পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানবেন যেভাবে
নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদনপল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা কিভাবে জানতে পারবেন সেই বিষয়ে আজকে আমরা
বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই আপনি যদি পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা
সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত
আমাদের সাথেই থাকুন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটিতে যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন তাহলে নতুন মিটারের
জন্য অনলাইনে আবেদন কিভাবে করবেন এবং পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরম কথায় পাবেন
এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা
পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা কোন পর্যায়ে রয়েছে এবং আপনার নতুন মিটারের
জন্য আবেদনটির কাজ কতদূর পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে সেই সকল বিস্তারিত তথ্য কিভাবে
জানতে পারবেন এই সকল বিষয়ে এখন আমরা আলোচনা করবো। কারণ একটি নতুন মিটারের জন্য
আবেদন করার পরে সেটি মোট ১১টি ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন করার আপনার হাতে গিয়ে পৌছাবে।
তাহলে চলুন আপনার মিটারের আবেদনটি কোন পর্যায়ে রয়েছে সেটি এখন বিস্তারিত জেনে
নেওয়া যাক।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদনের করার পরে এর সর্বশেষ অবস্থা কি রয়েছে সেটি
জানার জন্য আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করে তারপরে জানতে হবে। সেই সকল ধাপগুলো হলো
- rebpbs.com এই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে
- আবেদনের আইডি এবং পিন নাম্বার প্রদান করতে হবে
- সকল সঠিক তথ্য সাবমিট করতে হবে
- সর্বশেষ অবস্থা যাচাই করতে হবে
উপরের উল্লিখিত এই সকল ধাপগুলো অনুসরণ করার পরে আপনার পল্লি বিদ্যুৎ মিটারের
আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন। নিচে এই সকল ধাপগুলো কিভাবে অনুসরণ করবেন
তার সকল বর্ণনা দেওয়া হলো।
ধাপ-০১ঃ rebpbs.com ওয়েবসাইট ভিজিট
এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে প্রথমে মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটার থেকে
rebpbs.com লিখে সার্চ করতে হবে। তারপরে প্রথমেই যেই ওয়েবসাইটটি দেখতে পাবেন
সেখানে প্রবেশ করতে হবে। অথবা আপনি সরাসরি প্রবেশ করতে এখানে
ক্লিক করুন। তাহলেই নিচের দেখানো মতো একটি ওয়েবসাইটের ইন্টারফেস দেখতে পাবেন।
এখন আপনি এখানে প্রথমে মেন্যুবার থেকে "আবেদন" নামক অপশানে ওপরে মাউস পয়েন্টার
নিয়ে যান অথবা ক্লিক করুন। তাহলেই সেখানে অনেকগুলো অপশানের মধ্য থেকে "আবেদনের
সর্বশেষ অবস্থা জানুন" এখানে ক্লিক করুন।
ধাপ-০২ঃ আবেদনের আইডি এবং পিন নাম্বার প্রদান
এখানে ক্লিক করলে আপনার কাছে থেকে একটি ট্রাকিং নাম্বার এবং পিন নাম্বার চাইবে।
যেটি আপনি যখন নতুন মিটারের জন্য আবেদন করেছিলেন তখন পেয়েছিলেন। এখন এই দুটি তথ্য
দিয়ে আপনাকে তথ্যটি অনুসন্ধান করে নিতে হবে।
এখানে প্রথমে আপনাকে ট্রাকিং নম্বর অথবা আইডি নম্বর দিতে হবে এবং পরবর্তি অপশানে
পিন নাম্বার দিতে হবে। এগুলো দিয়ে আপনাকে নিচেই যেই "সাবমিট" নামক বাটন এখতে
পাচ্ছেন সেখানে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ-০৩ঃ পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা যাচাই
যদি আপনার আবেদনের আইডি নাম্বার এবং পিন নাম্বার যদি সঠিক থেকে থাকে তাহলে এখন
আপনি আপনার আবেদনকৃত মিটারের সর্বশেষ অবস্থা কোন পর্যায়ে রয়েছে সেটি দেখতে পাবেন।
একটি মিটারের জন্য যখন আবেদন করবেন তখন তার পরে থেকে মিটারের কাজের সকল
আগ্রগতিগুলো মোট ১১টি ধাপে দেখতে পাবেন। সেই সকল ১১ টি ধাপ নিম্নে উল্লেখ করা
হলো।
- আবেদন করা হয়েছে
- হাউজ ওয়ারিং সম্পন্ন
