মোবাইলে চাকরির আবেদন করার সহজ নিয়ম জানুন
নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদনপ্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চই মোবাইলে চাকরির আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাই তো আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনি প্রবেশ করেছেন। আপনি এখন একদম সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কারণ আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটিতে আমরা মোবাইলে চাকরির আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। জানার জন্য সাথেই থাকুন।
বর্তমানের ডিজিটাল যুগে আমাদের প্রায় সকলের কাছে স্মার্ট মোবাইল ফোন রয়েছে। আর এই মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই আপনি চাকরির জন্য আবেদন করে নিতে পারবেন। কিভাবে আবেদন করবেন সহজেই সেই সম্পর্কে নিয়মগুলো জানতে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন।
পেজ সূচিপত্রঃ
ভূমিকা
আপনারা যারা অনলাইনের মাধ্যমে চাকরির আবেদন করার জন্য কম্পিউটারের দোকানে যান তাদের জন্য একটি সুসংবাদ হল আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোনের ব্যবহার করেই আপনি ঘরে বসে থেকে চাকরির জন্য আবেদন করে নিতে পারবেন খুব সহজেই। আপনাদের এই কম্পিউটারে আবেদনের জন্য আবেদনের ফি থেকে অতিরিক্ত অনেকগুলো টাকা চাওয়া হয়। আপনি চাইলে ফোন দিয়ে আবেদন করার মাধ্যমে আপনার সেই অতিরিক্ত টাকাগুলো সেভ করতে পারবেন।
আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন তাহলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে কিভাবে চাকরির আবেদন করতে হয়, বেসরকারি চাকরির আবেদন ফর্ম কিভাবে ডাউনলোড করবেন, চাকরির জন্য দরখাস্ত কিভাবে লিখবেন সেই সকল সম্পর্কে বিস্তারিত আলচনা জানতে পারবেন।
মোবাইলে চাকরির আবেদন করার নিয়ম
মোবাইলে চাকরির আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে এই পাঠে জানবো। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে চাকরির আবেদন করার জন্য আমাদেরকে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। এখন সে নিয়মগুলো কোনগুলো সেই সম্পর্কে আমাদেরকে অবশ্যই অবগত হতে হবে। এ নিয়মগুলো সম্পর্কে যদি জানা না থাকে তাহলে সঠিক নিয়মে আবেদন করা যাবে না। আর সঠিক নিয়মে আবেদন না হলে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে একটু ঝামেলা হতে পারে। মোবাইল দিয়ে আবেদন করার জন্য নিয়মগুলো নিম্নে দেওয়া হলো।
মোবাইল ফোন ব্যবহার করার মাধ্যমে চাকরির আবেদন করতে সবার প্রথমে আপনার ফোনে ক্রোম ব্রাউজার ইন্সটল করা থাকতে হবে। আপনার ফোনে যদি এই অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করা না থাকে তাহলে অবশ্যই গুগলের প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিবেন। এর পরে দরকার হবে চাকরির জন্য আবেদন করতে ছবি।
চাকরিতে আবেদন করার ক্ষেত্রে ছবির সাইজ হতে হবে ৩০০*৩০০ Pixel (Width* Height)। আর এই ছবির র সাইজ হতে হবে সর্বোচ্চ ১০০ kb এর মধ্যে। আপনি যদি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ছবি তুলে থাকেন তাহলে ছবি তোলার পরে নির্দিষ্ট মাপ অনুযায়ী থাইস ঠিক করে নেবেন। সেই সাথে সাথে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড ও পরিবর্তন করে নিতে হবে।
এরপরে আপনার ছবি সত্যায়িত করা সিগনেচার করা ছবি দেওয়ার প্রয়োজন হবে। এর জন্য সিগনেচার হতে হবে ৩০০* ৮০ Pixel (Width*Height)। আর এই সিগনেচার এর সর্বোচ্চ সাইজ হবে ৬০ kb পর্যন্ত। আপনি একটি সাদা খাতায় সিগনেচার করার পরে সেই সিগনেচারের ছবি তুলে নিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট পাওয়া যায় সেই ওয়েবসাইট থেকে ছবির সাইজ এডজাস্ট করে নিবেন।
