নতুন নিয়মে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করুন

পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থাঅনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে হয় কিভাবে সেইটা আমাদের অনেকেরই অজানা। আপনি ও যদি অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলে আমরা এই বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন
একটি দেশের বৈধ নাগরিক হওয়ার জন্য ভোটার আইডি কার্ড প্রয়োজন। আর এখন বাংলাদেশ ডিজিটাল হওয়ার কারণ আপনি এটি ঘরে বিসে থেকেই আবেদন করে নিতে পারবেন। তবে অনেক সময় ভূল হয়ে থাকে এই কার্ডের। কিভাবে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করবেন সেই বিষয়ে জানবো আজকে।

পেজ সুচিপত্রঃ 

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য এখন খুব সহজেই আবেদন করা যায়। তার জন্য প্রথমে আপনাকে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য যে সরকারি ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে গিয়ে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিয়ে আপনি কাজটি করে ফেলতে পারবেন। আপনাদের বোঝার সুবিধার্তে নিচে তা ছোট ছোট ধাপ আকারে দেখানো হয়েছে।

ধাপ - ১ঃ অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন
প্রথমে আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশান করে একটি একাউন্ট তোইরি করে নিতে হবে। তার জন্য আপনি services.nidw.gov.bd এই লিংকে ক্লিক করে সরাসরি সেই ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারবেন। অথবা আপনি ব্রাউজারে লিখেও সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।

উক্ত পেজে এসে আপনি রেজিষ্টার করুন নামে একটি অপশান পাবেন সেখানে ক্লিক করে আপনার আইডি কার্ডের নাম্বার, ভোটার আইডি কার্ডে উল্লেখকৃত জন্ম তারিখ, আপনার ঠিকানা এবং আপনার একটি সচল মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন করে আপনার একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।

একাউন্ট তৈরির করার এই পর্যায়ে আপনি যে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন তার জন্য আপনাকে আইডি কার্ডের নম্বর এবং আপনার জন্ম তারিখ দিয়ে ফর্মট পূরণ করতে হবে। আপনি এই ক্ষেত্রে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের স্লিপ নাম্বার ও ব্যাবহার করতে পারবেন।

এরপর আপনাকে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা যাচাই করতে বলা হবে। এই ফর্মে আপনি যখন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন সেই সময়ে যেই ঠিকানা দিয়েছিলেন এখানেও ঠিক একই স্থায়ী ঠিকান এবং বর্তমান ঠিকানা বসাতে হবে।

তারপর আপনাকে আপনার মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশান করতে বলা হবে। এখানে এসে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের জন্য যেই নাম্বার প্রদান করেছিলেন সেই নাম্বারই বসাতে হবে। তার পর আপনার সেই নাম্বারে একটি ৬ডিজিটের OTP কোড পাঠানো হবে। আপনি সেটি উক্ত ঘরে বসিয়ে "বহাল" বাটনে ক্লিক করুন। কোডটি সঠিক থাকলে আপনার নাম্বার ভেরিফিকেশান হয়ে যাবে।

অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার এই পর্যায়ে আপনাকে একটি QR কোড দেওয়া হবে আপনার Face Verification করার জন্য। আপনি অন্য একটি ফোনে NID Wallet App ইন্সটল করে নিয়ে উক্ত QR কোডটি স্ক্যান করলেই আপনার কাছে Face Verification করার জন্য অপশান চলে আসবে। সেখানে দেখানো নিয়ম অনুযায়ি আপনি আপনার ফেস ভেরিফিকেশান করিয়ে নিন।

Face Verification করার পরে আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড বসাতে বলা হবে। আপনি যদি চান তাহলে সেখানে পাসওয়ার্ড সেট করতে পারেন, আর যদি না চান তাহলে আপনি এড়িয়ে যেতে পারেন। তবে আমি সাজেস্ট করবো আপনি পাসওয়ার্ড সেট করে নিন। তাতে করে আপনি পরবর্তিতে কোন ঝামেলা ছাড়াই পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করে নিতে পারবেন।

ধাপ - ২ঃ ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে যদি আপনার একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশান সফলভাবে হয়ে থাকে তাহলে দেখতে পাবেন এখানে আপনার একাউন্ট লগইন অবস্থায় রয়েছে। এখন আপনাকে services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটের হোম থেকে প্রোফাইলের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে।

