবাই শহরে চাকরি পেতে চান তাহলে এই সকল ওয়েবসাইটগুলো নিয়মিত ভিজিট করুন। চলুন তাহলে সেই সকল ওয়েবসাইট গুলো কোনগুলো সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
উপরের তালিকায় আপনারা যে সকল ওয়েবসাইটের নাম গুলো দেখতে পাচ্ছেন এ সকল ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং দুবাই শহরে চাকরির জন্য সন্ধান করতে পারবেন। আর দুবাই শহরে চাকরির জন্য এই সকল ওয়েবসাইট গুলো অনেক জনপ্রিয়। এই সকল ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে সেই সকল প্রতিষ্ঠানগুলো সার্কুলার প্রদান করে যে সকল প্রতিষ্ঠানে অনেক বড়।

তাই আপনি যদি দুবাই শহরে কাজের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে এই সকল ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে একটি করে অ্যাকাউন্ট খুলে আবেদন করতে পারেন। তার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে সেখানে কাজ পেতে পারেন। তাই এক্ষেত্রে অবশ্যই চেষ্টা করবেন যে কোন প্রকার থার্ড পার্টি তোমার দালাল চক্রের ভিতরে না পড়ার। কাজে নিজে নিজে আবেদন করুন।

দুবাই শহরের চাকরির জন্য অনলাইনের মাধ্যমে চাকরি খোঁজাই হলো আপনার প্রথম উৎসব। এর জন্য আপনি এসকল ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করে দুবাই শহরে চাকরি খুজে যেতে পারেন। তবে এছাড়াও আরো অনেক নানান ধরনের চাকরি সন্ধান করার উপায় রয়েছে। তবে আপনার যদি সেখানে বিশ্বস্ত লোক থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। আপনি তাদের সহায়তা নিয়েও দুবাই চাকরি খুঁজে পেতে পারে।

দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি

বাংলাদেশি ভাইয়েরা দুবাই জব ফর বাংলাদেশী এই সম্পর্কে জানার পরেই জানতে চান দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি আছে। আপনিও যদি এমন দুবাই শহরে যেতে চান কাজের জন্য তাহলে অবশ্যই আপনার উচিত হবে এই সম্পর্কে জানার পরে সেই কাজের জন্য দক্ষতা অর্জন করে তারপরে সেখানে কাজে যাওয়া। তাহলে চলুন এখন আমরা জেনে নেই দুবাই শহরে কোন সকল কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি রয়েছে।
দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি
বর্তমান সময়ে দুবাই কাজ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। তবে বাংলাদেশের যে সকল ভাইয়েরা দুবাই শহরে যেতে চায় কিন্তু তারা জানেন না কোন সকল কাজের ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি তাদের জন্য এই পার্টটি সবথেকে বেশি হেল্পফুল হবে। কারণ যে সকল কাজের চাহিদা দুবাই শহরে সব থেকে বেশি পরিমাণে রয়েছে সেই সকল কাজের দক্ষতা অর্জন করে আপনি সেখানে যান তাহলে আপনি অনেক ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

দুবাই এ বিভিন্ন ধরণের কাজ রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে সবথেকে চাহিদা সম্পন্ন কাজগুলো হলো
  • ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজ
  • কনস্ট্রাকশন
  • ওয়েল্ডিং
  • ড্রাইভিং
  • প্লাম্বিং
  • হোটেল বয়
উপরের উল্লেখিত এই সকল কাজে চাহিদা অনেক বেশি হওয়ায় এ সকল কাজের ক্ষেত্রে অনেক ভাল পরিমাণে বেতন পাওয়া যায়। দুবাই এমন একটি দেশ যেই দেশে সরকারি কোষাগার হতে সবথেকে বেশি পরিমাণে বেতন প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে যে সকল ব্যক্তিগণ ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার অথবা হিসাব রক্ষক রয়েছেন তাদের এই সকল কাজের জন্য বেতন অনেক বেশি পরিমাণে দেওয়া হয়।

তবে আপনি যদি এই সকল কাজে না হন তাহলে আপনি উপরের উল্লেখিত কাজগুলোর উপর দক্ষতা অর্জন করে তারপরে যেতে পারে। আপনি যদি এখান থেকে দুবাই শহরের ড্রাইভিং ভিসার কাজেও যান তাহলে সে ক্ষেত্রেও আপনার প্রতি মাসে বেতন হবে ৬০ হাজার টাকার উপরে। প্রথম অবস্থায় অবশ্যই আপনি সর্বনিম্ন ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পাবেন। আস্তে আস্তে আপনার কাজের যত চাহিদা বৃদ্ধি পাবে কাজের উপর যত দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে তত আপনার বেতন বৃদ্ধি পাবে।

