অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
কিডনি রোগীর খাবার তালিকাপ্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা আলোচনা করবো অমিডন ট্যাবলেট এর
উপকারিতাগুলো সম্পর্কে। আপনি যদি এই অমিডন ট্যাবলেট সম্পর্কে জেনে না থাকেন অথবা
এর উপকারিতাগুলোও যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক বেশি
হেল্পফুল হবে। কেননা আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা অমিডন ট্যাবলেট এর
উপকারিতাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো।
আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন তাহলে আপনি
অমিডন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম, অমিডন খেলে কি মোটা হয়, অমিডন ট্যাবলেট এর
উপকারিতা, অমিডন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
তাই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকার পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃ
অমিডন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতাগুলো জানার পূর্বে আমাদের সকলকেই অমিডন ট্যাবলেট
খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। তার কারণ হলো এই ট্যাবলেট থেকে প্রয়োজনীয়
উপকার পাওয়ার জন্য সঠিক নিয়মে সেবন করতে হবে। যদি এই ঔষধ আপনি একজন ডাক্তারের
কাছে থেকে নিয়ে থাকেন তাহলে তিনিই আপনাকে এটি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানাবেন। যদি
সেখান থেকে না জানতে পারেন তাহলে নিচের দেওয়ার নিয়ম অনুসরণ করুন।
এই অমিডন ট্যাবলেট ভারি ধরণের খাবার খাওয়ার ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পূর্বে এবং যদি
প্রয়োজন হয় তাহলে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে সেবন করা যেতে পারে। তবে আপনার
চিকিৎসক আপনাকে যেইভাবে সেবন করতে বলবে ঠিক সেইভাবেই সেবন করুন। তাহলেই অনেক ভাল
ফলাফল পাবেন।
অমিডন ট্যাবলেট খাবার খাওয়ার পরের নির্দেশিত মাত্রাঃ
- একজন প্রাপ্ত বয়ষ্ক ব্যাক্তির জন্যঃ ১০-২০ মি.গ্রা. অমিডন ট্যাবলেট দিনে ১ থেকে ২টি প্রতি ৬ থেকে ৮ ঘন্টা অন্তর অন্তর খেতে পারবেন।
- শিশুদের জন্য নির্দেশিত মাত্রাঃ ২-৪ মি.লি. অথবা ০.৪-০.৮ মি.লি. ড্রপস/১০ কি.গ্রা. একজন শিশুর ওজন অনুসারে প্রতি ৬ থেকে ৮ ঘন্টা অন্তর অন্তর খাওয়ানো যাবে।
ডিসপেপটিক সিম্পটম এর জন্য নির্দেশিত মত্রাঃ
- একজন প্রাপ্ত বয়ষ্ক ব্যাক্তির জন্যঃ ১০-২০ মি.গ্রা. অমিডন ট্যাবলেট দিনে ১ থেকে ২টি প্রতি ৬ থেকে ৮ ঘন্টা অন্তর অন্তর খাওয়া যাবে।
- শিশুদের জন্য নির্দেশিত মাত্রাঃ ০.২-০.৪ মি.গ্রা. অথবা ০.৪-০.৮ মি.লি. একজন শিশুর বয়স অনুসারে প্রতি ৬ থেকে ৮ ঘন্টা অন্তর অন্তর খাওয়ানো যাবে।
বমির সমস্যার জন্য (সর্বোচ্চ ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত চিকিৎসাকাল)
- একজন প্রাপ্ত বয়ষ্ক ব্যাক্তির জন্যঃ ২০ মিলিগ্রামের ২টি ট্যাবলেট প্রতি ৬ থেকে ৮ ঘন্টা পর পর খাওয়া যাবে।
- শিশুদের জন্য নির্দেশিত মাত্রাঃ ০.৪-০.৮ মি.গ্রা./কি.গ্রা. (২-৪ মি.লি. সাসপেনশন/১০ কি.গ্রা. অথবা ০.৪-০.৮ মি.গ্রা. ড্রপস/১০ কি.গ্রা.) শিশুর শরীরের ওজন এবং বয়স অনুসারে, প্রতি ৬-৮ ঘণ্টা অন্তর অন্তর খাওয়ানো যাবে।
সাপোজিটরি চিকিৎসার জন্য ব্যাবহারবিধিঃ
- একজন প্রাপ্ত বয়ষ্ক ব্যাক্তির জন্যঃ ৩০ থেকে ৬০ মিলিগ্রামের অমিডন ট্যাবলেট প্রতি ৪ থেকে ৮ ঘন্টা অন্তর অন্তর খাওয়ানো যাবে।
