আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা - আমাশয় হলে করণীয় কি
সকালে খালি পেটে ছোলা খাওয়ার নিয়মপ্রিয় পাঠক, আপনি কি আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? অথবা
আপনি কি আমাশয় হলে করণীয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি
পড়ুন। কারণ আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলে আমরা আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা এবং
আমাশয় হলে করণীয় কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন তাহলে আমাশয় হলে কি
খাবার খাওয়া যাবে না, আমাশয় হলে কি ডিম খাওয়া যায়, শিশুদের আমাশয় হলে কি
খাবার খাওয়া যাবে সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ
আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা
আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে জানার পূর্বেই আমাদেরকে অবশ্যই এই আমাশয় কি
সেই সম্পর্কে জানা উচিত। আমাশয় রোগটি হয় মানুষের শরীরের অন্ত্রে বিভিন্ন
প্রকারের রোগ জীবাণুর দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার কারণে। তবে এই আমাশয় রোগটি হওয়ার
জন্য বেশ কিছু কারণ রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হলো ব্যাকটেরিয়া অথবা
পরজীবীর সংক্রমণের কারণে।
আপনার শরীরের অন্ত্র যখন ব্যাকটেরিয়া অথবা পরজীবী সংক্রমিত হয়ে আমাশয় হবে তখন
আপনি এর বেশ কিছু উপসর্গ দেখে বুঝতে পারবেন। আর সেই সকল উপসর্গগুলো হলো জ্বর
হওয়া, বমি বমি ভাব অথবা বমি হওয়া, পেটে ব্যাথা অনুভুত হওয়া, শরীরের ওজন কমতে থাকা
অথবা ডায়রিয়া হওয়া। এই রোগটি হলো একটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগ। আপনার যদি এই
আমাশয় রোগটি হয় তাহল অবশ্যই আপনাকে অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
এবার মূল আলোচনায় অর্থাৎ আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে জানা যাক। যদি কোন
ব্যাক্তি আমাশয় রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে প্রয়োজনীয় খাবার গ্রহণ করা অনেক
জরুরী একটি বিষয়। কেননা এই রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য একমাত্র এই সকল খাবারই
সহায়তা করবে। নিম্নে আমাশর রোগীর জন্য বেশ কিছু খাবারের তালিকা উল্লেখ করা হলো।
চলুন দেখে নেওয়া যাক।
বিশুদ্ধ পরিষ্কার পানিঃ যদি আপনার আমাশয় এর সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তার
আপনাকে সবার প্রথমে যেই পরামর্শ দিবে সেটি হলো বেশি করে বিশুদ্ধ পানি পান করতে।
তবে শুধু মাত্র বিশুদ্ধ পানিই নয় তার সাথে স্যালাইন মিশিয়ে নিয়ে পানি খেতে হবে।
আর এই স্যালাইন পানি আপনাকে দিনে কিছুক্ষণ পর পর পান করতে হবে। এর ফলে আপনার
শরীরের পানি ঘাটতি পূরণ হবে এবং আপনার আমাশয় এর সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
কলাঃ আমাশয় এর সমস্যা দূর করার জন্য কলা অনেকটাই সাহায্য করে। কারণ কলাতে
রয়েছে উচ্চ মাত্রায় পটাসিয়াম। তাই এটি আমাশয় এর সমস্যায় অনেকটাই উপকারী। তবে আপনি
যদি পারেন সবুজ কলা খাওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ এটিতে উচ্চ মাত্রার
অ্যামাইলেজ-প্রতিরোধী স্টার্চ থাকে। যেটি খাবার হজম হতে অনেকটাই বেশি সময় নেয়।
তার ফলে আমাদের পেটের অন্ত্রে ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। যার হলে এটি আমাদের
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
সিদ্ধ আলুঃ কলার পরেই আমাশয় এর সমস্যার সমাধান করতে সিদ্ধ আলু অনেকটাই
ভূমিকা রাখে। তবে তার জন্য আপনাকে কোন প্রকার মশলা ছাড়াই আলু সেদ্ধ করে খেতে হবে।
সকালে এবং রাতে সেদ্ধ আলু খেলে খুব দ্রুত মুক্তি মিলবে।
বেলঃ আমাশয় রোগ থেকে মুক্তির জন্য বে এন্টিবায়োটিক ঔষধের মতো কাজ করে। তাই
আপনার যদি আমাশয় এর সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করুন পাকা বেল খেতে। তাহলে খুব
