মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধের নাম

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায়প্রিয় পাঠক, মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধের নাম সম্পর্কে আপনি কি জানার জন্য আগ্রহি। তাহলে আপনি এখন সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলটিতে মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধের নাম সম্পর্কেই বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পরতে থাকুন।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধের নাম
আমাদের মুখের দুর্গন্ধের কারণে অনেক সময়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় অনেককেই। এই মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে যে কথা বলে আর যে শোনে দুজনের পক্ষেই অনেক অস্বস্থিকর বিষয়।

পাঠ্য সূচিঃ

ভূমিকা

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধের নাম রয়েছে অনেক। তেমনি মুখের দুর্গন্ধ হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তবে আপনি যদি মুখের দুর্গন্ধ দূর করার বিষয়ে সচেতন হয়েও কোন কাজ না হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করা উচিত। তা না হলে এটি আপনার জটিল রোগের সমস্যা হয়ে দারাতে পারে। তাই এই টপিক নিয়েই আজকের আমাদের এই আলোচনা।

আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকার পড়তে থাকেন তাহলে আপনি মুখে দুর্গন্ধ কেন হয়, মুখের দুর্গন্ধ দূর করার স্প্রে নাম, মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঔষধের নাম, মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

মুখে দুর্গন্ধ কেন হয়

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধের নাম জানার পূর্বে আমাদেরকে অবশ্যই মুখে দুর্গন্ধ কেন হয় এই বিষয়ে জানা উচিত। মুখের দুর্গন্ধ কেন হয় এটি একটি অনেক জটিল ধরনের প্রশ্ন। সকলে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে থাকেন কিন্তু তাদের সঠিক উত্তরটি পান না। আপনি যদি দেখেন নিয়মিত ব্রাশ করার পরে আপনার মুখে অনেক দুর্গন্ধ হচ্ছে তাহলে সেই ব্যাপারে আপনাকে অবশ্যই সচেতন হওয়া উচিত। কোন কোন কারণে মুখের দুর্গন্ধ হতে পারে সে সম্পর্কে এখন আমরা আলোচনা করব।

মুখের দুর্গন্ধ একটি অস্বস্তিকর ব্যাপার। এতে যে ব্যক্তি কথা বলেন এবং যে ব্যক্তি কথাটা শোনেন দুজনে ক্ষেত্রে ভীষণ বিরক্ত। আমাদের মধ্যে অনেকের নিয়মিত ব্রাশ করার পরেও মুখের দুর্গন্ধ হয়ে থাকে। এর মুখের দুর্গন্ধ হওয়ার সব থেকে অন্যতম কারণ হলো ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। যদি আপনি নিয়মিত ব্রাশ করার পরেও দেখেন আপনার মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে তাহলে বুঝে নেবেন আপনার দাঁতের গোড়ায় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ রয়েছে।

আবার যদি আপনার পেটের সমস্যা থাকে যেমন লিভারের সমস্যা। এই সমস্যার কারণে মুখ দিয়ে প্রচুর পরিমাণে দুর্গন্ধ বের হয়। এছাড়াও আরো কিছু কারণ রয়েছে যেগুলোর কারণে মুখের দুর্গন্ধ হতে পারে। এখন সেগুলো কোন কোন কারণ সেটি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

ভিটামিন ডি এর অভাবঃ শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর মারাত্মক পরিমাণে অভাব হয় তাহলে আপনার মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ বের হবে। এই ভিটামিন ডি এর অভাবে আমাদের দাঁত ক্ষয় হওয়া শুরু করে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এই ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের হাড় এবং দাঁতকে মজবুত করার জন্য সহায়তা করে।

আপনার শরীরে যদি এই ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হয় তাহলে আপনার শরীরের হাড় এবং দাঁত সহজে ক্ষয় হয়ে দুর্বল হয়ে যাবে। যার কারণে ব্যাকটেরিয়া সহজে আক্রমণ করে বসবে। এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আমাদের শরীরে বাসা কোথায়। আরে ব্যাকটেরিয়া যখন আমাদের দাঁতে সংক্রমিত হয় তখনই আমাদের দাঁত থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করে।

