ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ বিস্তারিত জানুন

খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময় কোনটিপ্রিয় পাঠক, ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ আপনি কি সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি এখন সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কারণ আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটিজুড়ে আমরা ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই জানার জন্য শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ
আজকের সম্পূর্ণ পাঠ থেকে আপনি অল্পতেই ঠান্ডা লাগার কারণ, বুকে ঠান্ডা লাগার লক্ষণ, সর্দি থেকে মুক্তির উপায় ঔষধ এবং এলার্জি সর্দি থেকে মুক্তির উপায় সহ আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ

ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ

ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ সেই সম্পর্কে জানার পূর্বে আমাদেরকে জানতে হবে কেনো আমাদের এতো ঘন ঘন সর্দি লাগে। কোন কারণই বা এখানে জড়িত রয়েছে। তবে এই পাঠের শুরুতেই আপনাদেরকে জানিয়ে দেই সর্দি হলো আমাদের শরীরের একটি অতি সাধারণ রোগ। আর এই রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের শরীরের রয়েছে। তাই বাড়তি করে আর ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন পরে না। তাহলে চলুন এখন আমরা জেনে নেই কেনো আমাদের ঘন ঘন সর্দি লাগে।

যদি আমরা সর্দি লাগার সকল লক্ষণ এবং কারণগুলো চিহ্নিত করতে পারি তাহলে সেই কারণ এবং লক্ষণ থেকে কিভাবে মুক্তি পেতে পারবো সেটাও বুঝতে পারবো। একেক মানুষজনের ক্ষেত্রে একেক কারণে ঘণ ঘণ সর্দি লাগতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেই কোন কোন লক্ষণের জন্য ঘন ঘন সর্দি লাগে।

ধুলোবালিঃ ঘন ঘন সর্দি লাগার যেই লক্ষোন রয়েছে তার মধ্যে প্রধান হলো নাকের মধ্যে ধুলোবালি প্রবেশ। আপনারা হয়তো খেয়াল করে থাকবেন যখন আমাদের নাকের মধ্যে ধুলো বালি প্রবেশ করে তখন থেকেই আমাদের হাঁচির শুরু হয়। আর এই হাঁচির থেকেই আস্তে আস্তে সর্দি লেগে যায়।

ফুলের রেনুঃ ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণগুলোর মধ্যে এটি সবথেকে প্রধান একটি। ধুলোর পাশাপাশি অনেক সময়ে দেখতে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরণের ঘসের রেনু। আর এই ঘাসের রেনু হতে মানুষের পক্ষে যেই সকল রেনু ক্ষতিকর সেগুলো যদি বাতাসের সাথে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে তাহলে আমাদের সর্দি লেগে যায়।

ঠান্ডা গরমেঃ আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে আমাদের সর্দি লেগে যায়। বিশেষ করে যখন আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে ঠান্ডা এবং একসাথে মিশ্রণ হয় সেই সময়টাতে আমাদের সর্দির সমস্যাটা একটু বেশিই থাকে। তার কারণ হলো এই সময়ে একই সময়ে খুব ঠান্ডা এবং একই সময়ে খুব গরম পরে। আর এর জন্যই মানুষের শরীর যদি এর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে না পারে তাহলে তার সর্দির সাথে সাথে জ্বর ও হয়ে যায়।

সুতার আঁশঃ কারখানায় যখন সুতো তৈরি করা হয় তখন এর ছোট ছোট আঁশ বাতাশের সাথে মিশে যায়। যার ফলে এটি আমাদের নাক এবং মুখ দিয়ে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। আর এর ফলেই আমাদের সর্দি লেগে যায়।

রান্নার মসলার উগ্র গন্ধঃ রান্না করার সময়ে যখন অতিরিক্ত মাত্রায় খারাপ গন্ধ বের হয় তখন সেই গন্ধের কারণেও আমাদের সর্দি লেগে যায়।

আমরা সকলেই ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এখন আপনি যদি এই সকল কারণগুলো ভালোভাবে বুঝে থাকেন তাহলে আপনাকে এর বিরুদ্ধে সকল প্রকারের প্রতিরোধ ব্যাবস্থা গরে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি বাড়ির বাহিরে যাওয়ার সময়ে অবশ্যই মাস্ক ব্যাবহার করবেন। তাহলে নাক মুখ দিয়ে ধুলোবালি আর প্রবেশ করতে পারবে না।

তার ফলে আপনার সর্দির সমস্যাও আর হবে না। তবে আপনি যদি সকল ধরণের আবহাওয়ার সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য শারীরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার উচিত হবে সকল ধরণের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। এর পাশাপাশি ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে হবে। এছাড়াও যেই সকল খাবার খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় সেই সকল খাবার খেতে হবে। তাহলেই আপনি সকল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হবেন।

