বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল অনুচ্ছেদ
বঙ্গবন্ধু টানেল রচনা সকল শ্রেণীর জন্যপ্রিয় পাঠক, বঙ্গবন্ধু টানেল অনুচ্ছেদ সম্পর্কে আপনি জানার জন্য আগ্রহি।
তাহলে আপনি এখন একদম সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে উক্ত বিষয়
সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। বঙ্গবন্ধু টানেল অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জানার
জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন তাহলে আপনি
বঙ্গবন্ধু টানেল কোথায়, বঙ্গবন্ধু টানেল এর প্রস্থ কত, কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন
২০২৩, বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন তারিখ, বঙ্গবন্ধু টানেল সম্পর্কে সাধারণ
জ্ঞান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল অনুচ্ছেদ জানতে পারবেন।
তাহলে চলুন এখন বেশি দেরি না করে বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক।
পেজ সুচিপত্রঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল অনুচ্ছেদ
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল অনুচ্ছেদ
- বঙ্গবন্ধু টানেল কোথায়
- বঙ্গবন্ধু টানেলের দৈর্ঘ্য কত
- বঙ্গবন্ধু টানেল এর প্রস্থ কত
- বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন - কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন ২০২৩
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল টোল ফি কত
- বঙ্গবন্ধু টানেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান (FAQ)
- লেখকের মন্তব্য
বঙ্গবন্ধু টানেল অনুচ্ছেদ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল অনুচ্ছেদ
বঙ্গবন্ধু টানেল কে অনেকেই আবার কর্ণফুলি টানেল ও বলে থাকেন। এটিকে কর্ণফুলি টানেল বলার বলার মূল কারণ হলো এটি কর্ণফুলির নদীর নিচে অবস্থান বলে। আসলে এই টানেলের মূল নাম হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। আর তাই অনেকে সংক্ষিপ্ত আকারে একে বঙ্গবন্ধু টানেল বলে থাকেন।
এই বঙ্গবন্ধু টানেল বা বঙ্গবন্ধু টানেল এটি কর্ণফুলি নদীর দুইপাশকে একসাথে সংযুক্ত করেছে। এই টানেলের সাথে তিনটি মহাসড়ক যুক্ত হবে। ঢাকা মহাসড়ক, চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং কক্সবাজার মহাসড়ক। যার ফলে আগের তুলনায় এখন আরো কম সময়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে যাওয়া যাবে।
এই টানেলটির দৈর্ঘ্য দৈর্ঘ হলো ৩.৪৩ কি.মি.। এই টানেলটি কর্ণফুলীর নদীর মধ্যভাগে ১৫০ মিটার ফুট গভীরে অবস্থান করবে। ১৮ই অক্টোবর ২০১৬ সালে টানেলটির জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের রাষ্ট্রপতি শি-জিন-পিং এই ভিত্তিপ্রস্তরটি স্থাপন করেন। এই টানেলটির কাজ এখনো চলমান রয়েছে।
আরো পড়ূনঃ রোল নাম্বার দিয়ে এসএসসি রেজাল্ট চেক ২০২৪
২০২২ সালের মধ্যেই এই টানেলটির কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেটা করার সম্ভব হয়নি। সেটি এসে ক্রমান্বয়ে এখন এসে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর এই টানেলটির শুভ উদ্ভোধন করা হয়। প্রথমে টানেলটির নির্মাণ ব্যয় ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। এই টাকা ঋণ করা হয় চিন থেকে। চীনের এক্সিম ব্যাংক ২০ বছর মেয়াদি ঋণ হিসাবে দুই শতাংশ সুদে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা।