এখান থেকে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করতে পারবেন। ভোটার আইডি কার্ড ৩ টি ক্যাতাগরিতে সংশোধন করা যায়। সেগুলি হলোঃ
  • ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন
  • অন্যান্য তথ্য সংশোধন এবং
  • ঠিকানা সংশোধন
ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন করার সময় আপনি আরো আপনার যেসকল তথ্য সংশোধন করতে পারবেন তা হলোঃ
  • আপনার নিজের নাম ( বাংলায় )
  • আপনার নিজের নাম ( ইংরেজিতে )
  • পিতার নাম ( বাংলায় )
  • পিতার নাম ( ইংরেজিতে )
  • মাতার নাম ( বাংলায় )
  • মাতার নাম ( ইংরেজিতে )
  • পিতার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার
  • মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার
  • আপনার জন্ম তারিখ
  • আপনার নিঙ্গ
  • আপনার জন্মস্থান
আপনি উপরের উল্লেখকৃত প্রায় সকল তথ্য সংশোধন করে নিতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে প্রফাইলে এসে "এডিট" নামে একটি বাটন পাবেন। সেখানে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনি আপনার যে তথ্য ঠিক করতে চাচ্ছেন ( ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য, ঠিকানা ) তা সিলেক্ট করে নিতে হবে।

তারপর সকল তথ্য আপনি সঠিকভাবে প্রদান করে আপনার তথ্যগুলি পুনরায় আবার যাচাই করে দেখে নিবেন। সকল তথ্য সঠিক আছে কিনা। তারপর আপনি সরকারের নির্ধারিত পরিমাণ ফি প্রদান করে আপনি আপনার ভুল সকল তথ্য সঠিক করে নিতে পারবেন। সংশোধন ফি কিভাবে জমা দিতে হয় তা আপনি একটু পরেই নিচের ধাপে জানতে পারবেন।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য কি কি ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয় সেটা আমরা অনেকেই জানি না। যার জন্য আমাদেরকে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়। এখন খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার জন্য আবেদন করা যায়। তাহলে চলুন এখন নজরে দেখে নেওয়া যাক।
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
আপনি কোন বিষয়েজন্য আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চান সেট আগে আপনাকে নির্ধারণ করে নিতে হবে। তার পরে সংস্লিষ্ঠ কতৃপক্ষকে জানাতে হবে। আপনার ভুল ভোটার আইডি কার্ডের সংশোধন করার জন্য আপনাকে যে সকল তথ্য পূরণ করতে হবে তা হলো
  • আপনি আপনার যেই ভুল তথ্যটি সংশোধন করতে চান তা চিহ্নিত করতে হবে।
  • তারপরে আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে অথবা অফলাইনে ২ টি সংশোধন ফরম পূরণ করতে হবে।
  • সংশোধন করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংযুক্ত করতে হবে।
  • সর্বশেষ আপনাকে তাদের নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে।
এছাড়া আরো কিছু প্রয়োজনীয় কাজ রয়েছে এক্ষেত্রে। আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয় পত্রের সংশোধন করতে কোন কোন কাগজপত্র জমা দিতে হবে সেটা মূলত নির্ভর করে আপনি ভোটার আইডী কার্ডের কি তথ্য পরিবর্তন করতে চান তার উপর। এটা সংশোধন করতে প্রধানত যেই সকল তথ্য প্রদান করতে হয় তা হলোঃ
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ
  • অনলাইন/ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স
  • ই - পাসপোর্ট
উপরে বর্ণিত এই সকল তথ্য জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার জন্য সবথেকে বেশি ভূমিকা রাখে। আপনার যদি উক্ত মৌলিক তথ্য গুলি না থেকে থাকে তাহলে আপনাকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অয়ারিশ সনদ, নাগরিক সনদ প্রদান করা লাগতে পারে। আর যদি আপনি স্বামী অথবা স্ত্রীর নাম ঠিক করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কাবিন নামা দিতে হবে।

আর যদি আপনি এই সকল তথ্য ছাড়া আপনার রক্তের গ্রুপ ঠিক করতে চান অথবা জাতীয় পরিচয়পত্রে রক্তের গ্রুপ দেওয়া না থাকলে আপনি যদি সেটা যিক্ত করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কোন ক্লিনিক অথবা হাসপাতাল হতে রক্তের গ্রুপ টেস্টের রিপোর্ট দিতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে ফী এর পরিমাণ

