মোবাইল কেনার আগে যা জানা অবশ্যই দরকার

বাটন ফোনে বিকাশে টাকা দেখার নিয়মমোবাইল কেনার আগে যা জানা অবশ্যই দরকার সেই বিষয়ে আপনি জানেন কি? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আপনার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি। কারণ আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা আলোচনা করবো মোবাইল কেনার আগে যা জানা অবশ্যই আপনার জন্যে দরকার হবে সেই সকল বিষয়ে।
মোবাইল কেনার আগে যা জানা অবশ্যই দরকার
আমরা যখন কোন মোবাইল ফোন কিনতে যাই তখন আমরা শুধু এই ফোনের ram এবং স্টোরিস দেখে কিনে নিয়ে চলে আসি। এটাই করা মোটেও উচিত নয়। এছাড়াও আপনি যদি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়তে থাকেন তাহলে জানতে পারবেন মোবাইল কেনার আগে করণীয় কি

পেজ সূচিপত্রঃ

মোবাইল কেনার আগে যা জানা অবশ্যই দরকার

দৈনন্দিন সকল প্রকার কাজকর্মে আমাদের সকলের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বস্তু হয়ে উঠেছে এই স্মার্টফোন। তাই এই সকল দিকগুলো বিবেচনা করলে দেখা যায় এটি ব্যাবহার করার জন্য আমাদেরকে সবথেকে ভালো একটি ফোন দেখে শুনে কিনতে হবে। অন্যথায় আমরা আরো বিভিন্ন ধরণের ঝামেলায় এবং অসুবিধায় পরতে পারি।

মোবাইল কেনার আগে এখন বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। সেখান থেকে দেখে শুনে ভালো মানের একটি মোবাইল ফোন ক্রয় করার চিন্তা ভাবনা করতে হবে। তবে কোন কোন বিষয় সম্পর্কে দেখেশুনে ভালোভাবে তারপরে ফোন কিনতে হবে সেই বিষয়ে একটি পূর্ণাজ্ঞ ধারণা এই পোস্টের মধ্যে পেয়ে যাবেন। তো তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

আপনি যখন একটি মোবাইল কিনবেন তার আগে আপনাকে বুঝতে হবে সেই ফোন কেনার জন্য আপনার প্রধান উদ্দেশ্য কি। আপনি কি এমনিতেই ব্যাবহারের জন্য ফোন কিনবেন নাকি গেম খেলার জন্য ফোন কিনবেন। যদি আপনি গেম খেলার জন্য ফোন কিনতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই ফোনের প্রসেসর, স্টোরেজ, র‍্যাম এবং ডিসপ্লে এই ৪টি বিষয়ের ওপরে নজর দিতে হবে।

আবার যদি আপনার ফোন কেনার প্রধান উদ্দেশ্য হয় শুধুমাত্র ফটোগ্রাফি করা, তাহলে অবশ্যই আপনাকে এইক্ষেত্রে ফোনের ক্যামেরা, স্টোরেজসহ সফটওয়্যার অপটিমাইজেশন এর বিষটির ওপরে খেয়াল রাখতে হবে। আবার অনেকেই রয়েছেন যারা শুধু দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাবহার করার জন্য সেই ফোনের ব্যাটারির দিকেই বেশি নজর দেন।
মোবাইল কেনার আগে যা জানা অবশ্যই দরকার
তবে এক্ষেত্রে আপনাকে জানিয়ে রাখি, আপনাকে মোবাইল ফোন কেনার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে প্রসেসর, ব্যাটারি এবং সফটওয়্যার অপটিমাইজেশনের দিকেও ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। আবার এমন আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা একই ফোনের মধ্যে ব্যাটারির ব্যাকআপ, গেইম এবং তার সাথে ফটোগ্রাফি সবকিছুই অনেক ভালো চান। তাদেরকে এক্ষেত্রে বলবো সকল কিছু একই ফোনের ভেতরে পাওয়া কখনোই সম্ভব নয়।