২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে চীনের প্রধান রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং ঢাকা সফর করতে এসে কর্ণফুলী টানেল তৈরির নির্মাণের ঋণ চুক্তিকে স্বাক্ষণ করে বাংলাদেশকে ঋণ প্রদান করেন। এই টানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে শিল্প কাচামাল নিয়ে আসা অনেক সহজ হবে। এছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কাঁচামাল পরিবহন করা অনেক সহজ হবে।
বঙ্গবন্ধু টানেল অনুচ্ছেদ নতুন নিয়মে
বঙ্গবন্ধু টানেল বা সুরঙ্গ চট্টগ্রাম এলাকার কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে বয়ে যাওয়া বঙ্গবন্ধু টানেল কর্ণফুলী নদীর দুইপাশের অঞ্চলের মানুষকে একসাথে যুক্ত করবে। এই বঙ্গবন্ধু টানেল এর মধ্য দিয়ে যুক্ত হবে ঢাকা, কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম এই তিনটি মহাসড়ক। এই টানেলটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা শহরের আনোয়ারার সাথে সংযোগ স্থাপন করে।
কর্ণফুলী নদীটি চট্টগ্রাম শহরকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করে নিয়েছে। এই নদীর উপর দিয়ে প্রবাহমান তিনটি সেতু রয়েছে। আর এই চট্টগ্রাম শহরের কাছে যেহেতু সমুদ্র বন্দর তাই এই সেতুগুলোতে গাড়ির চাপ অনেকটাই বেঁচে থাকে। এছাড়াও নদীর তলদেশে পলিমাটি অত্যাধিক পরিমাণে জমে যাওয়ার কারণে এই নদীর উপর দিয়ে অন্য আরেকটি সেতু তৈরি করা অনেকটাই ক্ষতিকর। আর এজন্য অনেক গবেষণার পরে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে স্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল।
তবে এই তিনটি সেতুতে গাড়ি চলাচলের চাপ বেশি থাকায় গাড়ি চলাচল যেন সহজ হয় এবং বাংলাদেশের বানিজ্য খাত উন্নত হয় সেজন্য এই টানেলটি স্থাপন করা হয়েছে। এই বঙ্গবন্ধু টানেলটি দৈর্ঘ্য ৯.৩৯ কিলোমিটার বা ৫.৮৩ মাইল। এবং মূল টানেলের দৈর্ঘ্য হলো ৩.৩১৫ কিলোমিটার। বঙ্গবন্ধু টানেল এর সর্বমোট ব্যাস হলো ১০.৮০ মিটার অথবা ৩৫.৪ ফুট। এই বঙ্গবন্ধু টানেল দক্ষিণ মহাদেশের মধ্যে প্রথম সর্ববৃহৎ একটি টানেল।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং চীনের রাষ্ট্রপতি সি জিন পিং এর সাথে এই প্রকল্পের বৃদ্ধি বস্তুর স্থাপন করেন ১৪ অক্টোবর 2016 সালে। তারপরও ভর্তি সময়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ শে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে এই বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণ কাজের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এই টানেলটি তৈরির ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা পুরোটাই চেঞ্জ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু টানেল তৈরির ক্ষেত্রে সর্বমোট ব্যয় করা হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। যার মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির মধ্য থেকে দেওয়া হচ্ছে ৪ হাজার ৪৬১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এবং বাকি অবশিষ্ট টাকা চীন সরকার দুই পার্সেন্ট সুদের হারে চীনের এক্সিম ব্যাংক হতে সরবরাহ করছে। এই কাজটি করার জন্য চীনের কনস্ট্রাকশন একটি কোম্পানি যার নাম চায়না কমিউনিকেশন এন্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। যে কোম্পানিকে সংক্ষেপে বলা হয় (CCC)