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা ফি প্রদান করতে হয় আমরা এই বিষয়ে জনাবো এখন। আপনি যদি এই বিষয়ে না জেনে থাকেন তাহলে চলুন এখনই জেনে নেই। তাহলে আপনার অনেক সুবিধা হবে এবং আপনার অনেক উপকারেও আসবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য আপনাকে সর্বনিম্ন ২৩০ টাকা হতে সর্বোচ্চ ৩৪৫ টা প্রদান করতে হতে পারে। এই ফি নির্ভর করে আপনি কোন তথ্য সংশোধন করতে চাচ্ছেন তার উপর। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি সাধারণত ৩ টি প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত হয়ে থাকে। সেগুলি হলোঃ
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা পরিবর্তন
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যক্তিগত তথ্য পরিবর্তন এবং
  • অন্যান্য তথ্য সংশোধন
এই সকল সংশোধন ফি বিকাশ, নগদ, রকেটের মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়। তাহলে চলুন এখন আমরা জাতীয় পরিচয়পত্রের কোন তথ্যের সংশোধনা করার জন্য সংশোধন ফি কত টাকা প্রদান করতে হয় সেটা টেবিলের মাধ্যমে দেখে নেই।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের ধরণ

সংশোধনের জন্য ফি

ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন

২৩০ টাকা

অন্যান্য তথ্য সংশোধন

১১৫ টাকা

উভয় তথ্য সংশোধন

৩৭৫ টাকা

আইডি কার্ড রিইস্যু (Urgent)

৩৭৫ টাকা

আইডি কার্ড রিইস্যু (Regular)

২৩০ টাকা

তথ্যসূত্রঃ NID BD

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে কত দিন লাগে

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কে আমরা পূর্বে জানতে পেরেছি। তারপরে আমরা ইতিপূর্বে সকলেই জানতে পারলাম জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার জন্য কত টাকা ফি প্রদান করতে হয়। এখন অনেকেই এই বিষয় নিয়ে চিন্তিত হয়ে পরেন যে তাদের এই সংশধিত ভোটার আইডি কার্ড কতদিনের মধ্যে তারা হাতে পাবেন। চলুন তাহলে এখন এই বিষয়েও জেনে নেওয়া যাক।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে কত দিন লাগে
সাধারণ ভোটার আইডি আর্ড সংশোধন হতে ৭-৪৫ দিন কার্যদিবস পর্যন্ত সময় লেগে থাকে। এখন আপনি কতদিনের মধ্যে তা হাতে পাবেন সেটা নির্ভর করে আপনি কোন ক্যাটাগরি অনুযায়ি তা ঠিক করবেন। সংশোধন করার বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ি সময় ও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাহলে চলুন এখন ক্যাটাগরি অনুযায়ি কতদিন লাগতে পারে না জেনে নেই ছকের মাধ্যমে।

