মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে জানুন

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায়প্রিয় পাঠক, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে আপনি নিশই জানার জন্য আগ্রহি। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়গুলো সম্পর্কে বিস্তাতির আলোচনা করতে চলেছি।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়
শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যায়ামের গুরুত্ব, নিয়মিত শরীরচর্চার উপকারিতা এবং প্রতিদিনের শারীরিক ব্যায়াম সম্পর্কে। তাহলে চলুন বিস্তারিতভাবে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে জেনে নেই।

পেজ সূচিপত্রঃ

ভূমিকা

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় জেনে প্রতিদিন সেই সকল উপায় কাজে লাগানো উচিত। একটি মানুষের জীবনের সাথে ব্যায়ামের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড় ভাবে রয়েছে। তাছাড়াও জীবনে সফল হতে গেলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্যায়ামের ফলে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করা সম্ভব হয়। নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। এছাড়াও নিয়মিত ব্যায়াম আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে।

আমাদের ব্যক্তিত্ব তৈরিতেও ব্যায়াম অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে আমাদের মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ ও নৈতিত্বের গুণাবলী গুলো গড়ে ওঠে। এর ফলে প্রত্যাহিক জীবনে সুশৃংখল জীবন যাপন করতে সহায়তা করে থাকে। তাছাড়া সামাজিক গুণাবলী গুলো অর্জনে ব্যান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেজন্য বলাই যায়, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ফিটনেসের গুরুত্ব অনেক বেশি। এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ব্যায়ামের গুরুত্ব অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এগুলো সম্পর্কে আমরা আরো বিস্তারিত ভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব, যেন আপনার এগুলো সম্পর্কে বুঝতে অনেক সহজ হয়।

এছাড়াও আপনাদেরকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো শরীরচর্চার উপকারিতা, শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যায়ামের গুরুত্ব এবং প্রতিদিনের শারীরিক ব্যায়াম এগুলো সম্পর্কে। তাহলে চলুন বিস্তারিত ভাবে জেনে আসি।

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য জ্ঞান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের ন্যায় মানসিক স্বাস্থ্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই সত্যটি অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সব ধরনের কুসংস্কার, এবং নেতিবাচক বদ্ধমূল ধারণা আমাদের জীবন থেকে দূর করতে হবে ও আশার সঞ্চার করতে হবে। আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব না দিলে, আমরা এই উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারব না। সেজন্য আমাদের এখনো সময় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার।

আমাদের মানসিক স্বার্থে যত্ন অত্যাবশ্কীয় একটি বিষয়। যা আমাদের প্রতিদিন বিভিন্ন ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। এর মধ্য থেকে কিছু কিছু ঘটনা আমাদের মনে সুখানুভূতি তৈরি করে থাকে, আবার কোন কোন ঘটনা আমাদের মনে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে না, আবার এমন কিছু ঘটনা আছে যার কারণে আমাদের মনে বিষাদ, রাগ ক্ষোভ এমনকি দুঃখের কালো মেঘ নিয়ে আসে।

যখন আমরা মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন হব, তখন থেকে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে অনেক সহজ হবে, এবং আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা সম্ভব হবে। আমাদের মধ্যে অনেকেরই জীবনে দুঃখ দুর্দশা হতাশা নিরাশার কালো মেঘ বাসা বাঁধতে পারে। তাই বলে আমাদের জীবন ব্যর্থ হয়ে যাবে কিংবা জীবন শেষ হয়ে যাবে সেটা নয়।

এখানকার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রথমত আমরা কিভাবে খারাপ সময় বা পরিস্থিতির মোকাবেলা করছি এবং মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি কতটা যত্নবান হচ্ছে সেটাই হলো সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এবং মানসিক স্বাস্থ্য আমাদের জীবনে প্রতিটি পর্যায়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের জীবনের সামগ্রিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে ও জীবনকে প্রতিনিয়ত প্রভাবিত করে।

আমাদের জীবনের জন্য শরীরকে সুস্থ ও সুন্দর রাখা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ হলো মনকে সুস্থ রাখা। তাই আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকলে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে অনেক দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি। দৈনন্দিন ও কাজকর্ম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারে। পরিবার ও সমাজের সঙ্গে সঙ্গতি বিধান করে চলতে পারে অনেক সহজে এবং স্বাভাবিক ও সুষ্ঠু অভিযোজনে সক্ষম হয়।

বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে পারি। আমরা আরো উৎপাদনশীল হয়ে উঠি এবং নিজের ও সমাজের উন্নয়নে আরো বেশি করে ভূমিকা রাখতে পারে।

শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যায়ামের গুরুত্ব

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যায়ামের গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। কারণ ব্যায়াম একটি স্বাস্থ্যকর জীবন ধারার একটি অপরিহার্য দিক। এবং ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল বয়সের মানুষের জন্য এর অনেক সুবিধা রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা সারাদিন স্কুল কলেজ ও ইউনিভার্সিটির ক্লাসের মধ্যে ব্যায়াম করার জন্য সময় বের করা অনেক চ্যালেঞ্জে হয়ে দাঁড়ায়।