এই বঙ্গবন্ধু টানেলটিতে একদিকে চলাচল করার জন্য প্রতিটি টিউবে দুইটি লেনের সড়ক থাকবে। এই টানেলটি তৈরির ফলে বৈশ্বিক যোগাযোগ যুক্ত হবে বাংলাদেশের সাথে। আর তার ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন হবে। এছাড়াও কর্ণফুলী নদীর পূর্ব পাশের যে সকল শিল্প কারখানা রয়েছে তার থেকে পরবর্তীতে আরও অনেক শিল্প-কারখানা গুলো স্থাপন বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে বাংলাদেশ শিল্প উন্নয়ন এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে যাবে।
এছাড়াও বঙ্গবন্ধু টানেল স্থাপন করার ফলে শিল্প বন্দর হতে বিভিন্ন ধরনের শিল্পের কাঁচামাল পরিবহন সহজতর হবে। এই বঙ্গবন্ধু টানেল সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার একটি মাইলফলক। যেটি বাংলাদেশের অর্থনিতীতে উন্নয়ন ঘটানোর পাশাপাশি শিল্পের বিকাশ সাধনে এবং যোগাযোগ ব্যাবস্থা সহজ করা জন্য অনেকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বঙ্গবন্ধু টানেল কোথায়
বঙ্গবন্ধু টানেল অনুচ্ছেদ এর এই পর্যায়ে আমরা জানবো বঙ্গবন্ধু টানেল কোথায় অবস্থিত। বঙ্গবন্ধু টানেল কোথায় অবস্থিত এই বিষয়ে অনেকেই অবগত নয়। তাই যারা অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও সঠিকভাবে জানতে পারছেন নাহ যে বঙ্গবন্ধু টানেল কোথায় অবস্থিত তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আশা করছি আপনি আর অনেক বিষয়ে তথ্য জানতে পারবেন।
বঙ্গবন্ধু টানেল চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীর তলদেশে অবস্থিত। এটি একটি সড়ক সুরঙ্গ।
এই সড়ক সুরঙ্গটি চট্টগ্রাম শহরের নদীর দক্ষিণ পাড়ের একটি প্রান্ত রয়েছে আনোয়ারা
প্রান্ত। কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড এবং চিটাগাং ইউরিয়া
ফার্টিলাইজার লিমিটেড এই দুই কারখানার মাঝামাঝি স্থান দিয়ে গিয়ে নদীর অপর
প্রান্তে পৌছেছে।
এই সড়ক সুরঙ্গটি নদীর দুই অপর প্রান্তের অঞ্চলকে যুক্ত করেছে এটি। এই সুরঙ্গের
মাধ্যমে ৩টি মহাসড়ককে যুক্ত করা হয়েছে। সেগুলি হলো ঢাকা মহাসড়ক, চট্টগ্রাম মহাসড়ক
এবং কক্সবাজার মহাসড়ক। এটিই হলো বাংলাদেশের মধ্যে একটি প্রথম সুরঙ্গপথ। যা দক্ষিণ
এশিয়ার মধ্যে সবথেকে দীর্ঘতম সুরঙ্গ সড়ক।
বঙ্গবন্ধু টানেলের দৈর্ঘ্য কত
বঙ্গবন্ধু টানেলের টানেল হলো বাংলাদেশের প্রথম একটি সুড়ুঙ্গ পথ। যা দক্ষিণ এশিয়ার
একটি সর্ব বৃহৎ সুড়ঙ্গ পথ। এই বঙ্গবন্ধু টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার। যা
তৈরির কাজ করেন চীনা একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠান। যার নাম হলো চায়না
কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোং লিমিটেড। এই সুড়ঙ্গ পথটি কর্ণফুলি নদীর মাঝ
বরাবর ১৫০ ফুট গভির তলদেশ দিয়ে অবস্থিত।
বঙ্গবন্ধু টানেল এর প্রস্থ কত
বঙ্গবন্ধু টানেল অনুচ্ছেদ এর মধ্যে প্রস্থ কত এই সম্পর্কে জানতে চাওয়া আপনাদের
মধ্যে এটি একটি কমন প্রশ্ন। এটিই হলো দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাশে নির্মিত সবথেকে
বড় সুরঙ্গ পথ। যা এর আগে কোন দেশ নির্মাণ করে নি। চলুন এখন আমরা এর প্রস্থ কত সে
সম্পম্পর্কে জেনে নেই।
আরো পড়ূনঃ
ব্যাংকের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ
২০২২ সালের মধ্যেই এই সুড়ঙ্গ নির্মাণ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু এই টানেলের কাজ ২০২৩
সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত এর নির্মাণ কাজ অব্যাহত ছিলো। বঙ্গবন্ধু টানেল এর
প্রতিটি টিউবের প্রস্থ ৩৫ ফুট আর এর উচ্চতা হলো ১৬ ফুট। এই টানেলের মূল দৈর্ঘ হলো
৩.৪৩ কি.মি. আর এছাড়াও এর সাথে ৫.৩৫ কি.মি. এর সড়ক সংযুক্ত রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন - কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন ২০২৩
বঙ্গবন্ধু টানেল অনুচ্ছেদ এর এই পর্যায়ে আমরা সকলেই জানবো বঙ্গবন্ধু টানেল
কবে উদ্বোধন করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবথেকে দীর্ঘতম টানেল বাংলাদেশে এই
প্রথম। এই টানেলের নাম বঙ্গবন্ধুর স্বরণে রাখা হয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের
উদ্যোগে এই টানের কর্ণফুলি নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মান করা হয়েছে। এই বঙ্গবন্ধু
টানেল সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ২৮ অক্টোবর ২০২৩।
বঙ্গবন্ধু টানেল ২৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখের বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটে বর্তমান
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তিনি ফলক উন্মোচন করার
মাধ্যমে এই টানেলের শুভ উদ্ভোদন করেন। তারপরে তিনি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার গাড়িবহর নিয়ে ১১টা ৫০ মিনিটে টানেলের মধ্যে প্রবেশ করেন।
টানেলের মধ্যে প্রবেশ করার পরে তিনি ১২ টার দিকে টানেলের অপরপ্রান্তে পৌছান। আর
সেখানে পৌছে তিনি সেখানের টোল পরিশোধ করেন। সেখানে থেকে তিনি টানেল উদ্বোধন করার
পরে তিনি আনোয়ারা প্রান্তে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ কতৃক আয়োজিত সুধী
সমবেশে বক্তব্য প্রদান করবেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল টোল ফি কত
বঙ্গবন্ধু টানেল অনুচ্ছেদ সম্পর্কে আমরা জানলাম। এখন আমরা জানবো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল টোল ফি কত সেই সম্পর্কে। বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ করা হয়েছে বাংলাদেশের কর্ণফুলি নদীর ১৫০ ফুট গভীর তলদেশ
দিয়ে।এখন আমাদের মনে সকলেরই এই প্রশ্ন জাগতে পারে যে, টানেল তো তৈরি হয়ে গেলো এখন
এখান দিয়ে পার হতে হলে আমাদেরকে কত টাকা টোল প্রদান করতে হবে। হ্যা বন্ধুরা এখন
আমরা সেই বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করবো।
বঙ্গবন্ধু টানেল এর পারাপারের টোল হার নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
- নিজের ব্যাক্তি গত গাড়ি আর পিক আপ এর জন্য টোল ফি এর পরিমাণ হলো ২০০ টাকা।
- মাইক্রোবাস এর জন্য টোল ফি এর পরিমাণ হলো ২৫০ টাকা।
- বাসে আসন সংখা ৩১ এর কম হলে টোল ফি হলো ৩০০ টাকা।
- বাসের আসন সংখ্যা ৩১ এর অধিক হলে টোলের পরিমাণ ৪০০ টাকা।
- ট্রাকের ওজন যদি ৫ টন হলে টোল ফি এর পরিমাণ ৪০০ টাকা।
- টাকের ওজন ৮ টন হলে টোল ফি এর পরিমাণ ৫০০ টাকা।
- ট্রাকের ওজন ১১ টন হলে টোল ফি এর পরিমাণ ৬০০ টাকা।
- ত্রিএক্সএল ট্রেলারের জন্য টোল ফি এর পরিমাণ ৮০০ টাকা।
- ফোরএক্সএল ট্রেলারের জন্য টোল ফি এর পরিমাণ ১০০০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু টানেল অনুচ্ছেদ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান (FAQ)
প্রশ্নঃ দেশের প্রথম টানেল নির্মিত হবে কোথায়?