অনলাইনে চাকরির আবেদন করার নিয়ম
মোবাইলে চাকরির আবেদন করার নিয়ম জেনে আপনি ঘরে বসে থেকেই অনলাইনে চাকরির আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে চাকরির আবেদন করার জন্য নিচের দেখানো সঠিক নিয়ম গুলো আপনাকে সুন্দর মত পালন করে চাকরির জন্য আবেদন করতে হবে। তাহলে চলুন এখন জেনে নেই অনলাইন এর মাধ্যমে আপনি কিভাবে চাকরির আবেদন করবেন তার নিয়ম সম্পর্কে।
- প্রথমে আপনাকে চাকরির সার্কুলার দেখে তাদের দেখানো নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
- সেখানে দেখানোর নির্দিষ্ট ঘরে আপনার এসএসসি পাসের সনদ অনুযায়ী আপনার নাম প্রথমে বাংলাতে এবং তারপরে ইংরেজিতে বড় হাতের অক্ষরের লিখতে হবে।
- আপনার যদি জাতীয় পরিচয় পত্র থেকে থাকে তাহলে তাতে জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর ইংরেজিতে লিখতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্র ১০ ডিজিটের অথবা ১৭ ডিজিটের হয়ে থাকে। যদি কারো ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর 13 ডিজিটের হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে প্রথম চার ঘরে ৪ ডিজিট আপনার জন্ম সাল লিখতে হবে।
- জন্ম তারিখ ইংরেজিতে সঠিকভাবে লিখতে হবে।
- এরপরে বাংলাদেশের ৮টি বিভাগ হতে আপনার নিজস্ব বিভাগ নির্বাচন করতে হবে।
- বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে আপনার নিজের জেলা নির্বাচন করতে হবে।
- আপনার এস এস সি সনদ অনুযায়ী ইংরেজিতে মায়ের নাম লিখুন
- এসএসসি সনদ অনুযায়ী ইংরেজিতে বাবার নাম লিখুন
- নিজের জেন্ডার নির্বাচন করুন
- একটি সচল ১১ ডিজিটের মোবাইল ফোন নাম্বার দিন
- নিজের ধর্ম নির্বাচন করুন
- নিজের জাতীয়তা লিখুন
- আপনি যদি পরবর্তী আপডেট ইমেইলের মাধ্যমে জানতে চান তাহলে নিজের ইমেইল ঠিকানা প্রদান করুন।
- আপনি যদি কোন পেশার সাথে জড়িত থাকেন সেই পেশা ইংরেজিতে অথবা বাংলাতে উল্লেখ করুন
- আপনার স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা লিখুন
- সর্বশেষ আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা লিখতে হবে
- যদি আপনার কোন অতিরিক্ত যোগ্যতা থেকে থাকে তাহলে সেটি লিখতে হবে
- চাকরির ক্ষেত্রে আপনার পূর্ববর্তী কোন অভিজ্ঞতা রয়েছে কিনা সেটা লিখতে হবে
- আপনি যদি নির্দিষ্ট বিভাগীয় পার্টি হয়ে থাকেন তাহলে সেটা নির্বাচন করুন। তারপর সফল ঘরগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
- এরপরে চাকরির জন্য আবেদনকৃত ব্যক্তির রঙিন ছবি প্রদান করতে হবে। যেটার সাইজ হবে 300*300 pxl আর এই ছবিটার ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা হতে হবে। ছবিটির প্রধানের ক্ষেত্রে ছবির সাইজ যেন 300 kb এর ভেতরে হয় সেটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
- চাকরিপ্রার্থীর স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে। স্বাক্ষরের ছবি যেন 250*250 হয় আর সেই ব্যাকগ্রাউন্ড কবে জানো অবশ্যই সাদা হয়। ছবির পায়েলের সাইজ হবে 300 kb এর ভেতরে।
- এরপরে সকল তথ্যগুলো আপনাকে সংরক্ষণ করতে হবে সঠিকভাবে পূরণ করার মাধ্যমে। সকল তথ্য পূরণ করা হয়ে গেলে পরবর্তী বাটন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করুন। এরপরে যদি আপনার সকল তথ্যগুলো সঠিক থাকে তাহলে আপনার চাকরির জন্য একটা আবেদন জমা হয়ে যাবে।
- এরপরে আপনাকে চালানোর তথ্য পূরণ করতে হবে। তাহলে আপনার আবেদন নিশ্চিত হয়ে যাবে। এরপরে যদি আপনি আরেকটি বাটন দেখতে পান ওই বাটনে ক্লিক করে আপনার আবেদনটি সাথে করে নেবেন।
- সকল তথ্য সঠিক ভাবে যাচাই করার পরে আবেদন নিশ্চিত করুন আমাকে একটু বাটন পেয়ে যাবেন। সেখানে ক্লিক করুন।
