নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম - বিকাশ একাউন্ট চেক সহজ পদ্ধতি

ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করার নিয়মপ্রিয় পাঠক, নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন। অথবা আপনি কি বিকাশ একাউন্ট চেক সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আর কোথাও না গিয়ে আজকেরই এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। কারণ সম্পূর্ণ আর্টিকেলে আমরা নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি সকল বিষয় সম্পর্কে সহজেই বিস্তারিত বুঝতে পারবেন।
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিকাশ হলো অনলাইনের মাধ্যমে ডিজিটাল টাকা লেনদেনের একটি উপায় অথবা মাধ্যম। এই বিকাশ একাউন্ট ঘরে বসেই খুব সহজেই হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে খুলে ফেলে সম্ভব। আজকের এই আর্টিকেলে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে সুবিস্তারিত জানতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

ভূমিকা। নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিকাশ হলো বাংলাদেশের একটি অনেক জনপ্রিয় টাকা লেনদেনের মাধ্যম। এখন ঘরে বসে থেকেই বংলাদেশের সকল অপারেটর নাম্বার থেকেই খুব সহজেই বিকাশ একাউন্ট খোলা খুবই সহজ। আপনি এই কাজ সকল বাটন ফোন অথবা স্মার্ট ফোন থেকে ও করে ফেলতে পারবেন খুব সহজেই। আর একাউন্ট খুলেই অনলাইনের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতে পারবেন।

আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন তাহলে আপনি বাটন মোবাইলে বিকাশ খোলার নিয়ম, বিকাশ মোবাইল অ্যাপ দিয়ে একাউন্ট খোলার নিয়ম, অ্যাপ ছাড়া বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম, বিকাশ একাউন্ট চেক করার সহজ পদ্ধতি সহ আরো অনেক বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে আর দেরি কেনো চলুন বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক।

নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে এখন আমরা জানবো। কিভাবে সঠিক পদ্ধতি ব্যাবহার করে একটি বিকাশ একাউন্ট খুলতে হয় তার সঠিক প্রসেস নিয়ম আমাদের জানা উচিত। আপনি যদি এই বিষয়ে না জেনে থাকেন তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

একটি বিকাশ একাউন্ট প্রায় অনেক ভাবেই খোলা যায়। একেক জনের জন্য একেক রকমের একাউন্ট খোলার প্রয়োজন হয়। সেই সকল বিভিন্নভাবে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়মগুলো হলো
  • বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে একাউন্ট খোলা যায়।
  • ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পয়েন্টে ই-কেওয়াইসির মাধ্যমে একাউন্ট তৈরি করা যায়।
  • গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়।
আমরা সকলেই এতক্ষণ প্রথম টপিকটি সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা নিচের দুইটি টপিক সম্পর্কে জানবো। তাহলে চলুন জেনে নেই এই সম্পর্কে।

ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পয়েন্টে ই-কেওয়াইসির মাধ্যমে একাউন্ট খোলার উপায় হলোঃ
  • এখানে মূলত একটি এজেন্ট বিকাশ একাউন্ট তৈরি করা হয়।
  • সেখানে গিয়ে আপনাকে প্রথমে আপনার মোবাইল নাম্বারের অপারাটর এবং মোবাইল নাম্বার নিশ্চিত করতে হবে।
  • নিশ্চিত করে তাদের কাছে থেকে অনুমতি নিতে হবে।
  • তারপরে আপনাকে একটি রেফারেন্স নম্বর প্রদান করা হবে। সেটি গ্রহণ করুন।
  • আপনার এন আই ডি কার্ডের প্রথমে সামনের অংশের ছবি এবং পরে পেছনের অংশের ছবি তুলবেন।
  • তারপর আপনার এজেন্ট হিসেবে ই-কেওয়াইসি এন্ট্রির জন্য আপইয়নার একটি ছবি তুলতে হবে।
  • এখন যদি আপনার সকল রেজিস্ট্রেশনের কাজ সম্পন্ন হয়ে যায় তাহলে আপনাকে একটি কনফার্মেশন মেসেজ পাঠানো হবে।
  • তারপরেই আপনার একটি এজেন্ট একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।
গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়মঃ
  • গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য যেই সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশান নিয়ে যেতে হবে তা হলো
  • একটি সচল মোবাইল ফোন।
  • এন আই ডি কার্ড অথবা তার ফটোকপি/ড্রাইভিং লাইসেন্সের মূল কপি আর তার সাথে ফটোকপি।
  • আপনার একটি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
এই সকল তথ্য সমূহ নিয়ে গ্রাহক সেবায় আপনি গেলেই আপনাকে কিভাবে একটি বিকাশ একাউন্ট খুলতে হবে তারাই আপনাকে সকল প্রসেস বুঝিয়ে দিয়ে আপনাকে একটি বিকাশ একাউন্ট তোইরি করে দিবে। আশা করছি আপনি সকল বিষয়টি বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।

