অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করবেন যেভাবে

গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বাংলাদেশপ্রিয় পাঠক, অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করবেন কিভাবে আপনি যদি এই বিষয়ে জেনে না থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কিভাবে আপনি অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
ড্রাইভিং লাইসেন্সের চেক করার জন্য সকলের ক্ষেত্রে একটি রেফারেন্স নাম্বারের প্রয়োজন হবে। রেফারেন্স নাম্বার আপনি ছাড়পত্রের মধ্যে পেয়ে যাবেন। এটি আপনি ফর্মের মধ্যে পেয়ে যাবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ

ভূমিকা

অনলাইনের মাধ্যমে এখন খুব সহজেই বাড়িতে বসে থেকেই একটি মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করে নিতে পারবেন। আর এই কাজটি কিভাবে করতে হয় সেটি জানার জন্য শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন। তাহলে সহল কিছু বিস্তারিত জানতে পারবেন।

আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন তাহলে আপনি নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক, রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক, ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সফটওয়্যার সহ আরো অনেক কিছু বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে আর দেরি কেনো,চলুন বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক।

অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে হয় কিভাবে এটি আমাদের অনেকেরই অজানা। অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি চেক করে নিতে পারবেন। আপনারা অনেকেই এই সম্পর্কে জানতে চান এখন আপনারা যারা এ সম্পর্কে জানতে চেয়েও সঠিক তথ্যটি জানতে পারেন না। তারা আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন এখন জেনে নেই কিভাবে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করে নিতে পারবেন।
অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করে নেওয়ার জন্য আপনার দুটি তথ্য প্রয়োজন পড়বে। প্রথমটি হচ্ছে আপনার রেফারেন্স নাম্বার অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার। এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে আপনার জন্ম তারিখ। আপনার হাতে যদি এই দুটি তথ্য সঠিক থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে অনলাইনের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্সটা চেক করে নিতে পারবেন। কিভাবে চেক করবেন নিম্নে দেখুন।
  • যদি আপনার হাতে একটি স্মার্ট ফোন অথবা অন্য কোন ডিভাইস থেকে থাকে তাহলে প্রথমে আপনাকে বিআরটিএ এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। অথবা আপনি BRTA DL Checker এপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে পারেন।
  • তার জন্য অ্যাপ্লিকেশনটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিন।
  • এরপরে অ্যাপ্লিকেশনটি ইন্সটল করার পরে সেখানে প্রবেশ করলে আপনার সামনে দুটি অপশন আসবে, সেখান থেকে আপনি DL Number And Refference Number থেকে Refference Number অপশনটি বাছাই করে নেবেন।
  • তারপরে আপনার সামনে Date Of Birth এর একটি ঘর দেখতে পারবেন। এখানে আপনার জন্ম তারিখ বসান।
  • এর পরে সার্চ বাটনে ক্লিক করুন।
  • সার্চ বাটনে ক্লিক করার কিছুক্ষণ পরেই পেজটি একটু রিলোড নিয়েই আপনার সামনে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত সকল তথ্য দেখতে পারবেন। এখানে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স টি ডাউনলোড করার অপশনও পেয়ে যাবেন। ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর অনলাইন কমিটি পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করেও নিতে পারবেন।

বিআরটিএ ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

এখন আপনি খুব সহজেই অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার পাশাপাশি বিআরটিএ ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করে নিতে পারবেন। যে সকল ব্যক্তিগণ বিআরটিএ তে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন, তাদের আবেদন করার সময়ে তাদের কাছে থেকে তাদের হাতের ছাপ, তাদের স্বাক্ষর এবং তাদের ছবিসহ যাবতীয় সকল তথ্য গুলো সংগ্রহ করা হয়। এরপর তাদেরকে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করার জন্য বিআরটিআর পক্ষ থেকে একটি স্লিপ প্রদান করা হয়।

ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন প্রক্রিয়ার পরে ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড পাওয়ার জন্য অনেক সময় ধরে ধৈর্য ধারণ করে অপেক্ষা করতে হয়। অনেক অপেক্ষার পরে পরবর্তীতে বিআরটিএ কর্তৃক সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয় ড্রাইভিং লাইসেন্স কবে দেওয়া হবে সেটা সংগ্রহ করার ব্যাপারে।