- মেম্বার সার্ভিস কর্তৃক প্রাথমিক অনুমোদন
- ওয়ারিং পরিদর্শক নিয়োগ সম্পন্ন
- ওয়ারিং পরিদর্শক কতৃক পরিদর্শন সম্পন্ন
- ডিমান্ড নোট ইস্যু ও এল এম এস প্রদান
- ডিমান্ড নোটের টাকা জমা হয়েছে
- মিটার আচার সরবরাহ (সিএমও ইস্যু) হয়েছে
- লাইনম্যান নিয়োগ করা হয়েছে
- সংযোগ প্রদান করা হয়েছে
উপরের এই উল্লিখিত ধাপ আপনার মিটারের জন্য যেগুলো যেই সকল কাজ শেষ হয়েছে সেগুলোতে
সবুজ টিক চিহ্ন দেখতে পাবেন। আর যেগুলো কাজ এখনো শেষ করা হয়নি তার জন্য সেখানে
লাল রং এর ক্রম চিহ্ন দেখতে পাবেন। যেটা দেখতে নিচের দেখানো ছবির মতো হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা উপরের দেখানো এই সকল নিয়মেই জানতে পারবেন।
আশা করছি আপনাকে এই বিষয়ে জানানোর জন্য সক্ষম হয়েছি। যদি এই বিষয়ে জানতে আপনার
কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে জানাবেন।
মিটার পেতে দেরি হওয়ার কারণ
পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানার পরেও অনেকেই রয়েছেন যারা এই মিটার
পেতে অনেক দেরি করেন। অথবা তারা সেই মিটারের সম্পর্কে কোনো প্রকার তথ্য পান না।
অথবা সেই মিটারের জন্য অফিস থেকেও তাদেরকে কোন প্রকার তথ্য দেওয়া হয় না। তবে আপনি
জানেন কি আপনার এই মিটার পেতে দেরি হওয়ার জন্য কিছু কারণ রয়েছে। সেগুলো নিচে
উল্লেখ করা হলো।
- মিটার পেতে দেরি হলে সবার প্রথমে আপনাকে যেই কাজটি করতে হবে সেটি হলো আপনার মিটারের জন্য আবেদন পত্রটি চেক করে নিতে হবে। এখানে দেখতে হবে আপনার আবেদন পত্রটি সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে কিনা। আবার সেই আবেদন করার পরে আপনাকে চেক করে দেখতে হবে আপনি যেই ফি প্রদান করেছিলেন ১১৫ টাকা সেটি জমা হয়েছে কিনা।
- যদি আপনি আবেদন করা পরে নির্ধারিত ফি প্রদান না করেন তাহলে আপনার আবেদন পত্রটি শুধুমাত্র আবেদনই থেকে যাবে। তাই আপনাকে এটি অবশ্যই চেক করে নিতে হবে।
- আপনার মিটার পাওয়ার দেরি হলে সেটি হতে পারে আপনার অফিসের কাজের বিড়ম্বনা। আপনার সকলেই অবগত আছেন মিটারের অফিসে সারাদিনই প্রচুর পরিমাণে ভীড় লেগেই থাকে। আর এই সকল ঝামেলার কারণ আপনার মিটার পেতে কিছুটা দেড়ি হতে পারে।
- যদি আপনার মিটার পেতে দেরি হয় তার মানে এটি হলো আপনার মিটারের আবেদনটি কতৃপক্ষের নজর এড়িয়ে চলে গিয়েছে। তাই এই অবস্থায় অবশ্যই উচিত হবে আপনার তাদের সাথে যোগাযোগ করা।
- মিটার পাওয়ার ক্ষেত্রে দেরি হওয়ার আরো একটি কারণ হলো আপনার আবেদন পত্রে যদি কোন ভুল তথ্য থেকে থাকে। আপনি যদি এক্ষেত্রে কোন ভূল তথ্য প্রদান করেন তাহলে এক্ষেত্রে আপনার মিটারের জন্য আবেদনটি বাতিল হয়ে যেতে পারে। তাই এই বিষয়ে নজর রেখে তারপরে আপনাকে মিটারের জন্য আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
উপরের উল্লিখিত এই সকল কারণগুলোই ছিলো আপনার মিটার পেতে দেরি হওয়ার কারণ। এখানে
খুব ভালো করে তদারকি করার পরে দেখে বুঝে নিন আপনার কোথাও কোন গাফিলতি আছে কিনা।
যদি থেকে থাকে তাহলে সেটি ঠিক করার কাজ করুন। না হলে আপনি মিটার পাওয়ার যোগ্যতা
হারাবেন।
মিটার পেতে দেরি হলে করণীয়
আমরা সকলেই এখন জানি পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা কিভাবে জানতে
হবে সেই সম্পর্কে। এখন অনেকেরই নতুন মিটারের জন্য আবেদন করার পরেও দেরি হয়ে
থাকে। তাই তাদের জন্য বেশ কিছু করণিয় রয়েছে। তার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন
আপনার কোন কারণে মিটার পেতে দেরি হচ্ছে। চলুন তাহলে এই পাঠে থেকে আমরা জেনে নেই
মিটার পেতে দেরি হলে করণীয় কি।
- যদি আপনার মিটার পেতে অনেক দেরি হয়ে থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার প্রথম করণিয় হলো আপনার মিটারের আবেদনের বর্তমান অবস্থা চেক করে নিবেন।
- অনেক সময়ে দেখা যায় মিটার আবেদন সঠিকভাবে করা হলেও কিছু সমস্যার কারণে পল্লি বিদ্যৎ অফিসে সেই মিটারের জন্য পরিশোধকৃত আবেদনের টাকা গৃহিত হয় না। তাই এক্ষেত্রে আপনাকে এই বিষয়টি চেক করেও নিশ্চিত হতে হবে।