বাটন মোবাইলে বিকাশ খোলার নিয়ম

নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে আপনি শুধুমাত্র একটি বাটন মোবাইল দিয়েও বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন। বাটন মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলা অনেক সহজ একটি কাজ। যদিও এখন সকলের কাছেই স্মার্ট ফোন রয়েছে তবুও কিছু সংখ্যক মানুষ বাটন ফোন ব্যাবহার করতেই পছন্দ করে থাকেন। তাই তারা এই বাটন ফোনের মাধ্যমে কিভাবে বিকাশ একাউন্ট খুলতে হয় সেই সম্পর্কে জানতে চান। আপনি যদি না জেনে থাকেন এই বিষয়ে তাহলে চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক।
বাটন মোবাইলে বিকাশ খোলার নিয়ম
বিকাশ এখন অর্থ্য লেনদেনের জন্য অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আগে শুধু শহরের বসবাসরত মানুষজন বিকাশ ব্যাবহার করত। কারণ সেই সময়ে শহুরে মানুষজনের কাছেই ফোন ছিলো এখন শহরের মানুষের পাশাপাশি গ্রামে মানুষও এই বিকাশ ব্যাবহার করেন। কারণ তাদের কাছে স্মার্ট ফোন না থাকলেও রয়েছে একটি বাটন ফোন।

তারা তাদের স্মার্ট ফোন না থাকলেও এই বাটন ফোন দিয়েই বিকাশ ব্যাবহার করতে চান। তো সেই বাটন ফোনে বিকাশ ব্যাবহারের জন্য তো তাতে বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে। তো তাহলে চলুন এখন আমরা সকলেই এই বাটন ফোনে বিকাশ একাউন্ট কিভাবে ওপেন করবেন সেটা সম্পর্কে জেনে নেই চলুন।
  • বাটন ফোনের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে আপনাকে *247# ডায়াল করতে হবে।
  • এই কোড ফোনের মধ্যে লিখে বাটন ফোনের কল করার বাটনে ক্লিক করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।
  • তারপর আপনি বিকাশের কিছু অপশান দেখতে পারবেন। সেখান থেকে আপনাকে নতুন একাউন্ট খোলার জন্য অপশান বেছে নিতে হবে।
  • তারপর আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার প্রদান করতে হবে।
  • ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার প্রদান করা হয়ে গেলে আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে।
  • এমন পাসওয়ার্ড দিতে হবে যেন অবশ্যই সেটা পাঁচ সংখ্যার হয়। আর অন্য কেউ যেন সেই পাসওয়ার্ড ধারণা করতে না পারে।
  • পাসওয়ার্ড সেট করা হয়ে গেলে আপনাকে ২৪ ঘন্টা সময় অপেক্ষা করতে হবে আপনার বিকাশ এখাউন্ট এক্টিভ হওয়ার জন্য।
  • তার পরে ২৪ ঘন্টা পরে আপনার বিকাশ একাউন্ট বাটন ফোনেই ব্যাবহার করতে পারবেন। আর সেটি একটি সচল বিকাশ একাউন্ট হয়ে যাবে।

বিকাশ মোবাইল অ্যাপ দিয়ে একাউন্ট খোলার নিয়ম

নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে মোবাইল অ্যাপ দিয়েও বিকাশ একাউন্ট খোলা সম্ভব। বাংলাদেশের এখন প্রায় সকল নাগরিকই স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করে থাকেন। আর তারা এই স্মার্ট ফোন দিয়ে খুব সহজেই একটি বিকাশ একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন। এটি একটি খুব সহজ ও সিম্পল কাজ। আপনি যদি পূর্বে থেকে এই বিষয়ে সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে চলুন এখনই জেনে নেওয়া যাক।