এই বিষয়টি বুঝে থাকলে তাহলে এবার আসি মোবাইল কেনার আগে যা জানা অবশ্যই দরকার হবে। এই বিষয়টি যদি আপনি ভালোভাবে বুঝতে পারেন তাহলেই আপনি দেখেশুনে অনেকটাই ভালো মানের মোবাইল ফোন কিনতে পারবেন। চলুন তাহলে এখন জেনে নেওয়া যাক।

মোবাইল কেনার আগে প্রসেসর দেখে নিন

মোবাইল ফোনের প্রসেসরকে বলা হয়ে থাকে মোবাইলের মস্তিষ্ক। আর যদি এই মস্তিষ্ক কারো বিকল হয়ে যায় তাহলে সেই যেমন মানুষ হিসেবে আত্ম প্রকাশ করতে পারবে না, তেমনি এই মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে ও একই ঘটনা। মূলত মোবাইল ফোনের সকল কমান্ডগুলো এই প্রসেসরের মাধ্যমে প্রসেসিং হয়। যখন আপনি ফোন কিনবেন তখন লক্ষ্য রাখবেন প্রসেসর যেনো পুরাতন মডেলের না হয়।

যদিও কখনো হঠাৎ পুরাতন হয়েই যায় তাহলেও চেষ্টা করবেন সেটি যেনো এক বছরের বেশি পুরাতন না হয়। তার কারণ হলো একটি নতুন মডেলে প্রসেসরে ফোনের নেটওয়ার্ক স্পিড, ক্যামেরা পারফরম্যান্স, গেমিং পারফরম্যান্স, ব্যাটারি ব্যাকআপসহ সকল বিষয়ের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। তাই যখন আপনি একটি প্রসেসর ক্রয় করবেন তখন আপনাকে অবশ্যই যেই তিনটি বিষয় দেখে বাছাই করে ক্রয় করতে হবে। সেগুলো হলো

ন্যানোমিটার প্রযুক্তি

যখন আপনি ভালোমানের ফোনের কথা চিন্তা করবেন তখনই আপনাকে এই ন্যানোমিটার প্রযুক্তির দিখে খুব গুরুত্বসহকারে নজর দিতে হবে। যেই মোবাইল ফোনের ন্যানোমিটার প্রযুক্তি যতটা কম হয় সেই মোবাইল ফোনটি ততটাই দ্রুতগতির হবে। তার পাশাপাশি সেই ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ ও অনেক ভালো পাওয়া যাবে।

ফোনের ন্যানোমিটার প্রযুক্তি দিয়ে সাধারণত সেই ফোনের প্রসেসরের ট্রানজিস্টর এর দূররত্বকে বুঝানো হয়। আর্থাৎ এখানে একটি ট্রানজিস্টর থেকে অন্য একটি ট্রানজিস্টরের দূরত্ব যতটা কম হবে তার ডাটা ট্রান্সফারের সক্ষমতাও ততটাই বেশি হবে। ফলে কম শক্তি খরচ হয়ে ভালো পারফরম্যান্স দিবে। যার ফলে ব্যাটারির চার্জ ও দীর্ঘক্ষণ যাবে।

কোর

একটি প্রসেসরের কোর যত বেশি হবে সেই মোবাইল ফোনটি ততবেশি দ্রুত কাজ করবে। প্রসেসর কিনার সময়ে যদি দেখেন ডুয়েল কোর তাহলে বুঝবেন এটিতে আসলে ২টি কোর রয়েছে। যদি কোয়াড কোর বলে তাহলে বুঝবেন এটি ৪ কোরের। আর যদি বলে যে অক্টা কোর তাহলে বুঝে নিবেন সেটি ৮ কোরের প্রসেসর।

ক্লকস্পীড

আপনি যদি গেম খেলার জন্য ফোন কিনতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফোনের ক্লকস্পীডের ওপর বেশ ভালোভাবে নজর দিতে হবে। আপনার ফোনের ক্লকস্পীড যতটা বেশি হবে সেই ফোনের পারফরম্যান্স ততটাই বেশি ভালো হবে।