উত্তরঃ দেশের প্রথম টানেল নির্মিত হবে চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীর তলদেশে।
এটি দক্ষিণ এশিয়া মহাদেশের মধ্য সবথেকে দীর্ঘ টানেল।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু টানেলের টিউব সংখ্যা কত?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু টানেলের টিউব সংখ্যা হলো দুইটি।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু টানেলের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার (২.০৬ মাইল)
এবং প্রস্থ ১০.৮ মিটার (৩৫ ফুট)।
প্রশ্নঃ কর্ণফুলী টানেলের খরচ কত?
উত্তরঃ প্রথম যখন এই টানেলের প্রকল্পটি পাশ করা হয় তখন এর খরচ ধরা হয়েছিল
৮ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। পরবর্তিতে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শুরু না হওয়ার কারণে ২০১৮
সালের নভেম্বর মাসে প্রথম দফা সংশোধন করার পরে এর খরচ নির্ধারণ করা হয় ১০ হাজার
৩৭৪ কোটি টাকা।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু টানেল কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু টানেল হলো বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলে অবস্থিত। আর
এই টানেলটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ পতেঙ্গা হতে আনোয়ারা
উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল কত সালে নির্মাণ কাজ শুরু
হয়?
উত্তরঃ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম টানেলের
উদ্বোধন করেন। পরবর্তিতে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দ্বিতীয় টিউবের নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন
করেন।
প্রশ্নঃ কর্ণফুলী টানেল এর গভীরতা কত ফুট?
উত্তরঃ নদীর তলদেশে কর্ণফুলী টানেল বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল
এর এর গভীরতা হবে ১৮ থেকে ৩১ মিটার।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু টানেলের ব্যাস কত?
উত্তরঃ মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার এবং ব্যাস ১০.৮০ মিটার।
প্রশ্নঃ মূল টানেলের দৈর্ঘ্য কত?
উত্তরঃ মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৩১৫ কিমি।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের এপ্রোচ সড়কের দৈর্ঘ্য কত?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের এপ্রোচ সড়কের দৈর্ঘ্য ৫.৩৫
কিমি।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন কত তারিখ?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করা হয় ২৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখের
বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটে।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে টোল খরচ কত টাকা?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে টোল খরচের তালিকা নিম্নে
প্রকাশ করা হলোঃ
- কার, জীপ এবং পিকআপের জন্য টোল – ২০০ টাকা
- মাইক্রোবাসের জন্য টোল - ২৫০ টাকা
- বাস (৩১ আসন বা এর কম) – ৩০০ টাকা
- বাস (৩২ আসন বা এর বেশি) – ৪০০ টাকা
- বাস (৩ এক্সল) – ৫০০ টাকা
- ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত) – ৪০০ টাকা
- ট্রাক (৫.০১ টন হতে ৮ টন পর্যন্ত) – ৫০০ টাকা
- ট্রাক (৮.০১ টন হতে ১১ টন পর্যন্ত) – ৬০০ টাকা
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু টানেলের উচ্চতা কত?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু টানেলের উচ্চতা হলো ১৪.৫ মিটার অথবা ৪৭ ফুট।
লেখকের মন্তব্য। বঙ্গবন্ধু টানেল অনুচ্ছেদ
আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো বঙ্গবন্ধু টানেল অনুচ্ছেদ
সম্পর্কে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বুঝতে
পেরেছেন। যদি অনুচ্ছেদটি ভালো লেগে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। প্রতিদিন আরো এমনই তথ্যবহুল আর্টিকেল নিয়োমিত পড়তে আমাদের সাথেই
থাকুন। ধন্যবাদ।
পেপারস্পট২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url