- আপনি যদি এখানে দেখেন আপনার তথ্যটি কোথাও কোন ভুল রয়েছে তাহলে আপনি "সম্পন্ন" বাটন এর উপর ক্লিক করলে আবার পুনরায় সেই তথ্যটি সঠিক করে নিতে পারবেন।
- আবেদন যদি সবকিছু সঠিক থাকে তাহলে "সাবমিট" বাটনে ক্লিক করে আবেদনটি জমা দিন। আবেদনে একবার জমা দেওয়া হলে সেটা সংশোধন করার আর কোন সুযোগ থাকবে না।
- আবেদনটি জমা হয়ে গেলে সেখানে প্রিন্ট করার একটি বাটন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করে আবেদন ফরমটি প্রিন্ট আউট করে নিন।
আশা করছি আপনারা সকলে এখন কিভাবে অনলাইনে আপনার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে চাকরির জন্য আবেদন করবেন সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এরপরে যদি কোথাও কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আমরা অবশ্যই আপনাকে সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।
চাকরির আবেদন ফরম ডাউনলোড
মোবাইলে চাকরির আবেদন করার নিয়ম মেনে যদি আপনি চাকরির আবেদন সম্পন্ন করেন তাহলে তার পরেই এর ফরম ডাউনলোড করে নিতে হবে। আপনি যদি কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাকরির জন্য আবেদন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই চাকরির আবেদন করার জন্য একটু ফর্ম পূরণ করে তাদেরকে জমা দিতে হবে। আপনি যদি চান সেই সংশ্লিষ্ট ফর্ম আপনি কম্পিউটারের দোকান থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
আবার আপনি যেই প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন করছেন সেখানে থেকেও সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। আপনি যেহেতু আজকের আমাদের এই পোস্টটি পড়ছেন তাহলে আপনাকে আর কোন কষ্ট না করেই শুধুমাত্র একটি লিংকে ক্লিক করার মাধ্যমে আপনি চাকরির আবেদনের ফর্ম ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। নিম্নে চাকরির আবেদন ফরম ডাউনলোডের লিংক দেওয়া হলো।
চাকরির আবেদন ডাউনলোড করার লিংকঃ ডাউনলোড করুন
বেসরকারি চাকরির আবেদন ফরম
বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে আপনিও আবেদন ফরম ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তার জন্য শুধুমাত্র আপনাকে একটা লিংকে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে হবে। অথবা আপনি যদি চান তাহলে এই বেসরকারি চাকরির আবেদন ফরম আপনি আবেদন কৃত কম্পানির অফিস থেকেও সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
অথবা আপনি যে কোন কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে নিতে পারবেন এর আবেদন ফরমটি। আপনি আজকের এই আর্টিকেলটিতে চাকরিতা আবেদন করার লিংক পেয়ে যাবেন। সেখানে ক্লিক করলে আপনার চাকরির আবেদনের ফর্ম ডাউনলোড হতে থাকবে পিডিএফ আকারে। চলুন তাহলে এখন চাকরির আবেদন ডাউনলোড করে নেওয়া যাক।
বেসরকারি চাকরির আবেদন ডাউনলোড করার লিংকঃ ডাউনলোড করুন
চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম
মোবাইলে চাকরির আবেদন করার নিয়ম মেনে চাকরির আবেদন করার পরে যে কোন চাকরির ক্ষেত্রে দরখাস্ত লিখতে হয়। আর এই দরখাস্ত চাকরির জন্য অনেক বড় একটি ভূমিকা পালন করে। চাকরির জন্য দরখাস্ত লিখবেন কিভাবে তার জন্য একটি সঠিক নিয়ম রয়েছে। আপনি যদি একটি প্রপার হয়েছে চাকরির জন্য দরখাস্ত লিখতে পারেন তাহলে আপনার চাকরির সম্ভাবনা অনেক গুনে বেড়ে যাবে।
আপনি যদি চাকরির ক্ষেত্রে দরখাস্ত লিখতে চান তাহলে এই দরখাস্ত লেখার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। যেগুলো কোন পরিস্থিতিতেই বাদ দেওয়া সম্ভব নয়। আপনি যে কোন চাকরির জন্য যে কোন প্রকারের দরখাস্ত লিখুন না কেন, এই দরখাস্ত লেখার সময় নিম্নে উল্লেখিত সকল নিয়মগুলো মেনে দরখাস্ত লেখা সম্পন্ন করতে হবে।
