হারিয়ে যাওয়া সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা জানুন খুব সহজেই

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়মপ্রিয় পাঠক, হারিয়ে যাওয়া সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা আপনি কি এই সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহি। তাহলে আপনি এখন একদম সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা এই সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরবো। তাই আপনি যদি হারিয়ে যাওয়া সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা এই বিষয়ে জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন।
হারিয়ে যাওয়া সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা
আমরা বর্তমান সময়ে NID কার্ড ব্যাবহার করে সিম কার্ড রেজিষ্ট্রেশান করে ব্যাবহার করে থাকি। আর ব্যাবহার করার সময়ে এই সিম কার্ড অনেক সময়ে হাড়িয়ে যায়। তাই সেই সিম কার্ড কার নামে রেজিষ্ট্রেশান করা ছিলো এই বিষয়ে জানা অনেক জরুরি একটি বিষয়।

পেজ সূচিপত্রঃ

ভূমিকা

বাংলাদেশে সর্বপ্রথম বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যাবহার করে সিম রেজিষ্ট্রেশান করার কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৫ সালের ১৬ই ডিসেম্বর। এই সময়ের পূর্বে কোন সিম কার্ড রেজিষ্ট্রেশানের জটিলতা ছিলো না। আর এখন এই সিম রেজিষ্ট্রেশান করে ব্যাবহার করতে হয়। একজন ব্যাক্তির NID চার্ড দিয়ে অন্য জন সিম ব্যাবহার করার ফলে অনেক সময়ে অনেক বিড়ম্বনার সম্মুখিন হতে হয়।

আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন তাহলে আপনি সিম কার নামে নিবন্ধন, সিম রেজিস্ট্রেশন চেক অনলাইন, আমার নামে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা, সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক।

হারিয়ে যাওয়া সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন

আপনার হারিয়ে যাওয়া সিম কার আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশান করে রয়েছে সেটা জানার জন্য আপনি দুটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। আর এই পদ্ধতি দুটি ব্যাবহার করে আপনি খুব সহজেই তথ্য বের করে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন কিভাবে কাজগুলো করতে হয় জেনে নেওয়া যাক।

পদ্ধতি-০১ঃ আপনার যেই সিম কার্ডটি হারিয়ে গিয়েছে তার নাম্বার প্রথমত আপনাকে মনে রাখতে হবে। এখন আপনার যেকোন একটি সিম থেকে *16001# এই কোডটি ডায়াল করতে হবে। এখন আপনার সামনে কিছু ম্যেনু আসবে। সেখানে আপনার সেই আইডি কার্ডের শেষের চার সংখ্যা লিখে আপনাকে তাদেরকে মেসেজ করতে হবে।

তার কিছুক্ষণ পরে আপনাকে ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে হবে আপনার আইডি কার্ড দিয়ে কতগুলো সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশান করা রয়েছে। আর তার সাথে এটিও জানতে পারবেন সেই নাম্বারের শেষের ৩টি ডিজিট। তখন আপনি সেইখান থেকে আপনার নম্বর ও চিহ্নিত করে নিতে পারবেন।
পদ্ধতি-০২ঃ আপনি যদি প্রথম পদ্ধতিতে দেখানো নিয়ম অনুযায়ি কাজটি করতে ব্যার্থ্য হন তাহলে আপনি এই দ্বিতীয় পদ্ধতি অনুসরণ করুন। এই পদ্ধতিতে আপনাকে এমন কিছু লোককে টার্গেট করতে হবে যাদের দ্বারা আপনার সিম তোলার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এখন সকল সিম আইডি কার্ড ছাড়া ব্যাবহার করা সম্ভব হয় না। তাই খুব সহজেই আপনি এই কাজটি করতে পারবেন।

এই পর্যায়ে আপনি সিম রিপ্লেসমেন্টের দোকানে গিয়ে আপনার সিমের নাম্বার দিয়ে তাদেরকে সিম রিপ্লেস করতে বলুন। তখন হাতের ফিংগারপ্রিন্ট চাইবে। সেই সময় সকলকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে বলুন। এইখান থেকে যদি কোন ব্যাক্তিকে দিয়ে সিমটি তোলা হয়ে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই সিমটি রিপ্লেস করে নিতে পারবেন।