তবে অনেক সময় দেখা যায় যে বিআরটিএ এর পক্ষ থেকে কবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে সেটা সম্পর্কে জানানো হয় না। তবে তাই সকলের উচিত যারা বিআরটিএর কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন অনলাইনের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করে নেয়া উচিত।

আর এটি কিভাবে করতে পারবেন সেটি সম্পর্কে নিজে স্ববিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে। তাই আপনি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। সকল বিষয় সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন।

নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

বর্তমান বাংলাদেশের সকল সুবিধা ডিজিটাল হওয়ার কারণে অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন আপনি ঘরে বসে থেকেই। আবার শুধু নাম দিয়েও ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করে নিতে পারবেন। নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার ক্ষেত্রে আপনি BRTA DL Checker মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে পারবেন। আর এটি ব্যবহার করেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ডের সকল তথ্য জানতে পারবেন। তবে এক্ষেত্র আপনার রেফারেন্স নাম্বার দরকার হবে। আর এই রেফারেন্স নাম্বারটি আপনি Temporary Authorization কাগজেই পেয়ে যাবেন।

রেফারেন্স নাম্বারের নমুনা হলোঃ BRTA Ref No. DM3NP95641

BRTA DL Checker মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি অনেক সময় সঠিকভাবে কাজ করে না। অনেক সময় এমন সমস্যা দেখা দেয় যে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর নম্বর দিও সার্ভার এর সাথে কানেক্ট করা সম্ভব হয় না। তাই আপনি যদি চান তাহলে মেসেজ দিয়েও চেষ্টা করে দেখতে পারেন। মেসেজ প্রদানের মাধ্যমে কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা যায় সেটা আপনি নিচের টব কে জানতে পারবেন।

নাম দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য আসলে কোনো তেমন একটা উপায় নেই। কারণ বিআরটিএ এমন কোন তথ্য প্রদান করে না শুধু নামের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা যায়। তাই আপনি শুধুমাত্র নাম ব্যবহার করে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন না।

এসএমএসের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার পাশাপাশি আপনি শুধুমাত্র একটি একএমএস করেই এসএমএসের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করে নিতে পারবেন। এসএমএস এর মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য আপনাকে নিম্নে দেখানো কিছু নিয়ম অনুসারে কাজ করতে হবে। তাহলে আপনি মেসেজ করার পর ফিরতি মেসেজে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের সকল তথ্য জানতে পারবেন। কিভাবে কাজ করতে হয় তাহলে চলুন নিজে জেনে নেই।
এসএমএসের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
মেসেজ করার মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য আপনাকে প্রথমে ফোনের মেসেজ অপশনে যেতে হবে।

সেখানে গিয়ে লিখতে হবে DL<Space>Reference Number। এটি সম্পূর্ণভাবে লেখা হয়ে গেলে এসএমএসটি আপনাকে ২৬৯৬৯ নাম্বারে পাঠিয়ে দিতে হবে। তারপরে কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার কাছে একটি ফিরতি এসএমএস আসবে। আর সেখান থেকেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার এবং বর্তমান ড্রাইভিং লাইসেন্স এর অবস্থা জানিয়ে দেওয়া হবে।

এসএমএস এর উদাঃ DL DM2P046

যদি আপনি উপরের দেখানোর নিয়ম অনুসারে BRTA DL Checker অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটা চেক করতে না পারেন তাহলে এসএমএস এর মাধ্যমে অনেক সহজে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করে নিতে পারবেন।

তবে অনেক সময় দেখা যায় অনলাইনের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সিস্টেমটি/সার্ভারটি বন্ধ থাকে। তাই খুব সহজে অতি দ্রুত ড্রাইভিং লাইসেন্সের চেক করার জন্য বর্তমান অবস্থা জানার জন্য এসএমএস অনেক কার্যকরী একটি মাধ্যম।

রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

যে সকল ব্যক্তিগণ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ২০২১ সালের জুন মাসের পূর্বে আবেদন করেছিলেন। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তাদের তথ্য প্রদান করেছিলেন তাদের সম্পর্কে বিআরটিএ থেকে জানানো হয়েছে যে সে সকল ব্যক্তিদের সকল ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফ্রেন্ড এর কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স টি সপূর্ণ হয়েছে কিনা সেটি আপনি সাধারণত দুই ভাবে চেক করতে পারবেন।
  • এসএমএসের মাধ্যমে
  • বিআরটিএ ওয়েবসাইট ব্যবহার করার মাধ্যমে
এসএমএসের মাধ্যমেঃ এসএমএস এর মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য আপনার ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখতে হবে DL<Space>Reference Number। তারপর সেই এসএমএসটি পাঠিয়ে দিতে হবে২৬৯৬৯ নম্বরে।

এসএমএস এর উদাঃ DL DM2P046

এই নিয়ম অনুযায়ী মেসেজ পাঠানোর পর কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার কাছে একটি ফিরতে মেসেজ আসবে। আর সেই মেসেজের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে।

বিআরটিএ ওয়েবসাইট ব্যবহার করার মাধ্যমেঃ আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে কিনা সেটি চেক করার জন্য আপনি বিআরটিএর ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। তার জন্য এই লিংকটি ব্যবহার করতে পারেন http://my.brta.gov.bd/dl_status.php

এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে আপনার থেকে প্রথমে DL Ref No আর তার পরে Date of Birth সম্পর্কে জানতে চাইবে। এই দুটি তথ্য প্রদান করার পরে আপনি যদি সেখানে Submit করেন তাহলে কিছুক্ষণের মধ্যে পেজটি একটু রিলোড নিয়েই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সফটওয়্যার

অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সফটওয়্যার ও ব্যাবহার করতে পারবেন। শুধুমাত্র একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি চেক করে নিতে পারবেন। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে কোন সফটওয়্যার টি ব্যবহার করে ড্রাইভিং লাইসেন্সটি চেক করব। তাহলে চলুন আমরা এখনই জেনে নেই কোন সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটা চেক করে নিতে পারবেন।

যে সকল ব্যক্তিগণ ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য সফটওয়্যার ব্যবহার করতে চান, তাদের জন্য সব থেকে ভালো সফটওয়্যার টি হল BRTA DL Checker। এটি আপনি গুগলের প্লে স্টোরে গিয়ে সার্চ করলে পেয়ে যাবেন খুব সহজেই। অথবা আপনি গুগলে যে সরাসরি সার্চ করে নিয়ে খুঁজে বের করে নিতে পারেন।

এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারবে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো। বর্তমানে এই সফটওয়্যারটি আপডেট করার কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্স খুব সহজে চেক করে নেওয়া যায়। কিভাবে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে হয় সেটি আমরা ইতিপূর্বেই আলোচনা করেছি।

ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড

অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার পাশাপাশি আপনি আবার সেই ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড করেও নিতে পারবেন। অনলাইন থেকে কিভাবে আপনি খুব সহজে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটা ডাউনলোড করে নিতে পারবেন সেই সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা জানতে চান, তাহলে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে একটা অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে হবে। অ্যাপ্লিকেশনটি হলো BRTA DL Checker। এই অ্যাপ্লিকেশনটি আপনি গুগল প্লে স্টোরে অ্যাভেইলেবল পেয়ে যাবেন। অথবা আপনি লিংকে ক্লিক করেও ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
  • এরপর এপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করা হয়ে গেলে সেখানে প্রবেশ করুন।
  • এখন আপনার সামনে দুটো অপশন আসবে। DL Number এবং Refference Number। এখান থেকে আপনি Refference Number অপশনটি সিলেক্ট করে নিন।
  • এর পরে আপনাকে Date Of Birth এর ঘরে আপনার জন্ম তারিখ সাল এবং মাস বসাতে হবে। তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন।
সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে নিচের লেখা সার্চ বাটনে ক্লিক করুন।
সার্চ বাটনে ক্লিক করার কিছুক্ষণের মধ্যেই পেজটি রিলোড হয়ে আপনার সামনে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত সকল তথ্য চলে আসবে। এর পরে আপনি নিজের ডাউনলোড নামক একটু বাটন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের অনলাইন কবে পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক সম্পর্কে আমরা ইতিপূর্বে আমরা জানতে পেরেছি। এই পাঠে আমরা জানবো মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক সম্পর্কে। মোবাইল নাম্বার দিয়ে কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা যায় এই সম্পর্কে কোন সঠিক তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কারণ একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে অনেকগুলো ড্রাইভিং লাইসেন্স করা থাকতে পারে। তাই সঠিক তথ্যটি জানা কোনভাবে সম্ভব নয়। আর এই তথ্যগুলো বিআরটিএ সার্ভার রাখেনা।