বিকাশ মোবাইল অ্যাপ দিয়ে একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
  • একটি স্মার্ট ফোন। আর তাতে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করা থাকতে হবে।
  • এন আই ডি কার্ডের মূল কপি।
বিকাশ মোবাইল অ্যাপ দিয়ে একাউন্ট খোলার নিয়ম হলোঃ
  • আপনার ফোনে প্রথমে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন।
  • তার পরে সেই বিকাশ অ্যাপে প্রবেশ করে সেখানে থাকা লগইন/রেজিস্টার বাটনে ট্যাপ করুন।
  • তারপরে আপনার সিমের অপারেটর বেছে নিন।
  • সিমের অপারেটর বেছে নেওয়া হয়ে গেলে সেখানে আপনার সিমের নাম্বার প্রদান করুন।
  • তারপরে আপনার ফোনের নাম্বারে একটি ভেরিফিকেশান কোড পাঠানো হবে। আপনি সেটি প্রবেশ করিয়ে পরবর্তি ধাপে যান।
  • এরপর বিকাশের কিছু শর্তাবলি দেখতে পাবেন। সেখান আপনার সম্মতি দিয়ে এগিয়ে যান।
  • এখন আপনার কাছে থেকে আপনার এন আই ডি কার্ডের ছবি চাইবে। সেখানে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রে প্রথমে সামনের ছবি এবং পরে পেছনের ছবি তুলে দিন
  • এখন আপনি আপনার সকল তথ্য দেখতে পারবেন। আপনার সকল তথ্য চেক করে নিন।
  • তথ্য চেক করা হয়ে গেলে সেখান থেকে এগিয়ে যান।
  • এই পর্যায়ে আপনার কাছে থেকে আই ডি কার্ডের ব্যাক্তির ফেসের ছবি চাইবে। চেহারার তার ছবি তুলুন।
  • এখন আপনার সকল তথ্য সাবমিট করুন এবং এগিয়ে যান।
  • এর পরে আপনাকে বিকাশে ভেরিফিকেশন মেসেজের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। বিকাশ এর জন্য সর্বোচ্চ ৪৮ ঘন্টা সময় নিয়ে থাকে।
  • মেসেজ পাওয়ার পরে আপনাকে পরবর্তি ৭২ ঘন্টা অর্থাৎ ৩ দিনের মধ্যে বিকাশ একাউন্টের পাসওয়ার্ড সেট করা লাগবে।
  • তার জন্য আপনি বিকাশ একাউন্টে প্রবেশ করে সেখান পিন সেট করুন ৫ ডিজিটের।
  • পিন সেট করা হয়ে গেলে আপনার বিকাশ একাউন্ট এবার বিকাশ অ্যাপে থেকে লগ ইন করতে পারবেন। তাই লগ ইন করে নিন।
  • আর হ্যা সবসময় আপনার বিকাশ একাউন্টের পাসওয়ার্ড গোপন রাখুন।

অ্যাপ ছাড়া বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনার কাছে যদি একটি স্মার্ট ফোন না থেকে থাকে তাহলেও আপনি অ্যাপ ছাড়াই বিকাশ একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন। আবার আপনি একই কাজ কোন প্রকার বিকাশ অ্যাপ ছাড়াই আপনি স্মার্ট ফোন থেকেও করতে পারবেন। এই কাজ কিভাবে করবেন তাহলে চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক।
  • প্রথমে আপনি আপনার ফোণের ডায়াল প্যাডে যান।
  • সেখানে গিয়ে ডায়াল করুন *247#
  • এই কোড ডায়াল করার পরে আপনার ফোনের কল করার বাটনে ক্লিক করুন।
  • এরপর আপনি যেই নাম্বার বিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন সেই নাম্বার দিন।
  • ফোনের নাম্বার দেওয়া হয়ে গেলে আপনার ভোটার আই ডি কার্ডের নাম্বার দিন।
  • এর পরে আপনার ফোনে একটি OTP কোড আসবে। সেই কোড বসিয়ে দিন।
  • এরপর আপনার বিকাশ একাউন্টের জন্য একটি পাঁচ সংখ্যার পাসওয়ার্ড সেট করুন।
  • পাসওয়ার্ড সব সময়ে গোপন রাখুন।

বিকাশ একাউন্ট লগইন

নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে বিকাশ একাউন্ট খোলার পরে সেই বিকাশ একাউন্টটি লগইন করতে হবে। বিকাশ একাউন্টে লগইন করার বিষয়টি অনেক সহজ একটি কাজ। আপনি খুব সহজেই এটি করতে পারবেন। তবে তার জন্য আপনাকে আপনার স্মার্ট ফোনের সাথে ইন্টারনেট সংযোগ রাখতে হবে। অন্যথায় আপনি এই কাজটি করতে পারবেন না।