দ্রুতই মুক্তি পেয়ে যাবেন এই আমাশয় এর সমস্যা হতে। এছাড়াও যদি আপনার জন্য সম্ভব
হয় তাহলে সকালে এবং রাতে বেলের শরবত খেতে পারেন।
ওটমিলঃ পোরিজ আমরা প্রায় সকলে চিনি। তবে এই পোরিজকে আবার ওটমিল ও বলা হয়ে
থাকে। আপনার আমশয় এর চিকিৎসায় কার্যকর একটি সমাধান হতে পারে এটি। বিশেষজ্ঞরা
জানান, আমাশয় রোগের চিকিৎসার জন্য ওটমিল খাওয়া অনেক উপকারি। এটি শরীরের আমাশয়ের
ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে দেয়। তাই এটি আমাশয় এর সমস্যা হতে পরিত্রাণ দিতে সক্ষম।
কর্ন ফ্লেক্সঃ আমাশয় এর সমস্যা হতে মুক্তির জন্য অবশ্যই আপনাকে চেষ্টা
করতে হবে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে। তাই এর জন্য আপনি কর্ন ফ্লেক্স খেতে পারেন।
তবে আপনি যদি পারেন তাহলে ভুট্টাও খেতে পারেন। কারণ ভুট্টাতেও ভালো পরিমাণে
ফাইবার পাওয়া যায়। তাই এর পরিপেক্ষিতে বলা যেতে পারে ভুট্টার ফ্লেক্স আমাশয় রোগের
জন্য অনেক উপকারী।
থানকুনি পাতাঃ আমরা যারা গ্রামে থাকি তারা প্রায় সকলেই এই থানকুনি পাতা
চিনি। এটি অনেক উপকারী একটি ঔষধি গাছ। এই থানকুনি পাতা আপনি প্রতিদিন সকালে ঘুম
থেকে খালি পেটেই খেতে পারেন। আবার এই থানকুনি পাতার রস করে নিয়ে সেই রসের সাথে
মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। তার ফলে এটি আরো অনেক বেশি কার্যকর হবে। আপনার আমশয় এর
সমস্যার সমাধানের জন্য এই থানকুনি পাতার রস দিনে একবার অথবা দুইবার সেবন করতে
পারেন।
আমাশয় হলে করণীয় কি
আমরা সকলেই ইতিপূর্বে আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এই পাঠের
মধ্যে আমরা জানবো আমাশয় হলে করণীয় কি। যখন আমাশয় এর সমস্যা হয় তখন অনেকেই বুঝে
উঠতে পারেন না তাদের জন্য এর করণীয় কি হবে। ঠিক তেমনি আপনিও যদি এই সমস্যায় ভুগে
থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন আমরা এখন এটি জেনে নেই।
আমাশয় নামক এই ব্যাধিটি হলো একটি অতি সাধারণ ব্যাধি। তবে যদি আপনার শরীরে আমাশয়
নামক এই ব্যাধিটি বাসা বেধে বসে তাহলে অবশ্যই আপনাকে এটি প্রতিরোধ করতে হবে। তবে
বিভিন্ন ধরণের আমাশয় এর জন্য প্রতিরোধ ব্যাবস্থা ভিন্ন হয়। তবে সাধারণত তিন ধরণের
আমাশয় দেখতে পাওয়া যায়। সেগুলো হলো
- অ্যামিবিক আমাশয়
- বেসিলারি আমাশয়
- দীর্ঘস্থায়ী আমাশয়
আপনার যদি উপরের এই আমাশয় সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কিভাবে এটি প্রতিকার করবেন আর
কিভাবে এর লক্ষণ দেখে বুঝবেন সেই সকল বিষয় সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা
হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
অ্যামিবিক আমাশয়
এই আমাশয়টি হয়ে থাকে অ্যান্টামিবা হিস্টোলাইটিকা নামক পরজিবীর সংক্রমণের কারণে।
তবে এই আমশয়টি যাদের বয়স ৫ বছরের উর্ধে তাদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। আর যাদের বয়স ৫
বছরের কম তাদের ক্ষেত্রে এই আমাশয় এর প্রবণতা অনেকটাই কম। এই আমাশয় চেনার জন্য
কিছু লক্ষণ রয়েছে। সেগুলো হলো
- আক্রান্ত ব্যাক্তির অতিরিক্ত পরিমাণে পাতলা পায়খানা হতে থাকে
- এই আমাশয়ে আক্রান্ত হয়ে সাধারণত ডান সাইডের তলপেটে ব্যাথা করে
- মলের সাথে আম (শ্লেষ্মা ঝিল্লি) বেরিয়ে যেতে থাকে
বেসিলারি আমাশয়
এই আমাশয়টি হয়ে থাকে সিগেলা নামক ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে আমাদের অন্ত্রে সংক্রমণের
কারণে। এই রোগটি দেশের প্রায় বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হারে দেখা দিয়েছে। আর এই রোগে
আক্রান্তের ফলে অনেকে মৃত্যবরণ পর্যন্ত করছে। এই আমাশয়টি একটি মানুষ থেকে অন্য
মানুষের মাঝে সবথেকে বেশি ছড়ায় জীবাণুবাহী আধোয়া হাতের মাধ্যমে। আবার এটি
জীবাণুবাহী মাছি অথবা খাবারের মাধ্যমেও ছড়ায়। এই রোগটি চিহ্নিত করার জন্য বেশ
কিছু লক্ষণ রয়েছে। সেগুলো হলোঃ
- হঠাৎ করেই ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হতে থাকা
- আক্রান্ত ব্যাক্তির খিচুনি হতে পারে