তাই আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য উপরের দেখানোর নিয়ম গুলোই ব্যবহার করতে হবে। আশা করছি আপনি সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। এর পরেও যদি আপনার কোন কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদেরকে মন্তব্যের মাধ্যমে জানাতে পারেন। আশা করছি আপনি সঠিক তথ্যটি জানতে পারবেন।

বাংলাদেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স কত প্রকার ও কি কি?

অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার পাশাপাশি আমাদের অনেকের মনেই এমন প্রশ্ন থাকে বাংলাদেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স কত প্রকার ও কি কি? চলুন তাহলে এই প্রশ্নের উত্তরও আমরা জেনে নেই। যেহেতু আমরা সকলেই ইতিপূর্বে অনলাইনের মাধ্যমে কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা যায় সেই সম্পর্কে জানলাম, সেহেতু আমাদের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানা উচিত যে বাংলাদেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স কত প্রকার এবং কি কি। তাহলে চলুন এই সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক।

আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে মোট ড্রাইভিং লাইসেন্স ধরনের প্রদান করা হয়। সেই প্রদাকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্সগুলো হলোঃ
  • পেশাদার লাইসেন্স
  • অপেশাদার লাইসেন্স
  • শিক্ষানবিস লাইসেন্স
  • পিএসভি লাইসেন্স
  • ইন্সট্রাক্টর লাইসেন্স

ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা খরচ হয়?
উত্তরঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে তৈরি করার খরচসমূহ হলো
  • মোটরসাইকেল ও হালকা মোটরযানের ক্ষেত্রে ৩৪৫ টাকা।
  • মোটরসাইকেল ও যেকোনো হালকা মোটরযান এক সাথে লাইসেন্সের ক্ষেত্রে ৫১৮ টাকা।
  • পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ৫ বছরের নবায়ন ফি সহ ১৬৮০ টাকা।
প্রশ্নঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য কি কি প্রয়োজন?
উত্তরঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে যেসকল তথ্যগুলো প্রয়োজন হয়, সেগুলো হলো
  • জাতীয় পরিচয়পত্র/ ভোটার আইডি কার্ড
  • দেশের নাগরিকত্ব সনদ
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য সার্টিফিকেট
  • পাসপোর্ট ও স্টাম্প সাইজের ২ কপি ছবি
প্রশ্নঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত সময় লাগে?
উত্তরঃ সাধারণত ড্রাইভিং লাইসেন্সের সকল পরীক্ষার পরের লার্নার লাইসেন্স নেয়ার ২ থেকে ৩ মাস পর ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে কত টাকা জরিমানা হয়?
উত্তরঃ বাংলাদেশের আইন ধারা-৬৬ অনুযায়ি আপনার যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরগাড়ি চালনা করতে গিয়ে এরেস্ট হন তাহলে আপনার অনধিক ২৫ হাজার টাকা জরিমানা সহ অনধিক ৬ মাসের সাস্তি হতে পারে।

প্রশ্নঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স কত প্রকার কি কি?
উত্তরঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স ৫ প্রকার। সেগুলো হলঃ
  • পেশাদার লাইসেন্স
  • অপেশাদার লাইসেন্স
  • শিক্ষানবিস লাইসেন্স
  • পিএসভি লাইসেন্স
  • ইন্সট্রাক্টর লাইসেন্স

লেখকের মন্তব্য

আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক সম্পর্কে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে উক্ত সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা বুঝতে পেরেছেন। যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এবং এই রকম তথ্যবহুল আরো আর্টিকেল প্রতিদিন ফ্রীতে পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পেপারস্পট২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url