যাইহোক, ছাত্র-ছাত্রীদের দৈনন্দিন রুটিনে নিয়মিত ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে। এটি ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক সুস্থতার ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। বই পড়া ও ডেক্সে বসে থাকা, বা কম্পিউটারে ক্লাস করার থাকে ব্যায়াম করা মানসিক ফোকাসকে অনেক সতেজ করে তুলে।

এবং সঞ্চালন উন্নত করতে পারে ও আটসাট অস্বস্তিকর পেশীগুলিকে উপসরন করতে অনেক সহযোগিতা করতে পারে। ব্যায়াম যে শুধুমাত্র আপনার শরীরকে সুস্থ করে বিষয়টি তা নয়, বরং এটি আপনার মস্তিষ্ককেও সুস্থ করে তুলে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে গ্রামের মাধ্যমে আমাদের চিন্তা দক্ষতা উন্নত করতে পারা যায়।

তাছাড়া এটি আমাদের আরো ভালোভাবে তথ্য ধরে রাখতে অনেক সহযোগিতা করে থাকে। তাই আমরা এখন শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যায়ামের বিভিন্ন সুবিধা গুলি উপস্থাপন করব। কেন তাদের জন্য ব্যায়ামের প্রতি অগ্রাধিকার দেওয়া এতটা গুরুত্বপূর্ণ। যেমনঃ
  • ব্যায়াম ফোকাস বৃদ্ধি করে
  • ব্যায়াম শেখার উন্নতি করতে পারে
  • স্কুলের উপস্থিতি বাড়িয়ে থাকে
  • ঘুমের মান উন্নত করতে পারে ব্যায়াম
  • শক্তিশালী এবং সুস্থ শরীর গঠন করতে সহায়তা করে ব্যায়াম
  • বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়িয়ে থাকে
  • বিষণ্ণতা এবং উদ্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করে থাকে ব্যায়াম
  • ব্যায়াম জীবনকে সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে সাহায্য করে
  • অনেক আত্মবিশ্বাস বাড়ায়
  • শক্তি এবং সতর্ক বৃদ্ধি করে
  • একাডেমিক কর্ম ক্ষমতা উন্নত করতে পারে ব্যায়াম
  • ব্যায়াম করার ফলে মাথাব্যথা হ্রাস করা যায়
  • প্রেরণা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে থাকে ব্যায়াম
  • মনোযোগী বৃদ্ধি করে ব্যায়াম
  • মেমোরি শক্তিশালী ও তীক্ষ্ণ করতে পারে
  • মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়

দৈনন্দিন জীবনে ফিটনেসের গুরুত্ব

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় জানার পাশাপাশি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ফিটনেসের গুরুত্ব সম্পর্কে জানা উচিত। দৈনন্দিন জীবনে ফিটনেস অনেক কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে, শক্তির মাত্রা বাড়াতে, দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার ঝুঁকি কমাতে এবং মানসিক স্বাস্থ্য ও সামগ্রিক শারীরিকের উন্নতি করতে সাহায্য করে থাকে।

আমাদের নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে ঘুমের মান উন্নত করতে পারে। এবং এর পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ও ডিপ্রেশন বা মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করতে পারে। ছাড়াও আমাদের শারীরিক কার্যকলাপ হাড়কে শক্তিশালী করতে পারে।

এবং "কার্ডিওভাসকুলার" আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে ও নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে অনেকটাই সহযোগিতা করতে পারে। সেক্ষেত্রে বলা যায়, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ফিটনেসের অনেক গুরুত্ব। কারণ এটি আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য কার্যকারী হিসেবে সহায়তা করে থাকে।

শরীরচর্চার উপকারিতা

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কি আসলেই আছে? শরীরচর্চার উপকারিতাগুলো কি কি? আমাদের সুন্দর জীবনের জন্য প্রয়োজন সুস্বাস্থ্য। সেই সুস্বাস্থ্য জন্যই দরকার নিয়মিত শরীর চর্চা। আমরা একটা কথা অনেকেই জানি শরীর ঠিক তো সব ঠিক। আমাদের শরীর সুস্থ থাকলে সবকিছুতেই অনেক ভালো লাগে। তাই শরীরকে সুস্থ ও মনকে নির্মল রাখতে আমাদের শরীর চর্চার দিকে মনোযোগী হতে হবে।

তাছাড়াও আমাদের স্বাস্থ্যরক্ষা ও অঙ্গ প্রতঙ্গ শক্তিশালী করার উপায় হল শরীর চর্চা। এছাড়াও আমাদের শরীরচর্চার অনেক উপকারিতা রয়েছে। শরীরচর্চা প্রত্যক্ষ মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলা যেতে পারে। নিয়মিত শরীর চর্চার মাধ্যমে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, হাড় শক্ত ও মজবুত হয়, মস্তিষ্ক সচল হয়, এবং নানা রকম রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়।