- যেই তারিখে আপনি দরখাস্ত লিখছেন সেই দিনের তারিখ।
- আপনি যে ব্যক্তির নিকট দরখাস্ত লিখছেন তার নাম, পদবী এবং ঠিকানা
- আপনি যে বিষয়ে দরখাস্ত লিখছেন সেই বিষয় উল্লেখ করতে হবে।
- সম্ভাষণ করতে হবে। যেমন, জনাব/স্যার/ম্যাডাম/মহোদয় ইত্যাদি।
- আপনি যে বিষয়ে দরখাস্ত টি লিখছেন তার বিষয়ে একটি গঠনমূলক বিস্তারিত বর্ণনা দিতে হবে
- আবেদনকারী ব্যক্তির নাম, ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
উপরে উল্লিখিত এই সকল বিষয়গুলো মাথায় রেখে আপনাকে দরখাস্ত লিখতে বসতে হবে। এখন আপনি দরখাস্ত কিভাবে লিখবেন সেই বিষয়ে একটি নমুনা দেওয়ার চেষ্টা করব। তবে আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি দরখাস্ত লেখার জন্য পৃথক পৃথক কাজের জন্য পৃথক নিয়মে দরখাস্ত লিখতে হয়। আপনাদের সুবিধার্থে চাকরির জন্য দরখাস্তের নমুনা নিম্ন দেওয়া হলো।
চাকরির উদাহরণঃ সহকারী শিক্ষক পদে চাকরির আবেদন/দরখাস্ত
তারিখঃ ১৭-০১-২০২৪
বরাবর
সভাপতি
……………….. বিদ্যালয়
রাজশাহী
বিষয়ঃ সহকারী শিক্ষক পদে চাকরির জন্য আবেদন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, গত ১৫-০১-২০২৪ খ্রিঃ তারিখে “দৈনিক যুগান্তর” পত্রিকায় প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তি মারফত জানতে পারলাম যে, আপনার বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে কিছু সংখ্যক লোক নিয়োগ করা হবে। আমি ও উক্ত পদের জন্য একজন পার্থি। তাই আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত আপনার নিকট উপস্থাপন করছি।
নামঃ মোঃ ---------- মোল্লা
পিতার নামঃ মোঃ -----------মোল্লা
মাতার নামঃ মোছাঃ --------- বেগম
বর্তমান ঠিকানাঃ -----------------------
স্থায়ী ঠিকানাঃ -----------------------
জন্ম তারিখঃ ০১-০২-১৯৯৫
জাতীয়তাঃ বাংলাদেশি
জাতীয় পরিচয় পত্র নংঃ ১২৩৪৫৬৭৮৯২
বৈবাহিক অবস্থাঃ অবিবাহিত
ধর্মঃ ইসলাম
মোবাইল নাম্বারঃ ০১৬৪৯১৬২---
রক্তের গ্রুপঃ A+
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ
অভিজ্ঞতাঃ
অতএব, মহোদয়ের নিকট বিনীত নিবেদন এই যে, উপরের উল্লেখিত সকল অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে আমাকে উক্ত পদের জন্য পার্থি হিসেবে মনোনীত করে বাধিত করবেন।
বিনীত নিবেদক
মোঃ------ মোল্লা
মোবাইল নাম্বারঃ ০১৬৪৯১৬২---
সংযুক্তিঃ
- চারিত্রিক সনদপত্র
- নাগরিকত্বের সনদপত্র
- ১০০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট
- জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি
- দুই কপি সত্যায়িত পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদের সত্যায়িত কপি
ডাকযোগে আবেদন করার নিয়ম
মোবাইলে চাকরির আবেদন করার নিয়ম। ডাকযোগে আবেদন বলতে এমন একটি বিষয়কে বোঝানো হয় যেখানে নিজের প্রয়োজনে অথবা ব্যবসার প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এক একটি করে পত্র লিখতে হয়। আর এ ধরনের পত্রকে ব্যবসায়িক পত্র/পত্রিকা বলে। যাকে ডাকযোগে আবেদন ও বলা হয়ে থাকে। আপনি কিভাবে এই ডাকযোগের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন সেই নিয়ম গুলো সম্পর্কে নিম্ন বিস্তারিত আলোচনা দেওয়া হলো।
তারিখঃ
বিক্রয় কর্মকর্তা
প্রিয়ন্তি প্রকাশনী
সাহেব বাজার, রাজশাহী ১০০০
বিষয়ঃ ভিপি হিসেবে ডাকযোগে পাঠানোর জন্য আবেদন
আপনাদের প্রকাশনা হতে নিম্নের তালিকার সকল অধিভুক্ত বইগুলো একটি করে কপি নিম্নের দেওয়া ঠিকানায় পাঠানোর জন্য আপনাদেরকে অনুরোধ করছি। আপনি যদি সকল বইগুলো পাঠিয়ে দেন তাহলে প্রাপক হিসেবে ডাকযোগে পাঠানো ব্যবস্থা করা হলে সকল বইগুলো যাবতীয় খরচ আমি পরিশোধ করতে পারবো। এ ব্যাপারে সহযোগিতা করার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে অগ্রিম ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ঠিকানাঃ মাদ্রাসা মোড়, নাটোর