আবেদনে ক্যাটাগরি

কে কাজটি সম্পন্ন করে

সংশোধনের সময়কাল

“ক” ক্যাটাগরি

উপজেলা নির্বাচন অফিসার

৭ দিন

“খ” ক্যাটাগরি

জেলা নির্বাচন অফিসার

১৫ দিন

“গ” ক্যাটাগরি

আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার

৩০ দিন

“ঘ” ক্যাটাগরি

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের মহাপরিচালক

৪৫ দিন

সংশোধন ফি জমা দেয়ার নিয়ম

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে হবে কিভাবে আশা করছি আপনি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন। এই পর্যায়ে আমরা সংশোধন ফি জমা দেয়ার নিয়ম ভোটার আইডি কার্ডের সংশোধন ফি আপনি আপনার ফোনের যে কোন একটি মোবাইল ব্যাংকিং ( বিকাশ, রকেট, নগদ ) একাউন্ট থেকে প্রদান করতে পারবেন। নিচে বিকাশের মাধ্যমে NID Card Correction ফি কিভাবে জমা দিবেন তা দেখানো হলো। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
  • প্রথমে আপনাকে বিকাশ অ্যাপের মধ্যে লগইন করে নিতে হবে।
  • তারপরে আপনি সেখানে নিচেই "পে বিল" নামে একটি অপশান দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করুন।
  • পে বিল এ ক্লিক করার পরে আপনি অপর একটি পেজে সরকারি ফি নামে একটি অপশান পাবেন। সেখানে ক্লিক করলেই "NID service" নামে অপশান পেয়ে যাবেন।
  • সেখানে ক্লিক করলেই আপনার ফি এর ধরণ দেখতে পাবেন। এখান থেকে আপনি "NID Info Correction" সিলেক্ট করে দিন।
  • তারপরে নিচে আপনার এন আই ডি কার্ডের নাম্বার প্রদান করুন।
  • এরপরে আপনি নিচে একটি বাটন পাবেন "পে বিল করতে এগিয়ে যান" নামে।
  • তারপরেই আপনাকে বিকাশ দেখাবে আপনার কত তাকা পেমেন্ট করতে হবে।
  • আপনার বিকাশ একাউন্টে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা থাকে তাহলে আপনি বিকাশের পিন নাম্বার দিয়ে পেমেন্ট বাটনে চাপলেই আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সংশোধন ফি জমা হয়ে যাবে।
পেমেন্ট করার পরেই আপনাকে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড করতে হয়। আপনি যদি আপনার ব্যাক্তিগত তথ্য পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনাকে যে সকল তথ্য প্রদান করতে হবে। সেগুলি হলোঃ
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
  • পাসপোর্ট কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স
  • অনলাইন/ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ
এই সকল তথ্য সবথেকে কার্যকর প্রমাণ পত্র। আর আপনি যদি আপনার মা - বাবার নামের বানান সংশোধন করতে চান তাহলে আপনাকে যে সকল তথ্য প্রদান করতে হবে সেগুলি হলোঃ
  • মা-বাবার আইডি কার্ডের স্ক্যান কপি
  • পিতা মাতার অনলাইন/ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ
  • ভাই বোনের আইডি কার্ডের স্ক্যান কপি
এই সকল তথ্য আপনাকে স্ক্যান করে সেখানে আপলোড করতে হবে। আবার আপনি সেখান থেকে ঠিকানা ও পরিবর্তন করতে পারেন। তার জন্য আপনাকে যেসকল তথ্য প্রদান করতে হবে সেগুলি হলোঃ
  • বর্তমান জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি
  • বিদ্যুৎ বিলের কাগজ অথবা
  • যে কোন ইউটিলিটি বিলের কপি ( বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি )
আপনার যদি অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার আবেদন সম্পন্ন হয়ে যায়। তাহলে আপনি চাইলে সেটি ডাউনলোড করে ও রাখতে পারবেন। আপনার যখন আবেদনটি অনুমোদন হয়ে যাবে আর আপনি যখন আপনার আইডি কার্ড নিতে যাবেন তখন আপনার কাছে থেক এই ফর্মটি চাইতে পারেন স্থানীয় নির্বাচন কমিশন থেকে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে কি কি লাগে?
উত্তরঃ জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে কিছু ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হয়। সেগুলো হলো
  • নাগরিক সনদ
  • জন্ম নিবন্ধন
  • পাসপোর্ট
  • বিদ্যুৎ বিলের কপি
  • জমির খারিজ/পর্চার কপি
প্রশ্নঃ জাতীয় পরিচয় পত্রের মেয়াদ কত বছর?
উত্তরঃ বাংলাদেশের নগরিকদের জন্য যে জাতীয় পরিচয় পত্র ইস্যু করা হয়, সেটির মেয়াদ ১৫ বছর। এই মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে নাগরিককে আবার পুনরায় নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র নিতে হয়।

প্রশ্নঃ Nin পরিবর্তন করতে কতদিন সময় লাগে?
উত্তরঃ Nin পরিবর্তন করতে ২-৫ কার্যদিবস পর্যন্ত সময় লাগে। 

প্রশ্নঃ আমি আমার জন্ম তারিখ কতবার পরিবর্তন করতে পারি?
উত্তরঃ নথিভুক্তকরণ এবং তাদের NIN প্রাপ্ত করার পরে নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা ইত্যাদি শুধুমাত্র একবারই পরিবর্তন করা যায়।

লেখকের বক্তব্য

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে হয় কিভাবে এই সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি। আপনি যদি আজকের আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে আশা করছি আপনি উক্ত এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন। যদি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই রকম আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন ফ্রিতে পড়ার জন্য আমাদের ওয়াবসাইট নিয়োমিত ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পেপারস্পট২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url