দুবাই কোন কাজের বেতন কত

ইতিপূর্বে তো আমরা সকলেই দুবাই জব ফর বাংলাদেশী এবং দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি সেই সম্পর্কে জানতে পারলাম। এই পাঠের মধ্যমে আমরা জানতে চলেছি দুবাই কোন কাজের বেতন কত সেই সম্পর্কে। আর এই বিষয়ে জানার জন্য অনেকেই আগ্রহি হয়ে থাকেন। এর কারণ হলো আমরা একটি কাজ করছি সেই কাজের জন্য আমাকে বেতন কত প্রদান করা হবে সেই সম্পর্কে অবশ্যই জানা উচিত। তাহলে চলুন এখন আমরা জেনে নেই।

ইলেকট্রিশিয়ানঃ দুবাই শহরের যে সকল কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি রয়েছে তার মধ্যে ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজের চাহিদা অনেকটাই বেশি। এই কাজের ক্ষেত্রে অনেক ভালো পরিমাণে বেতন পাওয়া যায়। যেখানে বেতন হয় সর্বনিম্ন ৭০ হাজার টাকা থেকে শুরু। সর্বোচ্চ আপনি যতদিন কাজ করবেন আপনার কাজের দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনার বেতন বৃদ্ধি পাবে।

প্লাম্বিংঃ আপনি যদি প্লাম্বিং এর কাজ অর্থাৎ পাইপ লাইনের কাজ ভালো পরিমাণে জানেন এবং সেই বিষয়ে অধিক দক্ষ থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার বেতন প্রতিমাসের সর্বনিম্ন ৭০ হাজার টাকা হতে সর্বোচ্চ ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তাই প্রথম অবস্থায় আপনার বেতন কিছুটা কম থাকবে। আস্তে আস্তে আপনার কাজের দক্ষতার সাথে সাথে আপনার বেতন বৃদ্ধি পাবে।

ড্রাইভিংঃ দুবাই শহরে যদি আপনি ড্রাইভিং এর কাজের জন্যও যান তাহলেও সেক্ষেত্রে আপনি বেতন পাবেন ৬০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
কন্সট্রাকশনঃ যারা অন্য সকল কাজ জানেন না কিন্তু কন্সট্রাকশন এর কাজ জানেন তাদের ক্ষেত্রেও এখানে অনেক ভালো পরিমাণে বেতন পাওয়া যায়। আপনি এখান থেকেও সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন। শুরুতে বেতনের পরিমাণ কম হলেও পরবর্তিতে আস্তে আস্তে সেই বেতন বৃদ্ধি পাবে।

হোটেল বয়ঃ যারা হোটেলের কাজ করেন এবং সার্ভিসিং ভালো পরিমাণে যেতে পারেন তাদের ক্ষেত্রে হোটেলের কাজের বেতন ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু হবে। তবে এই হোটেলের কাজের ক্ষেত্রে একটি সবথেকে বড় বেনিফিট হল এখানে অনেক ভালো পরিমাণে টিপস পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি এখানে ওভারটাইম করারও সুযোগ রয়েছে।

দুবাই কোম্পানির সকল কাজের কথা জানার পরেও এখানে একটি কথা না বললেই নয় দুবাই শহরের কাজের জন্য আপনি যখন যাবেন সেখানে শহরের ভেতর প্রদান করা হয় ৩০ হাজার টাকা। এর নিচে আপনাকে কেউ বেতন দিতে পারবে না। কারণ এটা সরকারি ভাবে দুবাই শহরের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। আশা করছি আপনি এখন দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা বুঝতে পেরেছেন।

দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত

দুবাই জব ফর বাংলাদেশীদের জন্য দুবাই এর হোটের এর ভিসা অনেক ভালো। তাই যারা এখানে কাজে যেতে চান তাদেরকে অবশ্যই দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত সেই সম্পর্কে জানা উচিত। আর এছাড়াও অনেকেই এই সম্পর্কে জানতে চান। তাই চলুন আর বেশি দেরি না করে বিস্তারিত আলোচনা জেনে নেওয়া যাক।
দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত
দুবাই বিভিন্ন ধরনের হোটেল রয়েছে। আর এই হোটেল গুলোতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়। যেহেতু বিভিন্ন ক্যাটাগরির লোক নিয়োগ দেওয়া হয় সেহেতু ক্যাটাগরির কাজের ভিত্তিতে বেদনা আলাদা করা হয়। যারা দুবাই হোটেলের ক্লিনারের কাজ করবেন তাদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বেতন হবে 35 হাজার টাকা। এছাড়া সর্বোচ্চ বেতন কত সেটা এখনো সঠিক করে বলা যায় না। কারণ কাজের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে আস্তে আস্তে বেতন বৃদ্ধি পেতে থাকে।