সিম কার নামে নিবন্ধন

আপনার হারিয়ে যাওয়া সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা আছে এটি আপনি খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। আপনি যদি এই বিষয়ে জেনে থাকেন তাহলে আপনার সিম কার্ড যদি অন্যকেউ ব্যাবহার করে থাকে তাহলে সেটি ও সনাক্ত করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেই এই উপকারি পদক্ষেপ।

আপনার সিম কার্ড কার নামে নিবন্ধন করা রয়েছে সেটি জানার জন্য আপনাকে একটি কোড ডায়াল করতে হবে। সিম নিবন্ধন চেক করার জন্য ডায়াল কোড হলো *16001# আপনি যখন এই কোডটি ডায়াল করবেন তাহলে আপনাকে সিম নাম্বারের কিছু আংশিক পরিমাণ দেখানো হবে।

মূলত এমন করা হয় নিরাপত্তা বজায় রাখার সার্থে। এখানে আংশিক বলতে বুঝানো হয়েছে একটি নাম্বারের প্রথম তিন ডিজিট দেখানো হবে এবং শেষের তিন ডিজিট দেখা যাবে। এখানে আপনার ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে কতগুলি সিম নিবন্ধন করার রয়েছে সেটি দেখতে পারবেন।

এখানে থেকে যদি আপনার মনেহয় আপনার কোন সিম কার্ড অপরিচিত অথবা আপনার যদি কোন সিম ব্যাবহার অযোগ্য বলে মনে হয় তাহলে আপনি সেই বাতিল করে দিতে পারবেন খুব সহজেই।

সিম রেজিস্ট্রেশন চেক অনলাইন

আপনি কি আপনার ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে কতগুলো সিম রেজিষ্ট্রেশান করা রয়েছে সেটি জানতে চাচ্ছেন। তাহলে এখনি জানতে পারবেন আপনি। তার জন্য আমদের সাথেই থাকুন।আশা করছি আপনি এই পাঠটি পড়লে খুব সহজেই এই কাজটি করে নিতে পারবেন।
সিম রেজিস্ট্রেশন চেক অনলাইন
আপনার ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে কতটি সিম রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে সেটি জানার জন্য আপনাকে কোন সিম কম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে হবে না। আবার কোন কাস্টমার কেয়ারেও কোন ঘুরাঘুরি করতে হবে না। আপনি এই কাজ বাড়িতে বসে থেকেই করে নিতে পারবেন খুব সহজেই।

আবার এই বিষয়টি চেক করার জন্য কোন স্মার্ট ফোন অথবা কোন ইন্টারনেট কানেকশানের প্রয়োজন নেই। আপনি এটা বাটন ফোন থেকেও করে নিতে পারবেন। কারণ এই কাজটি আপনি কোড ডায়াল করার মাধ্যমে করতে পারবেন। তাহলে চলুন এখন জেনে নেই আপনাদের কোণ সিমের জন্য কোন কোড ডায়াল করতে হবে।
  • রবি সিম অপারেটর এর জন্য ডায়ালকৃত কোড হলো *16001#
  • এয়ারটেল সিম অপারেটর এর জন্য ডায়ালকৃত কোড হলো *16001#
  • বাংলালিংক সিম অপারেটর এর জন্য ডায়ালকৃত কোড হলো *16001#
এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, এই তিনটি সিম ছাড়াও তো আরো দুটি সিম রয়েছে। সেগুলো তথ্য চেক করবো কিভাবে। হ্যা বন্ধুরা এটাও আমরা এখন জানবো। যেটার কাজ ও আপনি খুব সহজেই করে ফেলতে পারবেন। আর সেই সিমগুলোর কাজ কিভাবে করবেন তাই এখন আমরা জানবো চলুন।

রবি, এয়ারটেল এবং বাংলালিংক সিম ছাড়াও আরো দুটি সিম হলো গ্রামীণফোন এবং টেলিটক। এই দুটি সিমের তথ্য জানার জন্য আপনাকে প্রথমে ফোনের মেসেজ অপশানে যেতে হবে। তারপরে সেখানে গিয়ে লিখতে হবে info তারপরে সেটা পাঠিয়ে দিতে হবে গ্রামীণফোনের জন্য 4949 নম্বরে। আর টেলিটক সিমের জন্য 1600 নম্বরে।