স্বাক্ষর
-------- হোসেন
বইয়ের তালিকাঃ
- লেখক নাজমুল হকের সঠিক নিয়মে লেখাপড়া
- লেখক মাহফুজা আক্তারের ঘুরে এলাম বাগেরহাট
- লেখক ইকবাল সিরাজের প্রাচীন বাংলার ইতিহাস
চাকরির আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম
চাকরির আবেদন ফরম পূরণ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে নিয়ম গুলো মেনে অনুসরণ করে আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে। চাকরির আবেদন ফরম পূরণের ক্ষেত্রে আপনাদের থেকে 10 থেকে ১২ টি থাকে সকল প্রাথমিক তথ্যগুলো গ্রহণ করা হয়। সেগুলো কিভাবে পূরণ করবেন তা সুন্দরভাবে নেচে উল্লেখ করা হলো।
- প্রথমে সঠিকভাবে আপনার নিজের নাম লিখবেন।
- আপনি ছেলে অথবা মেয়ে যেই জেন্ডারের এই হোন না কেন তা নির্ধারণ করবেন।
- আপনি বিবাহিত না অবিবাহিত সেটি উল্লেখ করবেন।
- আপনার জন্ম তারিখ, মাস, ঢাল সঠিকভাবে উল্লেখ করবেন।
- আপনার বাবা মায়ের নাম সঠিকভাবে পূরণ করবেন।
- যদি আপনি মেয়ে হয়ে থাকেন যদি আপনার স্বামী থাকে তাহলে তার নাম সঠিকভাবে উল্লেখ করবেন।
- আপনার একটা সচল মোবাইল নাম্বার প্রদান করবেন। আর এ নাম্বারটা সব সময় সচল রাখবেন। কারণ পুরো চাকরির আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য এই মোবাইল নাম্বারটি খুবই জরুরী।
- নিজের জাতীয়তা নির্ধারণ করবেন।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার লিখতে হবে সঠিকভাবে
- আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। অবশ্যই সেই ঠিকানাগুলো সঠিক প্রদান করবেন।
- আপনার নির্দিষ্ট জেলা উল্লেখ করতে হবে।
- আপনি যদি আপনার চাকরির আবেদন প্রক্রিয়ার পরবর্তী আপডেট সম্পর্কে জানতে চান ইমেইলের মাধ্যমে তাহলে অবশ্যই ইমেইল আইডি প্রদান করবেন।
উপরের দেখানো এই সকল নিয়ম অনুসরণ করে আপনার আবেদন ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করে জমা দিবেন। আর নাম পূরণ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই বড় হাতের অক্ষর দিয়ে লিখবেন। এরপরে যাচাই-বাছাই করার পরে আপনার চাকরির পরবর্তী আপডেট আপনার মোবাইল নাম্বারে অথবা ইমেল আইডিতে প্রদান করা হবে।
মোবাইলে চাকরির আবেদন সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ নিয়োগ পত্র কী?
উত্তরঃ কোন চাকরির ক্ষেত্রে নিয়োগ প্রদান করার জন্য যে (Appointment letter) এপোয়েন্টমেন্ট লেটার দেওয়া হয় সেটিই নিয়োগ পত্র।
প্রশ্নঃ আবেদন পত্র কি দলিল?
উত্তরঃ আবেদন পত্রকে একটি নথির সাথে তুলনা করা হয়। যাতে করে এটা উল্লেখ করা হয় আপনি তাদের সেই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য আগ্রহি বোধ করছেন।
প্রশ্নঃ অনলাইন আবেদন ফরম কি?
উত্তরঃ চাকরির জন্য যেই আবেদন পত্রটি ইন্টারনেট মাধ্যম ব্যাবহার করে পূরণ করে জমা দেওয়া হয় তাকেই মূলত অনলাইন আবেদন ফরম বলে।
প্রশ্নঃ কভার লেটার এর অপর নাম কি?
উত্তরঃ কভার লেটার এর অপর নাম হলো মোটিভেশন লেটার অথবা মোটিভেশনাল লেটার।
লেখকের মন্তব্য। মোবাইলে চাকরির আবেদন করার নিয়ম
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, মোবাইলে চাকরির আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে আজকের এই পাঠে আমরা জানতে পেরেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে অনেকটাই উপকৃত হয়েছেন। যদি এই আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। আর এমন আরো আর্টিকেল প্রতিদিন ফ্রীতে পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
পেপারস্পট২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url