মোবাইল কেনার আগে র‍্যাম দেখে নিন

আমরা সকলেই একটি মোবাইল ফোন কিনার আগে সেই ফোনের র‍্যাম দেখে কিনে নিয়ে চলেন আসি। তবে তার পুর্বে যে আমাদেরকে ফোনের প্রসেসরের দিকে নজর দিতে হবে সেটি ভূলেই যাই। এখন আমরা জানবো একটি ফোন ক্রয় করার পূর্বে কেনো আপনি দেখবেন। আর কিভাবে বুঝবেন এটিই আপনার জন্য ভালো। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
মোবাইল কেনার আগে যা জানা অবশ্যই দরকার
বর্তমানে আমাদের সকলের মধ্যেই একটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে যে, যেই ফোনের র‍্যাম যত বেশি হবে সেই ফোনের পারফরম্যান্সও ততটাই ভালো হবে। কিন্তু এটি পুরোপুরি সঠিক ধারণা নয়। শুধু ফোনের র‍্যামের সংখ্যা দেখলেই চলবে না। এক্ষেত্রে অবশ্যই এটিও বিবেচনায় নিতে হবে সেই র‍্যাম কোন ধরণের।

যদি একটি ফোনের র‍্যামের পরিমাণ ৮ জিবি হয়, আর সেই র‍্যামের ধরণ যদি হয় LP- DDR4 তাহলে সেক্ষেত্রে ক্লকস্পিড হবে (৩২০০×৮) বা ২৫৬০০ MBPS। বার যদি অন্য একটি মোবাইল ফোনের র‍্যামের পরিমাণ হয় ৪ জিবি, আর সেই র‍্যামের ধরণ যদি হয় LP-DDR5 তাহলে সেক্ষেত্রে ক্লকস্পিড হবে (৬৪০০×৪) বা ২৫৬০০ MBPS

এক্ষেত্রে আপনারা বুঝতেই পারছেন যে শুধুমাত্র র‍্যামের ধরণের ওপর ভিত্তি করেই একটি ফোনের ৮ জিবি র‍্যাম এবং অন্য একটি ফোনের ৪ জিবি র‍্যাম হলেও র‍্যামের স্পীড হয় একই সমান। এখানে আপনাকে একটি বিষয় বুঝতে হবে LP- DDR4 র‍্যাম LP-DDR5 তুলনামূলক অনেকটাই কম পরিমাণে শক্তি খরচ করে থাকে। আর তার জন্য এর ব্যাটারি ব্যাকআপ ও বৃদ্ধি পেয়ে যায়।

মোবাইল কেনার আগে স্টোরেজ দেখে নিন

প্রসেসরের পরেই মোবাইল কিনার জন্য সাথে গুরুত্বপূর্ণ যে দেখতে দেখে নজর দিতে হয় সেটি হল ফোনের স্টোরেজ। ফোন ক্রয়ের ক্ষেত্রেও এমন ফোনের স্টোরেজ নিয়ে ভূল ধারণা রয়েছে। সকলেই এমনটি ভাবেন যে যেই ফোনের স্টোরেজ এর পরিমাণ যত বেশি হবে সেই ফোন তত ভালো। কিন্তু বিষয়টি এমন নয়। ফোনের স্টোরেজের পরিমাণের থেকে এখানে স্টোরেজের ধরণ সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

EMMC এই ধরণের স্টোরেজ মডেল অনেকটাই পুরাতন। এই টাইপের স্টোরেজের ক্ষেত্রে গেম পারফরম্যান্স, ক্যামেরা পারফরম্যান্স এবং ব্যাটারি ব্যাকআপ UFS ধরণের যেই স্টোরেজ রয়েছে তার থেকে অনেকটাই খারাপ। আর এছাড়াও বড় কথা হলো এই UFS মডেলের স্টোরেজে প্রায় অনেক ধরণের ফিচার সাপোর্ট করে।

মোবাইল কেনার আগে ডিসপ্লে দেখে নিন

মোবাইল কেনার আগে যা জানা অবশ্যই দরকার তার মধ্যে একটি হলো মোবাইলের ডিসপ্লে সম্পর্কে। একটি মোবাইল ফোন কিনার আগে আপনাকে অবশ্যই সেই মোবাইলে ডিসপ্লে ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। মোবাইল ফোনের আমরা যেহেতু স্বাচ্ছন্দে ভিডিও দেখতে অথবা গেম খেলার জন্য অনেকটাই বেশি পছন্দ করে থাকি তাই একটি ফোন কিনার আগে সেই ফোনের ডিসপ্লে চেক করে নেওয়া অনেকটাই জরুরি।