ভিটামিন সি এর অভাবঃ শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর পাশাপাশি ভিটামিন সি এর ও হয় তাহলে তার কারণে আমাদের মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে পারে। এই ভিটামিন সি আমাদের দাঁত এবং দাঁতের গোড়া মজবুত করার জন্য অনেক সহায়তা করে। আর যাতে আমাদের দাতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত না হয় সেজন্য ভিটামিন সি সাহায্য করে।

আপনার শরীরে যদি ভিটামিন সি এর ঘাটতি থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে দেখা উচিত। এই ভিটামিন সি এর ঘাটতির কারণে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত করে আমাদের মুখ থেকে দুর্গন্ধ তৈরি করে।

আয়রনের অভাবঃ শরীরে যদি আয়রনের ঘাটতি হয় তাহলে তার কারণেও আমাদের মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের করতে পারে। এই আয়রনের ঘাটতি আমাদের রক্তস্বল্পতার মতন নানান ধরনের অসুবিধা সৃষ্টি তৈরি করে।

জিংকের অভাবঃ জিংক এর ও যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘাটতি হয় আমাদের শরীরের তাহলেও তার কারণে আমাদের মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। এই জিংক আমাদের মুখে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য অনেক সহায়তা করে। আপনার শরীরে যদি জিংকের ঘাটতে হয়ে থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবশ্যই গ্রহণ করুন।

এছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে আমাদের মুখ থেকে দুর্গন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেগুলোর নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
  • গলায় কফ জমে থাকা
  • সাইনোসাস এর সমস্যা
  • ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান করা
  • কাঁচা পেঁয়াজ অথবা রসুন খেলে
উপরে উল্লেখিত এই সকল কারণে মুখের দুর্গন্ধ দেখা দিতে পারে। তবে মুখের দুর্গন্ধ দূর হওয়ার পেছনে আরো একটি কারণ হলো আমরা যখন খাবার খাওয়ার পরে মুখে ভালোভাবে কুলি কুচি না করি, তখন এই খাবার কণাগুলো আমাদের দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকে। আরে দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবারের কণাগুলো পচে আমাদের মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের করে।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধের নাম

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধের নাম জানবো আমরা এই পাঠে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য হোমিওপ্যাথি ঔষধ গুলোই সবথেকে ভালো। তবে যদিও আপনি এই ওষুধ ব্যবহার করার মাধ্যমে সাথে সাথে ফল না পেলেও একটু দেরি হলেও আপনি একটি ভাল ফলাফল পাবেন। কোন কোন হোমিওপ্যাথি ঔষধ ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার মুখে দুর্গন্ধ দূর করতে পারবেন সেগুলো সম্পর্কে নিম্ন আলোচনা করা হলো।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধের নাম
ডাক্তারি ভাষায় মুখের দুর্গন্ধের রোগ কে হ্যালিটোসিস বলা হয়। এটির জন্য আপনি প্রথমে ঘরোয়া ভাবে কিছু হোমিও চিকিৎসা নিন। তবে হোমিও চিকিৎসার জন্য কোন কোন হোমিও ঔষধ ব্যবহার করবেন সেগুলো সম্পর্কে চলুন জেনে নেই।
  • ওরাম মেট
  • এসিড নাইট
  • মারকুরিয়াস
  • মার্কুরিয়াস সল
  • সিফিলিনাম
  • আর্সেনিক
  • কার্বোভেজ
  • ব্রায়োনিয়া
  • পালসেটিল্লা

