হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়মগুলো জেনে নিন

কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিকপ্রিয় পাঠক, আপনি কি হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি এখন সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই জানার জন্য অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম
আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন তাহলে আপনি হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা, হাতিশুর গাছ কোথায় পাওয়া যায়, হাতিশুর গাছের পাতার উপকারিতা হাতিশুর গাছের ফুল খাওয়ার কারণ এবং হাতিশুর গাছের অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ

হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম

হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম রয়েছে বেশকিছু। সেখান থেকে আমরা আপনাদের সাথে সবথেকে গ্রহণযোগ্য এবং উপকারি নিয়মগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। যাতে করে আপনি এই নিয়ম অনুসরণ করে হাতিশুর গাছের শিকড় খেয়ে উপকার ভোগ করতে পারেন। তাই চলুন এই আর বেশি দেরি না করে মূল এবং বিস্তারিত আলোচনায় প্রবেশ করা যায়।
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম
হাতিশুর গাছের শিকড় যদি সঠিক নিয়ম অনুযায়ি খাওয়া হয় তাহলে এখান থেকে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। অনেক ধরণের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এটি একটি ভেষজ ঔষধি গুণাগুণ সম্পন্ন। যার জন্য এই গাছের পাতা এবং শিকড় বিভিন্ন মানুষজন সেবন করতে বলেন। তবে এটি সেবন করার জন্য বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। সেই সকল সঠিক নিয়মগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো।
  • শরীরের কোন অংশে যদি ফুলে যায় তাহলে সেখানে হাতিশুর গাছের পাতার রস দিলে এবং তার সাথে সাথে হাতিশুর গাছের শিকড় চিবিয়ে খেলে সেই ফোলা কমে যায়। এবং সকল প্রকার বিষাক্ত আক্রমণ দূর হয়।
  • যদি শারীরের কোন স্থানে আঘাত লাগে অথবা কেটে যায়, তাহলে সেখানে হাতিশুর গাছের শিকড় বেটে লাগিয়ে দিলে সেখানের ব্যাথা খুব দ্রুতই কমে যায়।
  • শরীরের কোন স্থানে যদি কোন প্রকারের বিষাক্ত পোকা কামড় দেয় এবং সেই স্থানি অনেক বেশি জ্বালাপোড়া করে তাহলে সেই স্থানে হাতিশুর গাছের পাতার রস লাগিয়ে দিতে পারেন। তাহলে সেখানে জ্বালাপোড়া এবং ফোলাভাব কমে যাবে খুব সহজেই।
  • যদি আপনার জ্বর অথবা অতিরিক্ত ঠান্ডা লেগে থাকে তাহলে আপনি এই হাতিশুর গাছের শিকড় গরম পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে খেতে পারেন। তাহলে দেখবেন কিছু সময়ের মধ্যেই আপনার ঠান্ডা কেটে গেছে।
  • যদি কারো টাইফয়েড জ্বর হয়ে থাকে তাহলে তাকে এই হাতিশুর গাছের শিকড়ের রস গরম পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে তারপরে সেই রস ছেকে নিয়ে পানিতে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে।
  • শরীরের কোথাও যদি অনেক বেশি ব্যাথা করে তাহলে সেই স্থানে হাতিশুর গাছের পাতা এবং তার সাথে পাতার রস লাগিয়ে দিতে পারেন। তারপরে সেখানে ভালোভাবে মালিশ করবেন। দেখবে কিছু সময়ের মধ্যেই আপনার সেই স্থানের ব্যাথা কমে গিয়েছে।
  • হাতিশুর গাছের পাতার রস আপনারা আবার গরম করেও খেতে পারেন। এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারি।
এই ছিলো হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার সকল ধরণের নিয়ম। এই নিয়ম অনুসরণ করেই আপনি এই হাতিশুর গাছের শিকড় খেতে পারেন। এছাড়া আবার অনেকেই আছেন যারা হাতিশুর গাছের শিকড় থেকে রস বের করে নিয়ে সেই রস মধুর সাথে খান। আপনি যদি চান তাহলে সেইভাবেই হাতিশুর গাছের শিকড় খেতে পারেন।

হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা

হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়মগুলো আমরা সকলেই ইতিপূর্বে জানতে পারলাম। এই পাঠের মধ্যে আমরা জানবো হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা সম্পর্কে। এই হাতিশুর গাছের শিকড় অনেক ধরণের চিকিৎসায় ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও এই গাছের শিকড়ের বেশ কিছু উপকারি দিকও ও লক্ষ্য করা যায়। আপনারা যারা এই গাছের উপকারি দিকগুলো জানেন না তাদের জন্যই আজকের এই পাঠের আলোচ্য বিষয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
  • আমাদের অনেকের শরীরে ছত্রাকজনীত সংক্রমণ দেখা দেয়। যেমন শরীরের লালচে দাগ অথবা বিভিন্ন ধরণের চুলকানি অথবা দাউদ। এই সকল ছত্রাকজনিত সংক্রমণ হলে এই হাতিশুর গাছের শিকড়ের রস যদি লাগিয়ে দেন তাহলে সেখানের সংক্রমণ অনেকটাই কমে যাবে।
  • যদি দেখতে পান আপয়ান্র মুখের দাঁতের মাড়ি ফুলে গিয়েছে অথবা ব্যাথা হয়েছে তাহলে আপনি হাতিশুর গাছের শিকড় চিবুতে পারেন। এর ফলে আপনার দাঁতের ব্যাথা উপশম হএয় যাবে।
  • যদি জ্বর, কাশি অথবা ঠান্ডা লেগে থাকে তাহলে হাতিশুর গাছের শিকড়ের সাথে পানি ফুটিয়ে খেলে অনেকটাই উপকার পাওয়া যায়।
  • যদি আপনার চোখ কোন কারণে ফুলে যায় অথবা লাল হয়ে যায় তাহলে তার জন্য আপনি সকালে এবং সন্ধ্যায় হাতিশুর গাছের শিকড় চাবাতে পরেন। অথবা পানির সাথে ফুটিয়ে খেতে পারেন।
  • মুখের ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য হাতিশুর গাছের পাতা অথবা শিকড়ের রস ব্যাবহার করতে পারেন। এর জন্য কিছুটা রস বের করে নিয়ে তারপরে ব্রণের স্থানে লাগাতে হবে।
  • শরীরের কোন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে যদি ফুলে যায় তাহলে সেই ফোলা স্থানে হাতিশুর গাছের শিকড়ের রস লাগিয়ে দিলে সেখানে ফোলাস্থান কমে যায়।
  • যদি আপনার অত্যাধিক পরিমাণে কাশি থেকে থাকে তাহলে আপনি হাতিশুর গাছের পাতার রস বের করে খেতে পারেন। এতে করে আপনি অনেকটাই আরাম অনুভব করবেন।
  • যদি ঠান্ডা লাগার কারণে সর্দি লেগে থাকে তাহলে আপনি এই হাতিশুর গাছের পাতার রস সেবন করতে পারেন। তাহলে এটি আপনার সর্দি কমানোর জন্য অনেকটাই সাহায্য করবে।
  • যদি বিষাক্ত কোন পোকামাকড় কামড়ে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে তাহলে সেই যন্ত্রণা কমানোর জন্য আপনি হাতিশুর গাছের পাতার রস সেখানে লাগাতে পারেন। তাহলে জ্বালাপোড়া কমে যাওয়ার সাথে সাথে এর থেকে ব্যাথাও কমে যাবে।
হাতিশুর গাছের এই সকল উপকারী দিক ছাড়াও আরও একটি উপকারি দিক হলো এটি আমাদের শরীরের একজিমা রোগ থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। যদি কারো এমন একজিমা রোগ থাকে তাহলে আপনি এই হাতিশুর গাছের শিকড়ের রস খেতে পারেন। এটি আপনার এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে অনেক বেশি কার্যকরি সহায়তা করবে।