তবে যদি আপনি একটি ভালো ডিসপ্লে বাছাই করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে ছবে ফোনের জন্য কোন ডিসপ্লে ভালো। ফোনে ব্যাবহার করা হয় এমন কিছু ডিসপ্লের মধ্যে থেকে আপনাক অবশ্যই যেই ৫টি বিষয়ের ওপর নজর দিতে হবে সেগুলো হলো হলো
  • ডিসপ্লে নিটস
  • টাচ স্যাম্পলিং রেট
  • রিফ্রেশ রেট
  • ডিসপ্লে টাইপ
  • ডিসপ্লে রেজুলেশন
এই ৪টি বিষয়ে কেনো আপনাকে অবশ্যই নজর দিতে হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা এখন আমরা করবো। চলুন তাহলে এই ৫টি কনফিগারেশনের ব্যাপারে চুলছেড়া বিশ্লেশন করা যাক।

ডিসপ্লে নিটস

একটি মোবাইল কেনার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই দেখে নিতে হবে সেই মোবাইলে ডিসপ্লে নিটস কত। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন একটি ফোনের যত বেশি ডিসপ্লে নিটস হবে তার ঠিক ততই বেশি ব্রাইটনেস দিবে। আপনারা যারা ফোন ব্যাবহার করার ক্ষেত্রে বেশি পরিমাণে ডিসপ্লের ব্রাইটনেস দরকার হয় তাদের ক্ষেত্রে তো এটা মোবাইল কেনার পূর্বে অবশ্যই খেয়াল করা উচিত।

টাচ স্যাম্পলিং রেট

একটি মোবাইলের জন্য টাচ স্যাম্পলিং রেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপয়ান্র ফোনের টাচ স্যাম্পলিং রেট যতটা বেশি হবে আপনার জন্য সেই মোবাইল ফোন ব্যাবহার ততটাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ হবে।

রিফ্রেশ রেট

আপনি যদি গেম খেলার জন্য মোবাইল কিনতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফোনের রিফ্রেশ রেট দেখে তারপর কিনতে হবে। এই ক্ষেত্রে মোবাইলে রিফ্রেশ রেট যত হার্জ (HZ) বেশি হবে সেই মোবাইল ততটাই ভালো। এই বিষয়টি শুধুমাত্র গেমারদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে আপনি যদি একজন মোবাইল ফোন ব্যাবহারের সাধারণ পাবলিক হয়ে থাকেন তাহলে সেটি আপনার জন্য খুব একটা বেশি প্রভাব ফেলবে না।

ডিসপ্লে টাইপ

এখন আমরা সকলেই প্রায় জানি যে একটি মোবাইল ফোনের জন্য কোন ডিসপ্লে ভালো হবে। আর সেটি হলো অ্যামোলেড (AMOLED) ডিসপ্লে। আপনাদের মধ্যে যাদের রাতে বেশি পরিমানে মোবাইল ব্যাবহার করার অভ্যস রয়েছে তাদের জন্য এই অ্যামোলেড (AMOLED) ডিসপ্লে হবে সবথেকে ভালো।

এছাড়াও এই ডিসপ্লের ক্ষেত্রে ভিউয়িং অ্যংগেল, ব্যাটারি ব্যাকআপ অন্য যেই মডেলের ডিসপ্লে রয়েছে LCD আত্র থেকে অনেকগুণে ভালো। এছাড়াই এই মডেলের ডিসপ্লের মোবাইল ওজনের দিক থেকেও অনেকটাই হালকা হয়ে থাকে।

ডিসপ্লে রেজুলেশন

একটি মোবাইল ফোন কিনার ক্ষেত্রে ডিসপ্লে রেজুলেশন চেক করা অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ফোনের ডিসপ্লে রেজুলেশন এবং ফোনের PPI যত বেশি হবে আপনার সেই ফোনের ডিসপ্লের কোয়ালিটি ততটাই বেশি ভালো হবে।