- আক্রান্ত ব্যাক্তির তলপেটে অত্যাধিক পরিমাণে ব্যাথা করে
- রোগীর শরীরের তাপমাত্রা অনেকটাই বৃদ্ধি (জ্বর ১০২-১০৩ ডিগ্রি) পেতে পারে
- মলত্যাগের ফলে শরীরে পানি স্বপ্লতার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে যায়
আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে অবশ্যই আমাদের সচেতন হতে হবে। এই আমাশয়ের
লক্ষণ দেখে যদি আপনি এই রোগকে চিহ্নিত করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে দ্রুত
চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে
বিশ্রাম গ্রহণ এবং স্যালাইন খেতে হবে। তার পাশাপাশি ডাবের পানি, চিনির শরবত এবং
বিভিন্ন ধরণের ফলের রস খেতে হবে।
দীর্ঘস্থায়ী আমাশয়
আমরা সকলেই ইতিপূর্বে অ্যামিবিক আমাশয় এবং বেসিলারি আমাশয় সম্পর্কে জেনেছি। তবে
এই দুটি আমাশয় হলো স্বপ্লমেয়াদি। যদি কোন আমাশয় ৭ দিন অথবা তার কম সময়ের জন্য
স্থায়ি হয় তাহলে তাকে স্বপ্লমেয়াদি আমাশয় বলা হয়। যদি আপনার স্বপ্লমেয়াদি আমাশয়
হয়ে থাকে তাহলে সঠিক চিকিৎ নিলেই অল্পকিছুদেই সেরে যায়।
তবে যদি আপনার আমাশয় সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে সবসময়
চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। যদি আপনার দীর্ঘস্থায়ী আমশয় হয়েই থাকে তহলে
ভয়ের কোন কারণ নেই। সঠিক চিকিৎসা নিলে কিছুদিনের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান করা
সম্ভব। তবে একটু জটিলতা সৃষ্টি করে, আর সেটি হলো এই আমাশয়ের ফলে মলধার সর্বদায়
ফাঁক হয়ে থাকে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করলে সহজেই সমাধান করা সম্ভব।
আমাশয় হলে কি খাবার খাওয়া যাবে না
আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে আমরা পূর্বের পাঠে জানতে পেরেছি একজন আমাশয়
রোগি কোন কোন খাবার খাবেন। তারপরেও অনেকে এমন ধরণের প্রশ্ন করেন যে আমাশয় হলে কি
খাবার খাওয়া যাবে না? এই প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয় খাবার তো অবশ্যই খেতে হবে। তবে
কোন কোন খাবার খেতে আর কোন কোন খাবার খাওয়া যাবে না সেটি জেনে তারপরে খেতে হবে।
যদি আপনার আমশয় এর সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সবসময় চেষ্টা করবেন মশলাদার খাবার এড়িয়ে
চলার। এই সময়টাতে আপনাকে এমন ধরণের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে যেই সকল
খাবার আপনার পাকস্থলির ক্ষতি করতে পারে। এই সমস্যায় আক্রান্ত হলে আপনি কোন সকল
খাবার খাবেন না চলুন জেনে নেওয়া যাক।
- দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে
- ক্রিম এবং চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না
- সকল প্রকার মশলাজাত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে
- অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় পান করা যাবে না
- লাল মাংস এবং কাঁচা শাকসবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে
- বাদাম ,মটরশুটি ,বাঁধাকপি ,ফুলকপি এই জাতীয় খাবার খেলে আমাশয় এর সমস্যা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে
- চা, কফি অথবা যেকোন চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে
আমাশয় হলে কি ডিম খাওয়া যায়
পূর্বের পাঠ আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা তে আমরা জানতে পেরেছি একজন আমাশয় রোগির
জন্য কোন সকল খাবার খাওয়া উচিত হবে। আশা করছি আপনি সেই পাঠটি পড়ে সম্পূর্ণ বিষয়ে
জানতে পেরেছেন। এখন অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন আমাশয় হলে কি ডিম খাওয়া যায়? আপনি
যদি এই প্রশ্নের সম্মুখিন হয়ে থাকেন তাহলে চলুন জেনে নেই।
আপনার যদি আমাশয় সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার উচিত হবে সবার প্রথমে
বিশুদ্ধ পরিষ্কার পানি পান করা। যদি সম্ভব হয় তাহলে সকালে সন্ধায় ডাবের পানি পান
করুন। তবে আমাশয় এর সমস্যা সমাধান করার জন্য সবথেকে বেশি যেটি যাহায্য করে সেটি