হাতিশুর গাছ কোথায় পাওয়া যায়

হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম জেনে খেলে এটির উপকারি দিকগুলো জানার পরে আবার অনেকেই জানতে চান হাতিশুর গাছ কোথায় পাওয়া যায়। আপনি যদি এমন প্রশ্নের সম্মখিন হয়ে থাকেন আর যদি এর উত্তর খুঁজে না পেয়ে থাকেন তাহলে চলুন আমরা এই পাঠের মধ্যে থেকে জেনে নেই।
হাতিশুর গাছ কোথায় পাওয়া যায়
হাতিশুর গাছ আপনাকে কোথাও থেকে কিনতে হবে না। আপনি এই গাছ আপনার বাড়ির আশেপাশেই পেয়ে যাবেন। তবে আপনাকে এই গাছটি চিনে তারপরে খুজতে হবে। এই গাছ চিনার সবথেকে বড় উপায় হলো এই গাছের মাথার উপরে হাতির শুড়ের মতো বাকানো একটি শুড় থাকে। আর সেটির চারিদিকে দিয়ে কিছু সাদা সাদা ফুল ফুটে থাকে।

এই গাছ ছোট থেকে অনেক বেশি বড় হতে প্রায় ৩ মাস পর্যন্ত সময় নেয়। তবে আপনি যদি এই গাছ থেকে অনেক বেশি উপকার পেতে চান তাহলে অবশ্যই এই গাছ যখন মাঝারি আকারের থাকবে তখন তুলে ব্যাবহার করবেন। অর্থাৎ গাছটি এমন পর্যায়ে থাকবে যখন গাছটি খুব একটা ছোট থাকবে না আবার খুব একটা বড় ও থাকবে না। আশা করছি আপনাকে এই বিষয়ে বিস্তারিত বুঝাতে পেরেছি।

হাতিশুর গাছের পাতার উপকারিতা

হাতিশুড় গাছ থেকে উপকার পাওয়ার জন্য হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম জানার পরেই আবার অনেকেই জানতে চান হাতিশুর গাছের পাতার উপকারিতা সম্পর্কে। আপনি যদি এই গাছের পাতা ব্যাবহার করে কোন কোন উপকারিতা পাওয়া যায় সেই সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

হাতিশুর গাছের পাতার প্রায় বেশ কিছু উপকারী দিক রয়েছে। যেগুলো বলতে গেলে শেষ হবার নয়। হাতিশুর গাছের পাতা খুব একটা বড় না হয়ে ছোট আকারের এবং সবুজ আকৃতির হয়ে থাকে। তবে এই পাতাটি যখন অনেকতাই পূর্ণবয়স্ক হয়ে যায় তখন এই পাতার রং হলদেটে হয়ে থাকে। হাতিশুর গাছের পাতার উপকারিতাগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো।
  • আমাদের শরীরের ছত্রাক জাতীয় রোগের প্রতিরোধ করার জন্য হাতিশুর গাছের পাতার রস বের করে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগানো যেতে পারে। তাহলে আপনি কিছুদিনের মধ্যেই এই সমস্যা থেকে সমাধান পেয়ে যাবেন।
  • যদি শরীরের কোন জায়গায় ফোড়া অথবা এই জাতীয় কোন কিছু হয়ে থাকে তাহলে এই সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে হাতিশুর গাছের পাতার রস।
  • টাইফয়েড জ্বরের ক্ষেত্রে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে এই হাতিশুর গাছের পাতার রস।
  • যদি শরীরের কোন অংশে কোন প্রকার বিষাক্ত পোকা কামড়ে দেয় তাহলে সেই জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য হাতিশুর গাছের পাতার রস ব্যবহার করতে পারেন।
  • একজিমা অথবা বাতের অবশ্যই অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে হাতিশুর গাছের পাতার রস।
এই ছিল হাতিশুর গাছের পাতার রসের উপকারিতাগুলো। আশা করছি আপনাকে আমরা এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা বোঝাতে পেরেছি। আর আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে হাতিশুর গাছের পাতার কোন কোন উপকারিতা গুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি এই সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করার মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন।

হাতিশুর গাছের ফুল খাওয়ার কারণ

আমরা সকলেই হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়মগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আজকের এই পাঠে মধ্যে আমরা জানতে পারবো হাতিশুর গাছের ফুল খাওয়ার কারণ সম্পর্কে। আমরা ইতিপূর্বে এই গাছের শিকড় খেলে এবং পাতা খেলে কোন কোন উপকারগুলো হয়ে থাকে সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছি। কিন্তু হাতিশুর গাছের ফুল কেন মানুষ খায় এই সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছু জানার আগ্রহ রয়েছে। চলুন এই সম্পর্কে জেনে নেই।