মোবাইল কেনার আগে ক্যামেরা দেখে নিন

আপনি যখন মোবাইল ফোন কিনবেন তখন অবশ্যই আপনাকে দেখতে হবে সেই ফোনের ক্যামেরা। তবে যদি আপনি একজন এমন মানুষ হন যার জন্য ছবি তোলা খুব একটা জরুরি নয় তাহলে আপনার জন্য এটি বিবেচনায় না রাখলেও হবে। তবে যারা মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এই ক্যামেরা চেক করা অনেকটাই জরুরি। এই ফোনের ক্যামেরা সম্পর্কেও মানুষের কিছুটা ভুল ধারনা রয়েছে।
মোবাইল কেনার আগে ক্যামেরা দেখে নিন
এই ক্যামেরা দেখার ক্ষেত্রে অনেকেই এমনটি মনে করেন যেই মোবাইলের ক্যামেরার মেগাপিক্সেল যত বেশি হবে সেই ফোনের ছবি ততটাই ভালো হবে। এমন ধারণাটি নিতান্তই অনেকটাই ভুল। তবে এখানে ক্যামেরার মেগাপিক্সেলের একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। যেমন যখন ক্যামেরার ছবি প্রিন্ট করা হবে তখন এটি অনেকটাই ভালো ইম্পেক্ট ফেলে।

তবে যেই ফোনের ক্যামেরার মেগাপিক্সেল যত বেশি হবে সেই মোবাইলে স্টোরেজ এর জায়গা অনেকটাই বেশি লাগবে। তাই আপনি যখন একটি মোবাইল ফোন কিনতে যাবেন তখন অবশ্যই আপনাকে যেই ৩টি বিষয়টির ওপর বেশি সবথেকে বেশি নজর দিতে হবে সেটি নিম্নে বর্ণনা করা হলো।

স্টোরেজ টাইপ

যখন আপনি একটি মোবাইল ফোন ক্যামেরার জন্য কিনছেন তখন অবশ্যই আপনাকে স্টোরেজ টাইপ দেখে নিতে হবে। যদি আপনি নতুন কোন স্টোরেজ টাইপ ব্যাবহার করেন তাহলে সেক্ষেত্রে সেই ছবির প্রসেসিং অনেকটাই ভালো হবে। অনেকের ফোনের এমন সমস্যা দেখতে পাবেন যে, যখন ছবি তুলছে তখন একদম ঠিকঠাক রয়েছে। কিন্তু ছবি তুলার পরে আর তেমন থাকে না। এই সমস্যাটি তখন দেখা দেয় যখন আপনি পুরনো টাইপের স্টোরেজ ব্যাবহার করেন।

ক্যামেরার হার্ডওয়্যার

ক্যামেরার ইমেজ সেন্সর এবং ক্যামেরার লেন্স এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। স্যামসাং ফোনের এবং সনির কিছু কিছু ইমেজ সেন্সর রয়েছে যেগুলো অনেকটাই ভালো। এছাড়াও আপনি যখন মোবাইলের ক্যামেরা দেখবেন তখন অবশ্যই আপনাকে অ্যাপারচার, ফোকাল লেন্থও খুবই গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। ফোনের ক্যামেরার এপাচার যতটা কম হবে সেই ফোনের ক্ষেত্রে সবথেকে কম আলোতে ততই ভালো ছবি উঠবে।

সফটওয়্যার অপটিমাইজেশন

মোবাইল দিয়ে ছবি তোলার ক্ষেত্রে সেই ছবিতে থাকে ডিটেইল, ডায়নামিক রেঞ্জ, ডেপথ, ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন এই সকল ইত্যাদির কারণে ভালো প্রসেসিং অথবা সফটওয়্যার অপটিমাইজেশন অনেকটাই বেশি প্রয়োজন।

মোবাইল কেনার আগে ব্যাটারি দেখে নিন

একটি মোবাই কিনার পূর্বে আপনাকে তো অবশ্যই সেই মোবাইলের ব্যাটারি ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। তবে সেই ব্যাট্যারি ব্যাকআপ শুধুমাত্র আপনার ব্যাটারির সাইজের ওপর নির্ভর করে না। এই কারণেই দেখবেন যেই মোবাইলে ৫০০০ MAH এর ব্যাটারি ব্যাবহার করে হচ্ছে কিন্তু যেই ফোনের ব্যাটারি ৪০০০ MAH সেই ফোনের আগেই আপনার ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ শেষ হয়ে যাচ্ছে।