- যদি আপনার এমন সমস্যার দেখা দেয় তাহলে আপনি সরাসরি বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করবেন। অনেক সময়ে দেখা যায় বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে যোগাযোগ না করার কারণেও মিটার আসতে দেরি হয়। তাই এটিও আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে।
- আপনার মিটারের জন্য আবেদনকৃত আবেদন পত্রটির অনলাইন কপি প্রথমে প্রিন্ট করে নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে তাদেরকে জানান। তাহলেই দেখবেন আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে।
আপনার যদি নতুন মিটারের জন্য আবেদন করেও সেই মিটার পেতে দেরি হয়ে থাকে তাহলে
উপরের উল্লিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করুন। তাহলেই আশা করছি আপনার সমস্যার সমাধান
হয়ে যাবে। আশা করছি আপনাকে এখন এই বিষয়ে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি।
নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন
পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা কিভাবে জানবেন সেটি আমরা ইতিপূর্বে জানতে
পেরেছি। এই পর্বে আমরা জানবো কিভাবে আপনি নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন
সেই সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর বেশি দেরি না করে বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক।
পল্লি বিদুৎ মিটারের জন্য আপনি যখন আবেদন করতে যাবেন তখন আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট
প্রদান করতে হবে। আর আপনি যদি এই সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সাবমিট না করেন তাহলে
আপনার আবেদন পত্রটি গ্রহণ করা হবে না। যার ফলে একটি নতুন মিটার পাওয়ার ক্ষেত্রে
আপনাকে কিছু ঝামেলা পোহাতে হবে। নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে গেলে যেই
সকল ডকুমেন্টস দিতে হবে সেগুলো হলো।
- আবেদন কারীর ভোটার আইডি কার্ড
- জমির খতিয়ান পত্রের একটি সফট কপি
- আপনার পার্শবর্তি কোন মিটারের একটি বিদ্যুৎ বিলের পুরাতন কাগজ
- যেখানে মিটার নিতে চান সেখান থেকে সার্ভিস ড্রপের দুরুত্ব সর্বনিম্ন ১৩০ ফিট হতে হবে।
উপরের এই সকল ডকুমেন্টস আপনাকে অবশ্যই যোগার করে নিয়ে তারপরে তারপরে অনলাইনে
মিটারের জন্য আবেদন করতে হবে। কেননা যখন আপনি অনলাইনে মিটারের জন্য আবেদন করবেন
তখন যেনো কোথাও আর দৌড়াদৌড়ি করতে না হয়। তাহলে চলুন এখন আমরা জেনে নেই কিভাবে
আপনি এই মিটারের জন্য আবেদন করবেন।
আপনি যখন মিটারে জন্য আবেদন করতে যাবেন তখন আপনাকে কিছু প্রসেসিং এর মধ্য দিয়ে
যেতে হবে। সেই নিয়ম না মেনে যদি আপনি কাজ করেন তাহলে আপনার আবেদন গ্রহণ যোগ্য হবে
না। সেই সকল ধাপগুলো হলো
- rebpbs.com এই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে
- আবেদনপত্রটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে
- আবেদন পত্রটি সাবমিট করতে হবে
নিম্নে এই সকল ধাপগুলো স্ববিস্তারে আলোচনা করা হলো। এখান থেকে দেখে নিয়ে একটি
নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে পারেন।
ধাপ-০১ঃ rebpbs.com এই ওয়েবসাইট ভিজিট
নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে আপনাকে সবার প্রথমে
rebpbs.com
এই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। তার জন্য সবথেকে ভালো হয় যদি আপনি কম্পিউটার অথবা
মোবাইল মোবাইলফোন থেকে যদি গুগল ক্রম ব্রাউজার ব্যাবহার করেন। এর পরে সেখানে থেকে
আপনাকে "আবেদন" নামে অপশান দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করুন।
ধাপ-০২ঃ আবেদনপত্রটি সঠিকভাবে পূরণ করুন
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানার জন্য এই ফরমে এসে আপনাকে সকল
তথ্যগুলো সঠিকভাবে দেখে শুনে বুঝে নিয়ে তারপরে পূরণ করতে হবে। তবে যেখানে লাল