হাতিশুর গাছের ফুল সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা রয়েছে যে এই গাছের ফুল ব্যবহার করে বশীকরণের কোন ধরনের মন্ত্র বানানো হয়। যেটিকে তান্ত্রিক শাস্ত্রে উল্লেখ করা রয়েছে বলে জানতে পারা গিয়েছে। তবে এটা অনেকটাই বেআইনি একটি কাজ। তার পাশাপাশি এই কাদের কোন ধরনের ভিত্তি নেই। তবে আইনি কোন প্রকারের বাধা পড়ে অথবা আইনে কোন প্রকার জটিলতা সৃষ্টি হয় এমন ধরনের কোন প্রকার কাজ না করাই উত্তম।
হাতিশুর গাছের ফুল অনেক ছোট এবং দেখতে সুন্দর তার পাশাপাশি পাঁচটি পাতা বিশিষ্ট হয়। তবে এই ফুলের কোন প্রকারের গন্ধ নেই। এই ফুলের বিশেষত্ব হলো এই ফুলটি দেখতে একেবারে হাতের সুরের মত। এই গাছের ফুল সারা বছরই গাছে ফুটতে দেখা যায়। তবে এই ফুলটাকে আবার অনেকেই শ্রী হস্তিনী নামেও ডেকে থাকেন।

হাতিশুর গাছের অপকারিতা

হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম মেনে যদি শিকড় খাওয়া হয় তাহলে এর বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়। তবে এর অনেকগুলো উপকারের মধ্যে এরও কিছু অপকারী দিকগুলো রয়েছে। সেই সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখার পরেই তারপরে এই গাছের শিকড় খাওয়া উচিত। তবে আপনি যদি এর অপকারী দিনগুলো সম্পর্কে না জেনে থাকেন চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
হাতিশুর গাছের অপকারিতা
যদি আপনি হাতিশুর গাছ কোন নির্দিষ্ট রোগের জন্য খেয়ে থাকেন তাহলে এটি সেই নির্দিষ্ট লোকের জন্য কাজ করে থাকে। তবে আপনি যদি পরিমাণ মতো না খেয়ে একটু বেশি পরিমাণে খান তাহলে এটি আপনার শরীরের মধ্যে রোগটি সারিয়ে তোলার পরিবর্তে এটি আপনার শরীরে আরো বাজে ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও কিছু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে।

যদি আপনি হাতিশুর কাজ অনেক বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকেন তাহলে এটি আপনার শরীরের ভেতরে মাংসপিণ্ডে টিউমারের মতো রোগের সৃষ্টি করতে পারে। কারণ এই গাছের রয়েছে সেই টিউমার সৃষ্টিকারি উপাদান। আর এই টিউমার পরবর্তিতে আপনার শরীরে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে। তাই আপনি যখন হাতিশুর গাছ খাবেন তারপর অবশ্যই পরিমাণ অনুযায়ী জেনে তারপরে খাবেন। আশা করছি বিষয়টি আপনাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।

হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ হাতির সুর গাছের শিকড় খেলে কি হয়?
উত্তরঃ হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার ফলে এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরণের উপকার হরে থাকে। সেই সকল উপকারগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো।
  • শরীরে ছত্রাকের সংক্রমণ কমায়
  • ত্বকের ফোলাভাব কমায়
  • জ্বর কাশির জন্য ভেষজ উপাদান হিসেবে কাজ করে
  • বিষাক্ত পোকামাকড়ের সংক্রমণ রোধ করে
প্রশ্নঃ হাতি সুরের গাছ কি রকম?
উত্তরঃ হাতিশুর গাছ হলো একধরণের একবর্ষজীবী আগাছা জাতীয় উদ্ভিদ। এই গাছের ফুল দেখেই গাছটিকে চিহ্নিত করা হয়। এই গাছের ফুল হাতি শুড়ের মতো বাকানো থাকে।

প্রশ্নঃ হাতিশুর গাছের বৈজ্ঞানিক নাম কি?
উত্তরঃ হাতিশুর গাছের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Heliotropium indicum এবং ইংরেজি নাম হলো Indian heliotrope, Indian Turnsole

লেখকের মন্তব্য

আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন। যদি আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এমন আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন নিয়মিত পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পেপারস্পট২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url