হলো বেল এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। এই খাবার খেলে আপনার শরীরের আমাশয় এর জন্য
অনেকটাই উপকারি হবে।
তবে আপনি যদি আমাশয় এর অবস্থাতেও ডিম খেতে চান তাহলে আমাদের পরামর্শ হবে আপনি
একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ডিম না খাওয়াই উত্তম।
কারণ ডিমে রয়েছে সেলুলোজ। যেটি আপনার আমাশয় এর মাত্রাকে আরো বেশি বাড়িয়ে দিতে
পারে। তবে আমাশয় নিয়ন্ত্রনে আশার পরেও একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে তারপরে
ডিম খেতে হবে। আশা করছি আপনাকে এই বিষয়ে বুঝাতে পেরেছি।
আমাশয় রোগের ঔষধ
আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা মেনে খাবার খেয়েও যদি আমাশয় না কমে তাহলে অবশ্যই
আপনাকে এর ঔষধ খেতে হবে। তবে কোন সকল ঔষধ খেতে হবে সেই সম্পর্কে আপনাদের অনেকেরই
ধারণা নেই। আপনার ও যদি এই বিষয়ে জানা না থাকে তাহলে চলুন জেনে নেই। আমাশয় রোগের
জন্য যেই সকল ঔষধ ব্যাবহার করা হয় সেগুলো হলোঃ
- Alexid tablets
- Ambigme Tablet
- Basilex tablets
- Ceftriaxone
- Ciprofloxacin
- Emcil tablets
- Flagyl 400 mg tablet
- Idometrol Tablet
- Lexipen 200 tablets
- Librax tablets
- Normaxin tablets
- Pinam tablets
- Pivmecillinum
- PVCol tablets
- Relexid tablets
- Rcifax 400 mg tablet
- Zox tablets
উপরের উল্লিখিত এই সকল ঔষধগুলো আমাশয় রোগির ক্ষেত্রে দেওয়া হয়ে থাকে। তবে শুধু এই
সকল ঔষধই নয়। এছাড়াও আরো অনেক ধরণের অনেক কোম্পানির ঔষধ দেওয়া হয়। তবে সবথেকে
ভালো হয় যদি আপনি একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে তারপরে আমাশয় রোগের জন্য ঔষধ
গ্রহণ করেন।
আমাশয় রোগ সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞারা (FAQ)
প্রশ্নঃ আমাশয় অর্থ কি?
উত্তরঃ আমাশয় সৃষ্টি হয় আমাদের দেহের অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের
কারণে। যার ফলে আমাদের দেহে রক্ত বা শ্লেষ্মাযুক্ত ডায়রিয়ার সৃষ্টি হয়। এর
প্রধান উপসর্গগুলোর মধ্যে তলপেটের ডান দিকে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যাথা দেখা দিতে
পারে।
প্রশ্নঃ ডায়রিয়া হলে কতটুকু পানি পান করা উচিত?
উত্তরঃ যদি আপনার ডায়রিয়ার সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি প্রতিদিন ৮ থেকে ১০
গ্লাস পর্যন্ত পানি পান করুন।
প্রশ্নঃ আমাশয় হলে কি ঔষধ খেতে হবে?
উত্তরঃ আপনার যদি আমাশয় এর সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে একজন ডাক্তারের পরামর্শ
নিয়ে নরফ্লক্স টি জেড ট্যাবলেট (Norflox Tz Tablet) গ্রহণ করতে পারেন।
প্রশ্নঃ আমাশয়ের জন্য ঘি খাওয়া যাবে কি?
উত্তরঃ আমাশয়ের জন্য ঘি খাওয়া যাবে। এটি দিনে ২ থেকে ৩ বার খাওয়া যেতে
পারে। এটি দুই থেকে ৩ দিন খেলে তা ঢিলা গতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়।
প্রশ্নঃ পাতলা পায়খানা হলে কোন ঔষধ খেতে হবে?
উত্তরঃ যদি আপনার পাতলা পায়খানার সমস্যা অত্যাদিক হয়ে থাকে তাহলে আপনি
জিংক ট্যাবলেট ওষুধটি সেবন করতে পারেন। এটি সেবনের ফলে পাতলা পায়খানা
এক-চতুর্থাংশ কমিয়ে নিয়ে আসে।
শেষ কথা। আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা
আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলে আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
করেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে এই বিষয়ে
বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। যদি আপনার কাছে এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই
আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও জানার জন্য সুযোগ করে দিন। এমন আরো
তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন ফ্রিতে পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
পেপারস্পট২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url