- শিশুদের জন্য নির্দেশিত মাত্রাঃ একটি শিশুর ওজন যদি ১০ থেকে ২৫ কেজি হয় তাহলে তাকে নিয়মিত সর্বাধিক প্রতিদিনের ডোজ হিসেবে ৩০ মিলিগ্রাম ওষধ খাওয়ানো যেতে পারে। তবে প্রয়োজন অনুসারে ডোজটি আলাদা আলাদা করেও দেওয়া যেতে পারে।
এই চিকিৎসার জন্য কিভাবে অমিডন ট্যাবলেট সেবন করতে হবে সেই সম্পর্কে আশা করছি
আপনি এখন সম্পূর্ণ জানতে পেরে গিয়েছেন। তবে আপনাদের জেনে রাখা উচিত এই চিকিৎসার
জন্য আপনার সর্বাধিক সময়কাল হবে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত। এর বেশি সময় ধরে এর চিকিৎসা
গ্রহণ করা উচিত নয়। তবে অবশ্যই আপনাকে এই ঔষধটি একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ি
সেবন করা উচিত হবে।
অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা
আপনি যদি অমিডন ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন তাহলে এর উপকারিতাগুলো জানা উচিত। আর তাই এখন
আমরা সকলেই অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতাগুলো সম্পর্কে জানবো। অমিডন ট্যাবলেট এর
প্রধান উপকারিতার কাজটি হলো এটি আমাদের পেটের পাকস্থলির যাবতীয় সকল ধরণের সমস্যা
থেকে রক্ষা করে। যার মধ্যে একটি হলো বুক জ্বালাপোড়া করা, পেটে অতিরিক্ত ব্যাথা
হওয়া অথবা পেটের ভেতরে ফাপা অনুভুত হওয়া।
এছাড়াও এই অমিডন ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে এটি আমাদের খাবার খাওয়ার সকল ধরণের অরুচি সহ
খাবার হজমের যাবতীয় সকল ধরণের সমস্যার নিরসন করে। এই সকল কাজগুলো ছাড়াও এই অমিডন
ট্যাবলেট আরো বেশ কিছু সমস্যার নিরাময় করে থাকে। সেগুলো হলো
- অল্প পরিমাণে খাবার খাওয়ার ফলেই পেট ভরে যাওয়া
- খাবার খেলেও তার পরপই বদহজম হতে শুরু করা
- খাবার খাওয়ার পরবর্তি সময়ের মধ্যেই ঢেকুর তোলা
- খাবার ঢেকুরের মাধ্যেম উপচে আসা
- বমি বমি ভাব বা বমির সমস্যা
- তিব্র বমিকে প্রতিহত করা
উপরের উল্লিখিত কারণগুলোই অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারতা। যদি এর থেকেও একটু এডভান্স
ভাবে বলা যায় তাহলে বলতে হয়, অমিডন ট্যাবলেট পারকিনসন্স রোগে্র প্রতিশেধক হিসেবে
কাজ করে। এছাড়াও এই ঔষধ রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষাতেও বেরিয়ামের সঞ্চালন ত্বরান্বিত
করার জন্যও ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। যার কারনে অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এই অমিডন
ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
অমিডন খেলে কি মোটা হয়
আমরা সকলেই এখন অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতাগুলো সম্পর্কে খুব ভালোভাবেই জানি। এখন
অনেকেই আবার জানতে চেয়ে থাকেন অমিডন খেলে কি মোটা হয় সেই সম্পর্কে। আপনি যদি এই
সম্পর্কে জেনে না থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার উপকারে আসবে। তার কারণ হলো
এখান থেকেই আপনি জানতে পেরে যাবেন অমিডন খেলে কি মোটা হয় কিনা সেই সম্পর্কে
বিস্তারিত। চলুন জেনে নেই।
ইতিপূর্ব থেকে আমরা সকলেই জানতে পেরেছি এই অমিডন ঔষধটি হলো ডমপেরিডন নামের একটি
কোম্পানির গ্রুপের ঔষধ। এই ঔষধটি একজন ডাক্তার তার রুগিকে সেই সময়ই দিয়ে থাকেন
যখন একজন রোগির বমি বমি ভাব অথবা বমি হয়ে থাকে। অথবা একজন রোগির যখন খাবার খাওয়ার
প্রতি যদি কোন রুচি না থাকে তখন ডাক্তার এই ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
যার ফলে এই ঔষধ খেলে আমাদের খাবারের হজম করতে সহায়তা করে। তার পাশাপাশি আমাদের
খাবার খাওয়ার রুচি ও বৃদ্ধি পায়। যার ফলে অনেক বেশি পরিমাণে এবং ঘন ঘন খাবার