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার স্প্রে নাম

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধের নাম জানার পরেই অনেকে জানতে চান মুখের দুর্গন্ধ দূর করার স্প্রে নাম কি। যদি না জেনে থাকেন তাহলে, চলুন জেনে নেই। মুখের দুর্গন্ধ আপনি স্প্রে ব্যবহার করার মাধ্যমেও দূর করতে পারেন। এই মুখের দুর্গন্ধ দূর করার স্প্রে আপনি বাজারের যে কোন ঔষধের দোকানে পেয়ে যাবেন। মুখের দুর্গন্ধ দূর করার বেশ কিছু স্প্রে রয়েছে। সেই সকল এসপের মধ্যে থেকে নিচে কিছু স্প্রের নাম উল্লেখ করা হলো। আপনি এই স্প্রে গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
লিসটা কেয়ার
  • ওরোক্লিন
  • Mouth Ftioner
  • ওরাকল
  • মাউথ ফ্রেশনার
  • ওরোস্টার
  • কুলমিন্ট

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঔষধের নাম

এখন আমরা জানবো মুখের দুর্গন্ধ দূর করার এলোপ্যাথেটিক ঔষধের নাম সম্পর্কে। আর তারপরে আমরা সকলেই মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য হোমিও ঔষধের নাম গুলো সম্পর্কে জানব। নিজে দেখানো এলোপ্যাথিক ঔষধ গুলো আপনি ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজে মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে পারবেন।
  • কার্বোভেজ
  • ওরাম মেট
  • মারকুলিয়াস সল
  • সিফিলিয়াম
  • এসিড নাইট
উপরে দেখানো এই ওষুধগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে পারবেন। এই ওষুধগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার মুখের নানান ধরনের সমস্যা ও সমাধান হয়ে যাবে। যদিও এই ওষুধগুলো ধীরে ধীরে কাজ করে, তবে আপনারা সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধের নাম জানার পরে অনেকেরই আগ্রহ থাকে মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে জানার জন্য। আপনি কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করার মাধ্যমেও আপনার মুখের দুর্গন্ধ খুব সহজে দূর করতে পারবেন। কোন কোন ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি ব্যবহার করবেন মুখে দুর্গন্ধ দূর করার জন্য সেগুলো সম্পর্কে এখন আপনারা আলোচনা জানবেন। তাহলে চলুন বন্ধুগণ আর বেশি দেরি না করি মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি জানি।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি
লবঙ্গঃ আপনার মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্যই লবঙ্গের ব্যবহার করতে পারেন। তার জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে একটু অথবা দুটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। এটি আপনার ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য তৈরি করবে। যার ফলে আপনার মুখের ভেতর কোন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হবে না। আর আপনার মুখ থাকবে দুর্গন্ধ মুক্ত।

পানিঃ আপনি যদি প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করেন তাহলে আপনার মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে পারে। তাই আপনি প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় অথবা সাত লিটার পানি পান করুন। এর সাথে আপনি কিছুটা লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন।

দারুচিনিঃ মুখ থেকে দুর্গন্ধ রোধ করতে কিছুটা পরিমাণ দারুচিনি লবঙ্গের মধ্যে মুখে নিয়ে চিবিয়ে রাখুন। তারপরে কিছুক্ষণ পরে এটি ফেলে দিতে পারেন। লবঙ্গের দারুচিনি ও আমাদের মুখে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য গড়ে তোলে। যার ফলে মুখের দুর্গন্ধ খুব সহজে দূর হয়ে যায়।

লবণ-পানিঃ এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানিতে আধা চামচ লবণ মিশিয়ে নিয়ে সেটি দিয়ে গড়গড়া কুলি করুন। এভাবে গড়গড়া কুলি করার মাধ্যমে মুখের ভেতরে থাকা ব্যাকটেরিয়া গুলো প্রতিরোধ করে। আর তার সাথে সাথে আপনার মুখের বন্ধুদের স্বতেজ করে তোলে।