বিকাশ একাউন্ট লগইন করার নিয়মগুলো হলোঃ
  • প্রথমে গুগল প্লে স্টর থেকে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে প্লে স্টোরে গিয়ে Bikash লিখে সার্চ করতে হবে।
  • তাহলেই আপনি বিকাশের অফিশিয়াল অ্যাপ পেয়ে যাবেন।
  • তারপর সেখান থেক বিকাশ অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন।
  • অ্যাপটি ইন্সটল করা হয়ে গেলে বিকাশ অ্যাপটি ওপেন করুন।
  • অ্যাপটি ওপেন করলেই আপনি দেখতে পারবেন দুটি অপশান। সেখা থেক লগ ইন/ রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করুন।
  • তারপরে আপনার বিকাশ নাম্বারটি চাইবে। সেখানে আপনার বিকাশ নাম্বারটি প্রবেশ করান। তবে অবশ্যই এই ক্ষেত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনার সেই বিকাশ নাম্বারটি যেনো অবশ্যই আপনারই এই ফোনে থাকতে হবে।
  • মোবাইল নাম্বার বসানো পরে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুণ।
  • পরবর্তী বাটনে ক্লিক করার একটু সময়ের মধ্যেই আপনার ফোনে একটি OTP কোড আসবে।
  • আর সেই নাম্বারটি আপনার উক্ত ফোনে সচল অবস্থায় থাকলে অটোমেটিক আপনার ফোনে কোডটি বসে যাবে। কোড বসে গেলে নিশ্চিত করুন অপশানে ক্লিক করুন।
  • তারপরে আপনার বিকাশ একাউন্টের পূর্বে দেওয়া পিন নাম্বারটি চাইবে। পিন নাম্বারটি দিয়ে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
  • এখন আপনার নামের প্রথম অংশ এবং শেষ অংশ লিখুন।
  • তারপরে আপনাকে আপনাকে একটি পোফাইল ছবি দিতে বলবে। আপনি আপনার ফোনের গ্যালারি থেকে ইচ্ছে মতন একটি ছবি সেট করে দিন।
  • ছবি সেট করা হয়ে গেলে ডান পাশের পরে করুন অপশানে ক্লিক করুন।
  • ব্যাস হয়ে গেলো আপনার ফোনের বিকাশ একাউন্টে লগইন করা।

বিকাশ একাউন্ট চেক করার সহজ পদ্ধতি

নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আমরা ইতিপূর্বে জেনেছি। আপনার বিকাশ একাউন্টে টাকা এসেছে কিনা সেটা চেক করার যায় সাধারণত ৩টি পদ্ধতিতে। আজকে আমরা এই তিনটি নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করবো। বিকাশ একাউন্টে ব্যালেন্স চেক করার তিনটি পদ্ধতি হলো
  • মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে চেক।
  • বিকাশের কোড ডায়াল করার মাধ্যমে চেক।
  • বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে চেক।
মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে চেক করার পদ্ধতিঃ
মোবাইলের বিকাশ একাউন্টে যখন যেকোন পরিমাণ টাকা প্রবেশ করুক অথবা বের করা হক না কেনো সেই লেনদেনের জন্য একটি করে মেসেজ বা বার্তা পাঠানো হয়। এই মেসেজে ট্রানজেকশন নাম্বার, কত টাকা লেনদেন করা হয়েছে, কোন নাম্বারে লেনদেন করা হয়েছে এই বিষয়ের সকল তথ্য জানানো হয়।