খাওয়ার ইচ্ছা জাগে। আর এই অতিরিক্ত ধরণের খাবার খাওয়ার ফলে আপনি কিছুটা মোটা হলেও
হতে পারেন। এটি নিয়মিত গ্রহণের ফলে খাবার খাওয়ার প্রবণতা কিছুটা বৃদ্ধি পায়।
যার ফলে আপনি কিছুটা হলেও মোটা হতে পারেন। তবে আপনার উদ্দেশ্য যদি হয় এই ঔষধ
খাওয়ার ফলে মোটা হওয়া তাহলে আপনি নিতান্তই ভুল করবেন। আর এটি আপনার জন্য কোনভাবেই
উচিত হবে না। তাই আপনি যখন এই ঔষধটি খাবেন তার পূর্বে অবশ্যই একজন ডাক্তারের
পরামর্শ নিয়ে তারপরে এই ঔষধ খাবেন। আর এটাই আপনার জন্য উচিত হবে।
অমিডন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
আপনি যদি অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতাগুলো জানার পরে এই অমিডন ট্যাবলেটটি খেতে
থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার এই ঔষধের জন্য এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো সম্পর্কেও
জানা উচিত হবে। কারণ সকল কিছুরই অনেকগুলো ভালো দিকের মধ্যে কিছু খারাপ দিকও
রয়েছে। আর সেগুলোই হলো তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই চলুন আজকের এই পাঠ থেকে আমরা
জেনে নেই অমিডন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো সম্পর্কে।
যদি অমিডন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বলতে হয় তাহলে সবার প্রথমেই উঠে আসে
এই ট্যাবলেটটি খেলে রক্তে প্রােল্যাকটিনের মাত্রা অনেক বৃদ্ধি করতে পারে। যার
পরিপেক্ষিতে একজন মহিলার জন্য দুগ্ধ নিঃসরণ এবং স্তনের আকার অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়ে
যেতে পারে। এছাড়াও এটি শরীরের ক্ষতভাব সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও এই অমিডন এর
বেশকিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। সেগুলো হলো
- মুখের শুষ্কতা বৃদ্ধি পেতে পারে
- অতিরিক্ত পরিমাণে পিপাসা লাগতে পারে
- ত্বকের লালচেভাব ও চুলকানীর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে
- নিজেকে নার্ভাস লাগতে পারে
- ঝিমুনী আসতে পারে
- মাথাব্যথা হতে পারে
- পাতলা পায়খানার সৃষ্টি হতে পারে
অমিডন ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে উপরের উল্লিখিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো দেখা দিতে
পারে। তবে এই সকল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো সবার ক্ষেত্রে দেখা নাও যেতে পারে। তবে
এর মধ্যেও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যেগুলো অনেক মারাত্মক আকার ধারণ করতে
পারে। তাই আপনি যদি এই ঔষধ খেয়ে থাকেন তবে আপনার যদি কোন অসুবিধা সৃষ্টি হয় তাহলে
অবশ্যই আপনার উচিত হবে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা।
গর্ভাবস্থায় অমিডন খাওয়া যাবে কিনা
আমরা সকলেই ইতিপূর্বে অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতাগুলো এবং অমিডন এর
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো সম্পর্কেও জানতে পারলাম। এখন অনেক গর্ভবতি মেয়েরা আছেন
তারা জানতে চান গর্ভাবস্থায় অমিডন খাওয়া যাবে কিনা। তেমনি আপনিও যদি একজন
গর্ভবিমি মেয়ে হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার এই বিষয়ে জানা প্রয়োজন। তাই চলুন জেনে
নেওয়া যাক।
যেসকল মেয়ে গর্ভবতি অবস্থায় রয়েছেন তাদের জন্য এই অমিডন ট্যাবলেট নিরাপত্তা জনিত
নয়। তাই এটি একজন গর্ভবতি মহিলার জন্য অনুদিত নয়। তবে এটি একজন চিকিৎসকের পরামর্শ
অনুযায়ি গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে এই ঔষধ সেবনকালে সর্বক্ষণিক একজন চিকিৎসকের
পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত হবে।
যদি একজন গর্ভবতি মহিলা এই ঔষধ সেবন করে তাহলে তার শরীরের গুগ্ধ উৎপাদন অনেকটাই
বৃদ্ধি পেতে পারে। যার ফলে স্তন অনেকটাই বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে যেহেতু এটি
মাতৃদুগ্ধে অনেক কম পরিমাণে নিঃশ্বরিত হয় তাই এটি নতুন সন্তানের জন্য কোণ
প্রকারের ক্ষতির সম্ভাবনা নিয়ে আসে না।
অমিডন ট্যাবলেট এর দাম কত
আপনারা যারা এই অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতাগুলো সম্পর্কে এখন জানেন। তারা নিশ্চই
এখন এই ঔষধটি খেতে চাইবেন। আর তার জন্য আপনার অবশ্যই জানা উচিত হবে অমিডন
ট্যাবলেট এর দাম কত টাকা করে। আপনি যদি এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে চলুন এই পাঠ
থেকে আমরা এক নজরে দেখে নেই।
বর্তমান বাজারে অমিডন ট্যাবলেট ১০ মিঃগ্রাঃ এর মূল্য হলো ৩.৫০ টাকা প্রতি পিস।
একটি পাতায় যেহেতু ১৫ টি করে ট্যাবলেট থাকে। তাই এই ট্যাবলেটটির প্রতি একপাতার
মূল্য হলো ৫২ টাকা করে। এখন বাজারে অমিডন ট্যাবলেট ১০ মিঃগ্রাঃ এবং অমিডন
ট্যাবলেট ২০ মিঃগ্রাঃ উভয়ই পাওয়া যায়। এছাড়াও এই ঔষধটি এখন বাজারে সিরাপ আকারে
এবং ড্রপ আকারেও পাওয়া যায়।
এখব বাজারে এই ঔষধ ৪০ মিঃগ্রাঃ সিরাপের দাম হলো ৬০ টাকা এবং ১৫ মিঃগ্রাঃ সিরাপের
মূল্য হলো ২৫ টাকা মাত্র। আপনি এই ঔষধটি আপনার নিকটস্থ যেকোন একটি ঔষোধের দোকান
অথবা ফার্মেসি থেকে কিনতে পারবেন। তবে একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করার পরে এই
ঔষধ ব্যাবহার করা উচিত হবে। যাদের ক্ষেত্রে এই ঔষধের সংবেদনশীলতা রয়েছে তাদের
ক্ষেত্রে এই ঔষধ গ্রহণ না করাই উত্তম।
অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ ওমিডন কিসের ঔষধ?
উত্তরঃ ওমিডন ট্যাবলেটটি মুলত ব্যাবহার করা হয় যাদের বমির সমস্যা রয়েছে
তাদের জন্য। এছাড়াও এই ঔষধটি দ্রুত পরিমাণে খাবার হজমের ক্ষেত্রেও ব্যাবহার করা
হয়।
প্রশ্নঃ অমিডন সিরাপ বাচ্চাদের কি কাজ করে?
উত্তরঃ অমিডন সিরাপ বাচ্চাদের জন্য তাদের শরীরের বিষণ্ণতার ছায়া দূর করে।
তাদের সারাদিনের অলসতাগুলোও দূর করতে সহায়তা করে থাকে।
প্রশ্নঃ অমিডন কি কি কাজ করে?
উত্তরঃ অমিডন ট্যাবলেট খেলে বেশ কিছু সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে। সেগুলো হলো
- অল্প পরিমাণে খাবার খাওয়ার ফলেই পেট ভরে যাওয়া
- খাবার খেলেও তার পরপই বদহজম হতে শুরু করা
- খাবার খাওয়ার পরবর্তি সময়ের মধ্যেই ঢেকুর তোলা
- খাবার ঢেকুরের মাধ্যেম উপচে আসা
- বমি বমি ভাব বা বমির সমস্যা
- তিব্র বমিকে প্রতিহত করা
প্রশ্নঃ অমিডন ড্রপ কেন খায়?
উত্তরঃ যারা অমিডন এর ট্যাবলেট খেতে পারে না এবং যাদের অনেক বেশি বমি বমি
হয়ে থাকে তারাই মূলত অমিডন ড্রপ নিয়ে থাকেন।
প্রশ্নঃ ওমিডন কিসের ঔষধ?
উত্তরঃ অমিডন ঔষধটি বমি বমি ভাব, বমি এবং গতির অসুস্থতা নিয়ন্ত্রণের জন্য
ব্যবহৃত হয়।
শেষ কথা
আজকের আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতাগুলো সম্পর্কে
তুলে ধরেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে এই
সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনি চাইলে আপনার বন্ধুদের সাথে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করে
তাদেরকেও এই সম্পর্কে অবগত হওয়ার সুযোগ করে দিতে পারেন। আর প্রতিদিন এমন আরো
তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
পেপারস্পট২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url