যে সকল ব্যক্তিগণ উন্নত মানের হোটেলে ওয়েটারের কাজ পান তাদের ক্ষেত্রে বেতন হয়ে থাকে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এবং যারা হোটেলে রাধুনীর কাজ করবেন তাদের ক্ষেত্রে বেতন একটু বেশি। তাদের বেতন শুরু হয় ৮০ হাজার টাকা থেকে। প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের বেতন ৮০ হাজার ৯০ হাজার টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।

এছাড়াও দুবাই হোটেলের রুম সার্ভিসিং এর কাজও রয়েছে। যারা এই রুম সার্ভিসিং এর কাজ করেন তাদের সর্বনিম্ন বেতন ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়। এছাড়াও এদের সবথেকে বড় সুবিধা হল এখানে ঘুরতে আসা টুরিস্টদের কাছে থেকে তারা বোনাস পেয়ে থাকেন। যেটাকে তারা টিপস হিসেবে বলেন। এছাড়াও আপনি হোটেলের কাজের জন্য এ সকল কাজের ক্ষেত্রে ওভারটাইম করার সুযোগ পাবেন। আশা করছি আপনি এখন এই সকল বিষয়ে বুঝতে পেরেছেন।

দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত

বাংলাদেশের প্রবাসী ভাইদের জন্য দুবাই জব ফর বাংলাদেশী এর মধ্যে দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত এই সম্পর্কে জানা উচিত। কারণ অনেকেই রয়েছেন যারা দুবাই শহরে আছেন কিন্তু তারা জানেন না তাদের কাজের আসল মূল বেতন কত। আবার এমন অনেকেই রয়েছেন যারা বাংলাদেশ থেকে দুবাই শহরে যেতে চাচ্ছেন এর ড্রাইভিং কাজের জন্য। তাই অবশ্যই আপনাদেরকে এই সম্পর্কে সতর্ক হওয়া উচিত আপনার কাজের আসল মূল্য দেওয়া হচ্ছে কিনা।
গত কিছু বছরের পরিসংখ্যান গণনা করে সেখান থেকে জানতে পারা যায় দুবাই শহরে দুবাই ড্রাইভিং ভিসার বেতন বাংলাদেশী টাকায় ৯০ হাজার টাকা হতে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া যারা দুবাই শহরে ড্রাইভিং ভিসায় ড্রাইভার এর কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বেতন 70 হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

যারা দুবাই শহরের ভালো পর্যায়ের ড্রাইভিং এর কাজ করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করা হয় ৭০ হাজার টাকা। এছাড়াও তারা এখান থেকে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা প্রতি মাসে বেতন ইনকাম করতে পারেন। তবে এই ক্ষেত্রে একটিমাত্র অসুবিধা হলো আপনি সেখানে যেই লোকের ভিসাতে যাবেন অর্থাৎ যে লোকের কাজে যাবেন শুধুমাত্র তার কাজই করতে হবে। সেই মানুষের অনুমতি ব্যতীত আপনি অন্য কারো কাজ করতে পারবেন না।

দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত

দুবাই জব ফর বাংলাদেশীদের জন্য অনেক ধরণের জব দুবাই এর রয়েছে। আর তাই অনেক মানুষজন প্রতি বছরই দুবাই শহরে যাচ্ছেন বিভিন্ন কাজের জন্য। এখান থেকে এমন অনেক মানুষজনও যান সেখানে কাজের জন্য যাদের কাজের ক্ষেত্রে তেমন একটাই দক্ষতা থাকে না। তবে যারা এমন পরিস্থিতিতেও সেখানে কাজের জন্য যান তাদের জন্য এটা জানা জরুরি হয়ে ওঠে দুবাই গেলে সর্বনিম্ন বেতন কত টাকা হবে।
দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত
আপনারা যারা এই সম্পর্কে জানতে চান তাদের সম্পর্কে বলতে হয় যদি আরব আমিরাতে অর্থাৎ দুবাই আপনি কোন প্রকার কাজের দক্ষতা ছাড়া প্রবেশ করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ধরনের কনস্ট্রাকশনের হেল্পারের কাজ এবং রোড ক্লিনার এর কাজ পাবেন। আপনার যেহেতু কোন প্রকার দক্ষতা নেই তাই সেখানে যাওয়ার পরে আপনাকে যে কোন কাজে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।