আপনি যখন একটি মোবাইল ফোন ক্রয় করবেন তখন আপনাকে একটি ভালোমানের ব্যাটারি বাছাই করার জন্য আপনাকে নিম্নের তিনটি বিষয়ের ওপরে অনেক বেশি জোর দিতে হবে। আর এই তিনটি বিষয়ই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চলুন তাহলে এখন আমরা দেখে নেই কোন তিনটি বিষয় ভালোকরে দেখে তারপরে আপনাকে কিনতে হবে।

ব্যাটারির সাইজ

সাধারণত ব্যাটারির সাইজ নির্ধারণ করা হয় MAH দিয়ে। যেই ব্যাটারির ক্ষেত্রে MAH যত বেশি হবে সেই ব্যাটারির ব্যাকআপও ততটাই বেশি হবে।

ব্যাটারির প্রসেসর

যদি দেখেন আপনার ব্যাটারির প্রসেসরে ন্যানোমিটার প্রযুক্তি কম পরিমাণে থেকে থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই ব্যাটারির ব্যাকআপ ততটাই বেশি হবে। এই ছাড়াও রয়েছে সফটওয়্যার অপটিমাইজেশন ও ডিসপ্লের ধরণ এবং র‍্যামের দিকেও অনেক ভালো করে নজর দিতে হবে। কারণ এটিও আপনার ফোনের টারি ব্যাকআপের উপর দারুনভাবে প্রভাব ফেলে।

ইউটিউবে বিভিন্ন ফোনের রিভিউ দেখুন

আপনি যখন একটি মোবাইল ফোন কিনবেন তার পূর্বে অবশ্যই আপনার উচিত হবে সেই মোবাইল সম্পর্কে ইউটিউবের বিভিন্ন রিভিও দেখা। বর্তমান সময়ে বাজারে যখনই কোন মোবাইল ফোন আসুক না কেনো সেই ফোনের সম্পর্কে অনেক অনেক রিভিউ পাওয়া যায় ইউটিউবে। সেই সকল ভিডিও দেখে আপনাকে সেই ফোনের সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। 

মোবাইল কেনার আগে যা জানা অবশ্যই দরকার তার মধ্যে এই কাজটি আপনি বাসায় বসেই করে ফেলতে পারবেন। ইউটিউবে তাদের সেই ফোন সমর্কে রিভিউ দেখার পরে আপনার যদি মনে হয় সেই ফোন ভালো তবেই আপনি সেই ফোন কিনার কথা চিন্তা ভাবনা করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন একটি ভিডিও না দেখে একাধিক ইউটিউব ভিডিওতে সেই ফোনের রিভিউ দেখার। 

এর কারণ হলো ইউটিবে অনেকে শুধু টাকার জন্য ভুয়া তথ্যও দিয়ে থাকে। তাই অবশ্যই এক্ষেত্রে আপনাকে চেষ্টা করতে হবে কয়েকটি রিভিউ ভিডিও দেখার পরে তার পরে সেই ফোন কিনার। এছাড়াও আপনি এমন কোন মানুষের সাহায্য নিতে পারেন যে এই ফোনের সম্পর্কে অনেক ভালো বুঝে। তাই অবশ্যই যখন আপনি মোবাইল কিনবেন এই সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে নজরে রাখবেন।

শেষ কথা। মোবাইল কেনার আগে যা জানা অবশ্যই দরকার

সবশেষ আপনাকে অবশ্যই বলবো আপনি যখন একটি মোবাইল ফোন কিনবেন তখন অবশ্যই মোবাইল কেনার আগে যা জানা অবশ্যই দরকার সেই বিষয়গুলো জেনে নিয়ে তারপরে সেই মোবাইল ফোন কিনার কথা চিন্তা ভাবনা করবেন। আশা করছি এই বিষয়ে আপনাকে বুঝাতে পেরেছি। এই বিষয়ে আপনার বন্ধুদেরকে জানাতে তাদের সাথে অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করুন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পেপারস্পট২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url