পুদিনাপাতাঃ পুদিনা পাতাকে প্রাকৃতিক মাউন্ট ফ্রেশনার বলা হয়। তাই আপনার মুখে যখন দেখবেন অতিরিক্ত গন্ধ হচ্ছে তখন দুই থেকে তিনটি পুদিনা পাতা নিয়ে চিবিয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনার মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়ে গিয়েছে।

এই সকল কিছুর সাথে সাথে নিচের দেখানো নিয়মগুলো ও অনুসরণ করতে পারেন। তাহলে চলুন এবার দেখে নেই কোন কোন নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে।
  • প্রতিদিন অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করুন। সকালে এবং রাতে। কারণ আমরা যেই খাবার খাই এই খাবারের কণাগুলো আমাদের দাঁতের ফাকে ফাকে আটকে থাকে। তার পরে এগুলো পঁচে মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ বের করে। তাই আপনি যদি দুইবার ব্রাশ করেন তাহলে সহজেই আপনার মুখের দুর্গন্দ দূর হয়ে যাবে।
  • দাঁত ব্রাশর পরে মুখের জিভ পরিষ্কার করুন। শুধু দাঁত ব্রাশ করলে যে মুখ থেকে সকল দুর্গন্ধের জীবন বের হয়ে যাবে এমনটি নয়। বরং জীবের সাথেও কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে যেগুলো থেকে মুখ থেকে দুর্গন্ধ করে করতে পারে। তাই দাঁত ব্রাশের পরে জিভ ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।
  • ধূমপান পরিহার করুন। ধূমপানের কারণে আমাদের মুখ থেকে মারাত্মক পরিমাণে দুর্গন্ধ বের হয়। এর আসল কারণ হলো ধূমপানের ফলে আমাদের মুখের ভেতরে শুকিয়ে যায়। আর তার জন্য আমাদের মুখ থেকে জীবাণু বৃদ্ধি হয়।
  • মুখে যদি কোন ক্ষত থাকে তাহলে সেই ক্ষত দ্রুত সারানোর ব্যবস্থা করুন। মুখে সাধারণত আলসার হয়ে থাকে। আর যদি আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব ভাল পরিমাণে থাকে তাহলে এই আলসার খুব দ্রুত সেরে যায়।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার মাউথ ওয়াশ

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধের নাম জেনে ব্যাবহার করার পাশাপাশি মুখের দুর্গন্ধ দূর করার মাউথ ওয়াশ ব্যাবহার করেও মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে পারবেন। মুখে দুর্গন্ধ দূর করার জন্য মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করবেন কিভাবে। আর কোন কোন মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করবেন আপনার মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য সেগুলো সম্পর্কে এখন বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনার মুখে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে দুর্গন্ধ থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই মাউথ ওয়াশ ব্যাবহার করতে হবে।

মাউথ ওয়াশ হলো রাসায়নিক জাতীয় তরল উপাদান সমৃদ্ধ একটি জীবাণুনাশক। আশার ভেতরে সবথেকে অন্যতম উপাদান হলো ফ্লোরাইড। এটি আমাদের মুখের ভেতরকার দাঁত, মাড়ি, জিহ্বা সকল কিছু সুরক্ষিত রেখে খুব সহজেই মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।

বাজারে সাধারণত পাঁচ ধরণের মাউথ ওয়াশ পাওয়া যায়। সেগুলো হলো
  • মুখের সুগন্ধ নিয়ে আসার জন্য কসমেটিক মাউথ ওয়াশ
  • দাঁত সুন্দরভাবে গঠনের জন্য ফ্লোরাইডযুক্ত মাউথ ওয়াশ
  • মুখের ঘা নিরাময় করার জন্য রোগ প্রতিরোধক মাউথ ওয়াশ
  • মুখের শুষ্কতা দূর করার জন্য অ্যালকোহল ফ্রি ন্যাচারাল মাউথ ওয়াশ
  • দাঁতের মাড়ির প্রদাহ দূর করার জন্য প্রেসক্রিপশন মাউথ ওয়াশ
এই মাউথ ওয়াশ ব্যাবহারের নিয়ম হলোঃ