অনলাইনে সিম রেজিস্ট্রেশন চেক

হারিয়ে যাওয়া সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা এটা জানার পরেই আমরা সকলেই ইতিপূর্বে জানলাম কিভাবে কোড ডায়াল করার মাধ্যমে আপনার ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে কতগুলো সিম রেজিস্ট্রেশান করা রয়েছে সেই সম্পর্কে। এখন আপনাদেরকে জানাতে চলেছি কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে সিম কার্ডের রেজিস্ট্রেশান চেক করা যায় সেই সম্পর্কে।
অনলাইনে রেজিস্ট্রেশান চেক করার জন্য কোন নির্ধারিত নিয়ম নেই। তার জন্য আপনাকে কোড ডায়াল করেই কাজটি করতে হবে। অথবা আপনাকে এসএমএস পদ্ধতি ব্যাবহার করতে হবে।

তবে আপনি রবি এবং এয়ারটেল সিমের রেজিস্ট্রেশান অনলাইনের মাধ্যমেই চেক করে নিতে পারবেন। তার জন্য তাদের ওয়েবসাইট ব্যাবহার করতে হবে। ওয়েবসাইটের লিংক হলো https://www.robi.com.bd/en/auth/register?redirectTo=%2Fen%2Fpersonal%2Froaming এই ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রথমে আপনাকে রেজিস্ট্রেশান করে নিতে হবে। তারপরের কাজগুলো আপনি খুব সহজেই করেন নিতে পারবেন নিজে নিজেই।

সিম হারিয়ে গেলে করণীয়

আপনি নিশ্চয় চাইবেন না যে আপনার সিম অন্য কেউ ব্যবহার করুক। এছাড়াও আপনার সিমটি যদি হারিয়ে যায় আর যদি অন্য কেউ সেই সিমটি পায় তাহলে সেই সিমটি ব্যবহার করার মাধ্যমে অন্য কেউ অবৈধ কাজ করতে পারে। সেই অবৈধ কাজের জন্য পুলিশ কিন্তু এসে আপনাকেই ধরবে। কারণ সেই সিম আপনার নামে রেজিস্ট্রেশন করা। আপনার সিম হারিয়ে গেলে কি করবেন চলুন এই সম্পর্কে জেনে নিই।

আপনার সিমটি যদি হারিয়ে যায় তাহলে সবার প্রথমে যে কাজটা আপনি করবেন সেটি হল সবার প্রথমে আপনার নিকটস্থ কোনো একটি সিমের এজেন্ট এর দোকানে যাবেন। সেখানে গিয়ে যদি সম্ভব হয় তাহলে আপনার সিমটির রিপ্লেস করে নেবেন। অর্থাৎ আপনার সিমের নাম্বার একই থাকবে কিন্তু নতুন একটি সিম পেয়ে যাবেন। 

এছাড়া যদি আপনি যান এই সিমটি ব্যবহার করবেন না তাহলে সেই সিমটি বন্ধ করে দিতে পারেন তাদের মাধ্যমে। আপনি যদি এই সকল কাজ না করেন সিম হারানোর পরেই তাহলে আপনার সিমে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অথবা অন্য যে সকল অবৈধ কার্যকলাপ অন্য কেউ করতে পারে। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে দায়ভার কিন্তু আপনাকেই নিতে হবে।