আর দক্ষতা না থাকার কারণে আপনার সেই সকল কাজের ক্ষেত্রে বেতন হবে অনেকটাই কম। তবে সেই দেশের সরকার যেহেতু শ্রম আইন মেনে চলেন তাই সে ক্ষেত্রে আপনার বেতন হবে সর্বনিম্ন ৯০০ দিরহাম থেকে ১ হাজার দিরহাম পর্যন্ত। যেটা বাংলাদেশি টাকায় হিসেব করলে আসে ৩০ হাজার টাকার সমতুল্য। পরবর্তীতে আপনার কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে আস্তে আস্তে আপনার বেতনও বৃদ্ধি পাবে।

দুবাই জব ফর বাংলাদেশী সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ দুবাইতে চাকরি পাওয়ার উপায়?
উত্তরঃ দুবাইতে প্রতিবছরই চাকরির মেলা দেওয়া হয়। আপনার যদি সম্ভব হয় তাহলে সেখানে মেলাতে অংশগ্রহণ করুন। এছাড়াও অনলাইন যে সকল প্লার্ট ফর্মে দুবাই চাকরির জন্য লোক নিয়োগ দেওয়া হয় সেখানে চোখ রাখতে পারেন।

প্রশ্নঃ দুবাইতে চাকরি পাওয়া কত কঠিন?
উত্তরঃ দুবাই চাকরির বাজার অনেক প্রতিযোগিতা পূর্ণ। সেখানে নিয়োগকৃত ব্যাক্তি বা কোম্পানি এমন মানুষজনকে খুজছেন যাদের কাজে দক্ষতার পাশাপাশি কাজেরও অনেক ভালো পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। তাই আপনি যদি সঠিক দক্ষতা অর্জন করে সেখনে যান তাহলে আপনার কাজের কোন অভাব হবে না।

প্রশ্নঃ দুবাইতে কি কি চাকরির চাহিদা আছে?
উত্তরঃ দুবাইতে চাকরির চাহিদা রয়েছে এমন বেশ কিছু চাকরি রয়েছে। তার মধ্যে কিছু অন্যতম চাহিদাসম্পন্ন চাকরিগুলো হলো
  • ইলেকট্রিশিয়ান
  • কনস্ট্রাকশন
  • ওয়েল্ডিং
  • ড্রাইভিং
  • প্লাম্বিং
  • হোটেল বয়
প্রশ্নঃ দুবাই যেতে কত টাকা খরচ হয়?
উত্তরঃ এয়ারলাইন্স এর সুবিধার ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরণের এয়ারলাইন্স এর জন্য বিভিন্ন ধরণের খরচ হয়ে থাকে। এয়ারলাইন্সভেদে দুবাই যেতে আসা যাওয়ার খরচ হতে পারে বাংলাদেশি টাকায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

প্রশ্নঃ দুবাইতে কোন দক্ষতার চাহিদা বেশি?
উত্তরঃ দুবাই সাম্প্রতিক সময়ে ডাক্তার, প্রযুক্তি, অর্থ, আতিথেয়তা, স্বাস্থ্যসেবা এবং নির্মাণের ভূমিকাগুলি উচ্চ চাহিদা অর্জন করে রয়েছে।

প্রশ্নঃ ইন্ডিয়ানদের কি দুবাই ভিসা লাগবে?
উত্তরঃ হ্যা, অবশ্যই। আপনি যদি এক দেশ হতে অন্য একটি দেশে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ভিসার প্রয়োজন হবে। সে আপনি বাংলাদেশি হন অথবা ইন্ডিয়ানই হোন না কেনো।

প্রশ্নঃ দুবাই হোটেলে চাকরির বেতন কত?
উত্তরঃ দুবাই হোটেলে বিভিন্ন ধরণের চাকরি রয়েছে। আর এই সকল চাকরির ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা বেতন প্রদান করা হয়। তবে এখানে চাকরির জন্য সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন দেওয়া হয়।

প্রশ্নঃ দুবাই ট্রাক ড্রাইভারের বেতন কত?
উত্তরঃ দুবাই যারা ট্রাক ড্রাইভারের কাজ করবেন তাদের গড় বেতন হলো ১৫,৫০০ দিরহাম।

প্রশ্নঃ দুবাইয়ে সবচেয়ে কম বেতন কত?
উত্তরঃ দুবাই কাজের জন্য সবথেকে কম বেতন যেটি রয়েছে সেটি হলো ৯০০ দিরহাম থেকে ১ হাজার দিরহাম। যেটি বাংলাদেশি টাকায় ৩০ হাজার টাকা।

শেষ কথা

দুবাই জব ফর বাংলাদেশী সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আমাদের মূল আলোচনার বিষয় ছিলো। এর পাশাপাশি আমরা দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি সহ আরো অনেক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে এই সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করতে পারেন। এমন আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পেপারস্পট২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url