প্রথমে ২০ মিলি সমপরিমাণ মাউথ ওয়াশ মুখে নিতে হবে। তারপরে এটি মুখের ভেতরে ৩০ সেকান্ড সময় ধরে রাখতে হবে। আর মুখে এটি নিয়ে গরগরা করতে হবে। তার পরে এটি কুলি করা শেষে ফেলে দিতে হবে।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার টুথপেস্ট

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধের নাম সম্পর্কে এখন আমরা সকলেই জানি। এই পাঠে আমরা জানবো মুখের দুর্গন্ধ দূর করার টুথপেস্ট কোনটি ব্যাবহার করবো। টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করার মাধ্যমে আপনি মুখের দুর্গন্ধ থেকে রেহাই পেতে পারেন। বাজারে আজকাল বিভিন্ন ধরনের টুথপেস্ট দেখতে পাওয়া যায়।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার টুথপেস্ট
এই টুথপেস্ট গুলো আপনি ব্যবহার করতে পারেন মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে। তবে আপনার মুখে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে দুর্গন্ধ থেকে থাকে তাহলে সাধারণ টুথপেস্ট ব্যবহার করার পরিবর্তনের দুর্গন্ধ দূর করার টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার টুথপেস্ট গুলোর নাম হলোঃ
  • নিম টুথপেস্ট
  • লবঙ্গ টুথপেস্ট
  • দর্শনচূর্ণ টুথপেস্ট
উপরে উল্লেখিত এই সকল টুথপেস্টের পাশাপাশি আরো কিছু মুখের দুর্গন্ধ দূর করার টুথপেস্ট রয়েছে। যেগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে শুধু আপনার মুখের দুর্গন্ধে নই, তার পাশাপাশি আপনার মুখের এবং দাঁতের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করার জন্য সহায়তা করে থাকে। এই সকল টুথপেস্ট গুলোর নাম হল
  • Arm and Hammed Advance White
  • Blan X Classic
  • Colgate Total Advanced Whitening
  • Dabur red
  • Dabur Herbl Gel Toothpaste
  • Mediplus
  • Medipluse DS tooth paste
  • Orecare Herbal Toothpaste
  • Oral B Pro Expert
  • Pepsodent Toothpaste
  • Sensodyne toothpaste
  • White Plus

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য কি করতে হবে?
উত্তরঃ মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে ঘরোয়া উপায়গুলো ব্যাবহার করতে পারেন।

প্রশ্নঃ লিস্টারিন কি এন্টিসেপটিক?
উত্তরঃ হ্যা। লিস্টারিন হলো একটি মৌখিক অ্যান্টিসেপটিক।

প্রশ্নঃ মাউথওয়াশ কি ব্যবহার করা উচিত?
উত্তরঃ হ্যা। ঘরোয়া পদ্ধতি যদি ব্যাবহার করেও মুখের দুর্গন্ধ না কমে যায় তাহলে অবশ্যই মাউথ ওয়াশ ব্যাবহার করা উচিত।

প্রশ্নঃ মাউথওয়াশ ক্ষতিকর কেন?
উত্তরঃ মাউথ ওয়াশের তেমন কোন ক্ষতিসাধন করে না। তবে এটি এসিডিক যার কারণে সম্ভাব্য ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পদার্থে সৃষ্টি করতে পারে।

প্রশ্নঃ কোন রোগে মদের গন্ধ হয়?
উত্তরঃ ডায়াবেটিস কেটোঅ্যাসিডোসিস রোগের কারণে মদ্যপান না করেও মদের গন্ধ হয়।

লেখকের মন্তব্য

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধের নাম সম্পর্কে আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে উক্ত বিষয়ে স্ববিস্তারে আলোচনা বুঝতে পেরেছেন। যদি আপনার এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এবং এই রকম আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন ফ্রিতে পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পেপারস্পট২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url