হারানো সিম বন্ধ করার উপায়

দুর্ঘটনাবশত আপনার সিমটি যদি হারিয়ে গিয়ে থাকে তাহলে আপনার সেই সিম থেকে যেকোনো ধরনের বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সিমটি সহজে বন্ধ করতে পারবেন। তবে তার জন্য অবশ্যই আপনাকে এর নিয়ম গুলো জানতে হবে। হারানো সিম বন্ধ করার উপায় গুলো যদি আপনি সঠিকভাবে জেনে থাকেন তাহলে খুব সহজে এই সিমটি বন্ধ করে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন এখন জেনে নিয়ে হারানো সিম আপনি কিভাবে বন্ধ করবেন তার উপায় সম্পর্কে।
  • আপনি যে অপারেটরের (গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, টেলিটক, বাংলালিংক) সিম ব্যবহার করছেন অর্থাৎ আপনার যে সিমটি হারিয়ে গেছে সেই সিমের অপারেটরের কাছে যোগাযোগ করতে হবে।
  • এর জন্য আপনি আপনার অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারের সাথে কথা বলার জন্য ১২১ নাম্বারে ফোন দিবেন। দিয়ে তাদের সাথে কথা বলবেন।
  • এক্ষেত্রে যোগাযোগ করার সময় তাদেরকে জানাবেন আপনি তাদেরকে জানাবেন আপনি একটি সিম হাড়িয়ে ফেলেছেন সেই সিমটি বন্ধ করতে চাচ্ছেন।
  • তখন তারা আপনার কাছে থেকে সেই সিম বন্ধ করার জন্য কিছু তথ্য জানতে চাইবে। সেগুলো হলো সিম রেজিষ্ট্রেশনের আইডি কার্ড এর নম্বর।
  • আপনার সেই আইডি কার্ডের নম্বর দিয়ে চেক করার মাধ্যমে তারা জানতে পেরে যাবেন আপনিই সেই সিমের প্রকৃত মালিক।
  • তখন তারা নিশ্চিত হয়ে যাবে। এবং আপনার সেই সিমটি বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানাবে।
  • এই নিয়ম অনুসরণ করেই আপনারা খুব সহজেই আপনার হারিয়ে যাওয়া সিমটি বন্ধ করে নিতে পারবেন।

আমার নামে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা

হারিয়ে যাওয়া সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা অথবা আপনার ভোটার আইডি কার্ডে অথবা NID কার্ড দিয়ে কতটি সিম রেজিস্ট্রেশান করা রয়েছে সেটি জানার জন্য প্রথমে ফোনের ডায়াল অপশানে চলে যান। তারপরে সেখানে #১৬০০১# লিখে ডায়াল করুন। এই কোডটি ডায়াল করার পরে আপনার সামনে কিছু অপশান আসবে সেখানে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের শেষের ৪ সংখ্যা লিখে সেন্ড করে দিন।
আমার নামে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা
এরপরে আপনার কাছে ১৬০০ থেকে একটি মেসেজ আসবে। আর সেখানে আপনার আইডি কার্ড দিয়ে কতটি সিম রেজিস্ট্রেশা করা রয়েছে তার তালিকা এবং নাম্বার জানিয়ে দেওয়া হবে। আপনার বুঝার ক্ষেত্রে সহজ করে নিচে পয়েন্ট আকারে দেখানো হলো।
  • ফোনের কলের ডায়াল অপশান এ প্রবেশ করুন।
  • এখন সেখান থেকে ডায়াল করুন *16001#
  • এরপর আপনার NID কার্ডের শেষের চার ডিজিট লিখুন।
  • এখন Send বাটনে ক্লিক করে সেন্ড করে দিন।
আশা করছি আপনি এই সহজ নিয়ম অনুসরণ করে আপনার আইডি কার্ড দিয়ে কতগুলা সিম রেজিস্ট্রেশান করা রয়েছে সেই বিষয়ে জানতে পারবেন।

সিম রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দেখার নিয়ম

আপনি যে বর্তমানে সিম ব্যাবহার করতেছেন সেটি যেকোন অপারেটরের ই হোক না কেন সেই সীমের মাধ্যমে আপনার নামে সিমের রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা জানতে পারবেন। তবে তার জন্য আপনাকে একটি কোড ডায়াল করতে হবে। কোডটি হলো *16001# এই কোড। এটি ফোন থেকে ডায়াল করার পরে আপনার সামনে একটি ডায়লগ বক্স আসবে।

সেখান থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের শেষের চার সংখ্যা লিখে সেন্ড করে দিতে হবে। তারপরে আপনার কাছে একটি ফিরতি মেসেজ আসবে। সেখনে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার আইডি কার্ড দিয়ে কতগুলো সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশান করা রয়েছে। সাথে এটাও জানিয়ে দেওয়া হবে কোন কোন নাম্বার রেজিস্ট্রেশান করা রয়েছে।