বিকাশের কোড ডায়াল করার মাধ্যমে চেক করার পদ্ধতি হলোঃ
  • মোবাইলের ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই স্মার্ট ফোন এবং বাটন ফোন থেকেই বিকাশের ব্যালেন্স চেক করা যায়। চলুন এবার জানি কিভাবে এই ব্যালেন্স চেক করতে হয়।
  • কোড দিয়ে ব্যালেন্স চেক করার জন্য প্রথমে আপনাকে মোবাইলের ডায়াল অপশানে লিখতে হলে *247#
  • এরপর আপনার যেই নাম্বারে বিকাশ একাউন্ট রয়েছে সেই নাম্বারে ফোন করার অপশান ক্লিক করতে হবে।
  • তারপর আপনার সামনে অনেকগুলো অপশান দেখতে পারবেন। সেখান থেকে আপনাকে My Bikash নামক অপশানটি বেছে নিতে হবে। তার জন্য আপনাকে 9 লিখে রিপ্লে করতে হবে।
  • এই লিখার পরে আপনার সামনে আরো অনেক অপশান দেখতে পাবেন। সেখান থেকে আপনাকে Chake Balance নামক অপশানটি বেছে নিতে হবে। আর তার জন্য আপনাকে 1 লিখে রিপ্লে করতে হবে।
  • এরপর আপনার কাছে থেকে আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন নাম্বার চাইবে।
  • এখানে আপনি আপনার বিকাশের পিন নাম্বার দিয়ে দিলে আপনার বিকাশ একাউন্টে কত টাকা রয়েছে সেটি জানতে পারবেন।
  • আর এভাবেই আপনি খুব সহজেই বিকাশের কোড ডায়াল করে ব্যালেন্স চেক করে নিতে পারবেন।
বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে ব্যালেন্স চেক করার নিয়মঃ
  • বিকাশ বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে ব্যালেন্স চেক করা অনেক সহজ। তার জন্য আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে বিকাশের অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে হবে।
  • বিকাশ মোবাইল অ্যাপ এর মধ্যে প্রবেশ করতে হবে।
  • এখানে যদি আপনার আগে থেকেই লগইন করা থেকে থাকে তাহলে আপনি শুধু বিকাশের পিন নাম্বার দিলেই আপনার বিকাশের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবেন।
  • আর উপরের ব্যালেন্স বার থেকে আপনার ব্যালেন্স চেক করে নিতে পারবেন।
  • আর যদি আপনার এইখানে পূর্বে থেকে লগইন করা না থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই উপরে কিভাবে এখানে লগইন করতে হয় সেটা দেখানো রয়েছে। এখান থেকে জেনে সঠিকভাবে লগইন করে নিবেন।
উপরের দেখানো এই সকল নিয়ম অনুযায়ী আপনার বিকাশ একাউন্টের টাকার পরিমাণ চেক করে নিতে পারবেন। আশা করছি বিষয়টি সম্পর্কে খুব ভালোকরে বুঝতে পেরেছেন। আর যদি কোথাও বুঝতে কোন অসুবিধা হয় তাহলে আমাদেরকে মন্তব্যের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন। আমরা আপনাকে বুঝানোর চেষ্টা করবো।

বিকাশ সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ বিকাশে একদিনে কত টাকা ক্যাশ আউট করা যায়?
উত্তরঃ বিকাশে একদিনে যেই সকল পরিমাণে আপনি লেনদেন করতে পারবেন তা হলো
  • সেন্ড মানি করতে পারবেন সর্বোচ্চ ৫০ বার। আর এই সর্বোচ্চ সীমা হলো প্রতিদিন ২ লক্ষ টাকা।
  • বিকাশ থেকে ব্যাংক এ নিতে পারবেন ১০ বার। আর এই সর্বোচ্চ সীমা হলো প্রতিদিন ৩ লক্ষ টাকা।
  • বিকাশ থেকে মোবাইল রিচার্জ নিতে পারবেন সর্বোচ্চ ৫০ বার। আর এই সর্বোচ্চ সীমা হলো প্রতিদিন ১ লাক্ষ টাকা।
প্রশ্নঃ বিকাশ হেল্প লাইন নাম্বার কত?
উত্তরঃ বিকাশ হেল্প লাইন নাম্বার হলো ১৬২৪৭

প্রশ্নঃ নতুন বিকাশ একাউন্ট খুললে কত টাকা বোনাস?
উত্তরঃ নতুন বিকাশ একাউন্ট খুললে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা পর্যন্ত বোনাস।

প্রশ্নঃ বিকাশ কাস্টমার কেয়ার কবে বন্ধ থাকে?
উত্তরঃ বিকাশ কাস্টমার কেয়ার প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার এবং সকল সরকারি ছুটি ব্যাতীত সব সময়েই খোলা থাকে।

সর্বশেষ মন্তব্য। নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। এই রকম আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন নিয়োমিত ফ্রীতে পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। আর সবার আগে এই ওয়েবসাইটের পোস্ট পড়ার জন্য গুগল নিউজ ফলো করে রাখুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পেপারস্পট২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url