এ ধরনের রাসায়নিক উপাদান চিত প্রফল্য করে ও শারীরিক এবং মানসিক প্রশান্তির পাশাপাশি চেহারায় লাবণ্য উজ্জ্বলতা ভাব বাড়িয়ে আনে। এটি আমাদের শরীরে প্রফুল্লতা সৃষ্টি করে থাকে এবং অলসতা ক্লান্তি অপসারণ করতে সহযোগিতা করে। আমাদের নিয়মিত শরীর চর্চার ফলে বা ব্যায়াম করার ফলে কর্মস্পৃহা বাড়িয়ে থাকে।
এছাড়াও নিয়মিত শরীর চর্চার ফলে আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে অতিরিক্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ হওয়ার ফলে আমাদের হৃদয় যন্ত্র ও রক্তনালী সচল থাকে। এতে করে আমাদের শরীরে একটি সুপ্ত প্রাণস্পন্দন এবং উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাছাড়া আমাদের নিয়মিত শরীর চর্চা আনায়ন করতে সহযোগী হিসেবে কাজ করে।

আমাদের মধ্যে যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে জন্য নিয়মিত শরীর চর্চা অনেক উপকারী। শরীর চর্চার মাধ্যমে অনিদ্রা দূর করা সম্ভব হয়। এবং এর ফলে শরীরের রোগ দূর করা যায় খুব সহজে। এছাড়াও আমাদের শরীর শক্তিশালী ও সুস্থ হয়ে ওঠে নিয়মিত শরীরচর্চার করার ফলে। আশা করি আপনি বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন।

প্রতিদিনের শারীরিক ব্যায়াম

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় এ প্রতিদিন আপনাকে ব্যায়াম করতে হবেই। আমাদের এই আধুনিক জীবনে শারীরিক পরিশ্রমের পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে। তার ফলে আমাদের শরীরে নানা ধরনের অসুখ বিসুখ দেখা দিচ্ছে। এবং বিভিন্ন রকমের দুশ্চিন্তা গ্রাস করে বসছে আমাদের জীবনে। তাছাড়াও আমাদের খাদ্য তালিকায়ও বদলে গেছে। এবং অনেক ধরনের ভেজাল খাদ্য খাওয়ায় আমাদের শরীরে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যান্সার, যৌন সমস্যা, হৃদয়রোগ ইত্যাদি।

এছাড়াও আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস সমিতি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এখন বিশ্বের ৬৫ শতাংশ মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণে শারীরিক পরিশ্রম করে না। তাছাড়া উন্নত বিশ্বে এই হার অনেক গুনে বেশি। শুধুমাত্র শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা জনিত কারণে প্রতিবছর পৃথিবীতে প্রায় ২০ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে।

এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা জনিত কারণে ১৫ - ২০ শতাংশ ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। এছাড়াও ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে যাদের শারীরিক ফিটনেস বা যোগ্যতা কম অথবা মাঝারি তাদের ক্ষেত্রে শারীরিকভাবে যোগ্যদের তুলনায় ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেক গুনে বেশি।

একজন ডায়াবেটিস রোগী যদি দৈনিক অন্তত দুই ঘন্টার বেশি সময় ধরে হাটে সেক্ষেত্রে তার ডায়াবেটিস জনিত মৃত্যুর আশঙ্কা ৪০ শতাংশ এবং হৃদয় রোগ জনিত মৃত্যুর আশঙ্কা ৪৫ শতাংশ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তাই এগুলো থেকে আমাদের মুক্তি পাওয়ার বড় একটি মাধ্যম হলো প্রতিদিনের শারীরিক ব্যায়াম। তাই আমরা যদি নিয়মিত ব্যায়াম করি, তাহলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে। তাই আমাদের অবশ্যই প্রতিদিনের শারীরিক ব্যায়াম অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ মানসিক স্বাস্থ্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তরঃ আপনি যদি মানসিকভাবে সুস্থ থাকেন তাহলে আপনি সকল ধরণের সিদ্ধান্ত নিতে এবং জীবনের দৈনন্দিন ক্রিয়াকলাপে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। তাই এটি এতো গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্নঃ সুস্বাস্থ্য বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ যেই ব্যাক্তি মানসিক এবং শারীরিক দুইভাবেই সুস্থ থাকে সকল কাজের মনোযোগ দিতে পারেন শারীরিক গড়ন ভালো থাকে তাহলেই তাকে সুস্বাস্থ্য বলে।

প্রশ্নঃ শারীরিক সক্ষমতা বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ শারীরিক সক্ষমতা বলতে বোঝায় সুস্থতা ও ভালো-থাকার একটি অবস্থাকে।

প্রশ্নঃ দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্যের লক্ষণ গুলি কি কি?
উত্তরঃ দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্যের লক্ষণ গুলি হলো
  • অতিরিক্ত রাগ
  • রাতে ঘুম না হওয়া
  • জ্বালা
  • হতাশা অনুভূত হওয়া
  • দুঃখ অনুভব করা 

সবশেষ বক্তব্য

প্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করুন।এরকম বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন আর্টিকেল বা ব্লক পোস্ট নিয়মিত পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পেপারস্পট২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url