এছাড়াও আলাদা আলাদা সিমের জন্য আলাদা কোড ডায়াল করার মাধ্যমে তথ্য জানা যাবে। সেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো।
  • গ্রামীনফোনের জন্য info লিখার পরে Reg 17 Digit NID Number লিখে মেসেজ সেন্ড করতে হবে ৪৯৪৯ নাম্বারে।
  • বাংলালিংক এর জন্য ডায়াল করতে হবে *১৬০০২*২# অথবা *১৬০০২*১#
  • রবি সিমের জন্য ডায়াল করতে হবে *১৬০০৩* এবং *১৬০০১#
  • এয়ারটেল এর জন্য ডায়াল করতে হবে *১২১*৪৪৪৪#
  • টেলিটকের জন্য মেসেজ অপশানে যাওয়ার পরে info লিখে মেসেজ পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬০০ নাম্বারে।
উল্লেখ্য যে এখানে সেবা নেওয়ার জন্য আপনার থেকে কোন প্রকার চার্জ করা হবে না। আপনি ফ্রিতেই এই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। কারণ এই সেবা এটি একটি কম্পানির দায়িত্বের ভেতরে পরে। তাই তারা ফ্রিতেই এই সেবা প্রদান করে থাকেন।

সিম কার নামে নিবন্ধন চেক করার কোড

একটি সিম কার নামে নিবন্ধন করা রয়েছে সেটি একটি মাত্র কোড ডায়াল করার মাধ্যমে জানা যাবে খুব সহজেই। আর এই কোড দিয়ে আপনার আইডি কার্ডের আন্ডারে কতগুলো সিম কার্ড নিবন্ধন করা রয়েছে সেটি ও জানতে পারবেন। এই বিষয়ে জানা খুবই সহজ একটি কাজ। তাই কোডটি জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

সিম কার নামে নিবন্ধন করা রয়েছে সেটি চেক করার জন্য কোড হলো *16001#

এই কোড ডায়াল করার পরে আপনার সামনে একটি ডায়লগ বক্স চলে আসবে। সেখান থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের শেষের চার ডিজিট লিখে দিতে হবে। তাহলেই কিছুক্ষণ পরেই আপনি একটি মেসেজের মাধ্যমে জানতে পারবেন এই বিষয় সম্পর্কে।

সিমের মালিকানা দেখার নিয়ম

হারিয়ে যাওয়া সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা এটি জেনে আপনি যে সিমটি ব্যবহার করছেন সেই সিমটির প্রকৃত মালিক কে সে সম্পর্কে অবশ্যই আপনার জানা উচিত। এখন কথা হল আপনি এই কাজটি কিভাবে করবেন আর কোন কাজ করার মাধ্যমে আপনার সিমের মালিকানা দেখতে পারবেন সে সম্পর্কে এখন আমরা জানবো।

সিমের মালিকানা দেখার জন্য আপনার ফোন থেকে একটি কোড নাম্বার ডায়াল করতে হবে। কোড নাম্বারটি হল *16001# । একাউন্ট নাম্বারটা ডায়াল করলে আপনি এই কোড নাম্বার এর সিমের কিছু অংশ দেখতে পারবেন। তার অর্থ এই যে আপনার ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে কতগুলো সিম তোলা হয়েছে তার একটি তালিকা দেখতে পাবেন।
তবে আপনার আইডি কার্ড দিয়ে কতগুলো সিম তোলা হয়েছে সেগুলো সিমের তালিকা দেখতে পারবেন, কিন্তু সেই সিমের নাম্বারের প্রথম এবং শেষে তিন ডিজিট দেখতে পারবেন। মাঝখানের নাম্বারের ডিজিট গুলো হাইড করা থাকবে। যেমন ধরুন আপনার মোবাইল নাম্বারটা যদি হয় 01345678902 এটি তাহলে আপনি দেখতে পাবেন 013*****902 এমন।

সিমের নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে এমন কাজটি করা হয়। আপনি যদি এই নাম্বারগুলো নিবন্দন করে তুলে ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি এই নাম্বারের প্রথম ৩ সংখ্যা এবং শেষের ৩ সংখ্যা দেখে অবশ্যই চিনতে পারবেন।

এখন আপনার কাছে যদি কোন সিমের নাম্বার দেখে অপরিচিত মনে হয়ে থাকে, অথবা আপনি সেই সিমটি ইউজ না করে থাকেন তাহলে আপনি সেই সিমটি বাতিক করে দিতে পারবেন। কিভাবে সিমের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে হয় সেই সম্পর্কে আমরা সকলেই একটু পরেই জানতে পারবো।

সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম

হারিয়ে যাওয়া সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা সেটি জানার পরে আমরা সেই সিম বাতিল করতে চাই। আমরা অনেক গুলো সিম কিনার ফলে সবগুলো সিম ব্যাবহার করতে হয় না। যার জন্য কিছু সিম রেখে আর বাকিগুলো সিম বন্ধ করে দিতে হয়। আর তাছাড়া আপনার ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে যদি অন্যকেউ সিম তুলে ব্যাবহার করে অনৈতিক কাজ করে থাকে তাহলে সেক্ষত্রে সকল দায়ভার কিন্তু আপনার উপর আসবে।
সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম
তাই আপনারা যারা আপনাদের নিবন্ধনকৃত সিম বাতিল করতে চান তাদের সবার প্রথম কাজ হবে ১২১ কাস্টমার কেয়ারে ফোন করা। তারপরে আপনি তাদের সাথে কথা বলে আপনি যে সিমটি নিশ্চিত বাতিল করতে চান সেই বিষয়ে তাদেরকে জানাতে হবে।

তারপর সেখানে প্রতিনিধি সিমের প্রকৃত মালিকানা যাচাই করার জন্য আপনার কাছে কিছু তথ্য জানতে চাইবে। আপনাকে সকল তথ্যের সঠিক উত্তর দিতে হবে। তা না হলে আপনার সিম বাতিল করতে পারবেন না। আপনাকে যেসকল তথ্যের জন্য জানতে চাইতে পারে তা হলো।
  • আপনার নাম
  • আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর
  • আপনার পিতা মাতার নাম
  • আপনার জন্মস্থান ঠিকানা
এখানে আপনার সকল তথ্য যদি ঠিক ঠাক থাকে আর সেই সিমটি যদি বাতিল করার যোগ্য বলে বিবেচিত হয় তাহলে সিমটি বাতিল করার জন্য তারা পরবর্তি ধাপে যাবেন।

তবে অনেক সময় আপনাকে সেই সংস্লিষ্ট সিমের কাস্টমার কেয়ারে সরাসরি যোগাযোগ করতে বলা হতে পারে। আপনাকে তাহলে অবশ্যই তাদের সাথেযোগাযোগ করতে হবে। তবে তারা আপনার থেকে সেই সময় সিমের রেজিস্ট্রেশনকৃত ভোটার আইডি কার্ড অথবা তার ফটোকপি চাইতে পারে। তাদেরকে তাহলে অবশ্যই সেটি প্রদান করতে হবে।

প্রথমে আপনি কাস্টমার কেয়ারে ফোন করুন। তাহলে আপনাকে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে সেটা তারাই আপনাকে জানিয়ে দিবে। তাহলেই আপনি কি কি কাজ করতে হবে সেই সম্পর্কে আশা করছি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

সিম রেজিস্ট্রেশন চেক সম্পর্কিত সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ আমার নামে কতগুলো সিম আছে কিভাবে জানব?
উত্তরঃ আমার নামে কতগুলো সিম আছে সেটা জানার জন্য আপনার ফোনের ডায়াল অপশান থেকে *১৬০০১# ডায়াল করতে হবে। তারপরে আপনার ভোটার এইডি কার্ডের শেষের ৪ ডিজিট লিখতে হবে। তাহলে সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন।

প্রশ্নঃ সিম কিনতে গেলে কি কি লাগে?
উত্তরঃ শুধুমাত্র একটি ভোটার আইডি কার্ড এবং হাতে ফিংগার প্রিন্ট।

প্রশ্নঃ পাসপোর্ট দিয়ে কয়টি সিম ক্রয় করা যায়?
উত্তরঃ পাসপোর্ট দিয়ে সর্বোচ্চ ১৫ টি সিম ক্রয় করা যায়।

প্রশ্নঃ সিমের মালিকানা পরিবর্তন করতে কত টাকা লাগে?
উত্তরঃ সিমের মালিকানা পরিবর্তন করতে সর্বনিম্ন ৭০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত লাগে।

লেখকের মন্তব্য

আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো হারিয়ে যাওয়া সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা আছে সেই সম্পর্কে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। এই রকম তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন নিয়োমিত ফ্রীতে পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পেপারস্পট২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url