রংয়ের (*) চিহ্নি দেওয়া রয়েছে সেগুলো অবশ্যই আপনাকে পূরণ করতে হবে। আপনার নিজ
এলাকা অনুযায়ি পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি এবং জোনাল অফিস অবশ্যই সেখানের লিস্ট থেকে
সিলেক্ট করে নিতে হবে। এখানে অবশ্যি আপনাকে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার,
জন্ম তারিখ, ফোন নাম্বার, ইমেইল ঠিকানা ইত্যাদি এই সকল তথ্যগুলো ইংরেজিতে লিখতে
হবে।
ধাপ-০৩ঃ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে
সকল তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে অবশ্যই আপনাকে এখন প্রয়োজনীয় সকল
ডকুমেন্টসগুলো আপলোড করে দিতে হবে। সেখানে যেমন ধরণের যত ডকুমেন্টস চাওয়া হয়েছে
সকলগুলোই আপলোড করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে মাথায় রাখতে হবে সকল
ফাইলের সাইজ যেন (৩০০x৩০০) ১৫০ কিলোবাইট এর হয়। আর যখন ভোটার আইডি কার্ড আপলোড
করবেন তখন অবশ্যই এর সাইজ যেনো (৬০০x৪৭৫) ৩০০ কিলোবাইট এর হয়।
ধাপ-০৪ঃ আবেদন পত্রটি সাবমিট করতে হবে
যখন আপনার আবেদন পত্রটি সঠিকভাবে পূরণ করা হবে এবং সকল ডকুমেন্টসগুলো আপলোড করা
হয়ে যাবে তখন অবশ্যই নিচের ক্যাপচাটি পূরণ করে নিয়ে তারপরে সেটির সকল তথ্যগুলো
দেখে নিয়ে তারপরে সাবমিট করতে হবে।
তথ্য সাবমিট করার জন্য ক্যাপচা ঘরের যা লিখা থাকবে সেগুলো নিচের ঘরে সঠিক করে
ইংরেজিতে লিখে দিতে হবে। এরপরে নিচের "সংরক্ষন করুন" নামে একটি অপশান পাবেন।
সেখানে ক্লিক করলেই আপনার আবেদনপত্রটি সাবমিট করা হয়ে যাবে। এটি যখন সাবমিট করবেন
তখন আপনি এখান থেকে একটি ট্রাকিং নাম্বার এবং একটি পিন নাম্বার পাবেন।
এই দুটি অবশ্যই আপনাকে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। কারণ আপনি যখন পরবর্তিতে মিটারের
আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইবেন তখন এই দুটি জিনিসেরই প্রয়োজন হবে। এখন
আপনাকে এই আবেদনপ্রটি ডাউনলোড করে নিয়ে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ পল্লী বিদ্যুৎ কি সরকারি না বেসরকারি?
উত্তরঃ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড হলো বাংলাদেশ সরকারের একটি
সংবিধিবদ্ধ সরকারি সংস্থা। যার কাজ হলো বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌছে
দেওয়া।
প্রশ্নঃ পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদন ফি কত?
উত্তরঃ পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদন ফি হলো মাত্র ১১৫ (একশত পনেরো)
টাকা।
প্রশ্নঃ BREB কি ধরনের প্রতিষ্ঠান?
উত্তরঃ BREB হলো বাংলাদেশ সরকারের একটি সংবিধিবদ্ধ সরকারি সংস্থা। যার
প্রধান দায়িত্ব হল বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়া।
প্রশ্নঃ নতুন মিটার নিতে কত টাকা লাগে?
উত্তরঃ নতুন মিটার নিতে আবেদন ফি ১০০ টাকা এবং নিরাপত্তা জামানত ৪০০ টাকা
দিতে হয়। আর এটিই হলো একটি মিটারের জন্য মোট খরচ।
প্রশ্নঃ মিটার নিতে কি কি কাগজ লাগে?
উত্তরঃ একটি মিটার নিতে যেই সকল কাগজ পত্রগুলোর প্রয়োজন হয় সেগুলো হলো
- আবেদনকারীর ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
- জমির খতিয়ানের সফট কপি
- পাশের কারো পুরাতন যেকোন একটি বিদ্যুৎ বিলের কপি
প্রশ্নঃ বিদ্যুৎ মিটার এর কাজ কি?
উত্তরঃ বিদ্যুৎ মিটার এর কাজ হলো আপনার খরচকৃত বিদ্যুৎ এর পরিমাণ নির্ধারণ
করা।
শেষ কথা। পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা
পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলের
মধ্যে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে
আপনি অনেকটাই উপকৃত হয়েছেন। যদি পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের
সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এমন আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন ফ্রিতে পড়ার জন্য
আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
আজকে মিটারের জন্য আবেদন করলে কতদিন পরে মিটার পাবো