এলার্জি সর্দি থেকে মুক্তির উপায়

আপনারা অনেকেই ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ সেই সম্পর্কে জানার পরেই জানতে চান যাদের এলার্জি জনিত সর্দির সমস্যা রয়েছে তাদের এলার্জি সর্দি থেকে মুক্তির উপায় কি। অনেকেরই এই এলার্জি জনিত ঠান্ডা লাগা বা সর্দি রয়েছে। আর যাদের এই সমস্যা রয়েছে তাদের এমন সর্দির সমস্যা সবসময় লেগেই থাকে। এই সমস্যা যদি অনেক খারাপের দিকে চলে যায় তাহলে আপনাকে ফিজিওথেরাপি পর্যন্ত নিতে হতে পারে।
এলার্জি সর্দি থেকে মুক্তির উপায়
আপনারা হয়ত শুনে থাকবেন প্যারালাইসিস এর জন্য ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয় প্রস্রাব ধরে রাখার জন্য ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়। কিন্তু এলার্জির জন্য ফিজিওথেরাপি আবার কি। হ্যা বন্ধুগণ এলার্জির ঠান্ডার জন্য ফিজিওথেরাপি রয়েছে। তবে আপনি কোন কোন নিয়ম অনুসরণ করে চললে এলার্জির সমস্যার ঠান্ডার থেকে ফিজিও থেরাপি হতে মুক্তি পাবেন সেই সম্পর্কে জানাবো। তো চলুন বন্ধুগ জেনে নেওয়া যাক।

এর জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। এই এলার্জির সর্দির ভাইরাস বৃষ্টির আগ মুহুর্তে অনেক বেশি ছড়ায়। তাই যাদের এলার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের অবশ্যই বৃষ্টির আগে বাড়ির বাহিরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

বিছানার চাদর, বালিশের কাভার, নিজের কাপ চোপড় সকল কিছু ভালো করে ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যেগুলোতে ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে।

ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ? যখন আপনার সর্দির সমস্যা দেখা দিবে তখন আপনি নাকে গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। এটা অনেকটাই আরামদায়ক হিসেবে কাজ করে। এর পাশাপাশি আপনি ম্যানথল নিতে পারেন। আবার আপনি চাইলে ন্যাজাল স্প্রে ও ব্যাবহার করতে পারেন। এই স্প্রে ব্যাবহারে আমাদের সর্দির সমস্যায় সাময়িকভাবে আরাম দেয়।

ঠান্ডার সমস্যা এড়াতে পার্সড লিপ ব্রেদিং অনেকটাই ভালো কাজ করে। অনেকেই এই ব্রেদিং এক্সারসাইজ করে এলার্জি জনিত ঠান্ডার অনেক আরাম পেয়েছেন। তবে আপনার সমস্যা যদি আরো বেশি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। তারপরে তিনি যদি আপনাকে বলেন ফিজিওথেরাপি নিতে, তাহলে তাই করুন।

অল্পতেই ঠান্ডা লাগার কারণ

অল্পতেই ঠান্ডা লাগার প্রবণতাটি প্রচুর মানুষের রয়েছে। তাই আজকে আমরা এই পাঠে আলোচনা করতে চলেছি অল্পতেই ঠান্ডা লাগার কারণগুলো সম্পর্কে। এই সম্পর্কে আমাদের জানা অনেকটাই জরুরি। কারণ আমরা এমন অনেকেই রয়েছেই যাদের কোন প্রকার বৃষ্টিতে না ভিজেই ঠান্ডা লেগে যায়। বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে আপনি ভিজেন নাই তাও অনেকের এমন অবস্থায় ঠান্ডা লেগে যায়। চলুন তাহলে এর কারণগুলো জেনে নেই।
অল্পতেই ঠান্ডা লাগার কারণ
ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ এর পূর্বে আমরা পাঠে ভালোভাবে জেনেছি। তবে অল্পতেই ঠান্ডা লাগার প্রধান কিছু কারণের মধ্যে একটি কারণ হলো বাতাসের সাথে মিশে থাকা ধুলোবালি এবং বিভিন্ন ঘাসফুলের রেণু আমাদের শরীরে প্রবেশ। হালকা বাতাশেই যাদের একটু ঠান্ডা লেগে যায় এই সকল মানুষেরা সবথেকে বেশি কষ্ট পান ভোরবেলাতে এবং সন্ধ্যাবেলাতে।

আর এই বেশি কষ্ট পাওয়ার কারণটা হচ্ছে সিজিওনাল পরিবর্তন হঠাৎ করেই হওয়া। আর এই হঠাৎ করেই পরিবর্তন হওয়াতে আমাদের প্রকৃতিতে কিছু গাছগাছলা আছে যেগুলোর রেনু আমাদের পৃথিবীতে অটোমেটিকভাবেই থাকে। আর আমরা যে নিশ্বাস প্রশ্বাস নেই এগুলো তার সাথে সাথেই আমাদের ভেতরে প্রবেশ করে। আর এগুলো শরীরের ভেতরে প্রবেশ করেই এলার্জেটিক যেই সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলোতে আঘাত করে।

আবার আমরা যেই বৃষ্টি দেখতে পাই এই বৃষ্টির কারণেও গাছের যেই রেণু রয়েছে সেগুলো গাছের নড়াচড়ার জন্য বাতাসের সাথে মিশে যায়। এর জন্যই আমরা বৃষ্টিতে না ভিজেও আমাদের সর্দির সমস্যা হয়ে যায়। ঠিক তেমনিভাবেও ভোরবেলাতেও প্রাকৃতিক রেণুগুলো বাতাসের সাথে মিশে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। আর প্রবেশ করেই এলার্জিক সমস্যার সৃষ্টি করে। আর এর ফলেই আমাদের সর্দির সমস্যা হয়।

সর্দি থেকে মুক্তির উপায় ঔষধ

ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ লক্ষণ জানার পরেই আমাদের যেটি জানার প্রয়োজন পরবে সেটি হলো সর্দি থেকে মুক্তির উপায় ঔষধ। আপনার যদি এমন সর্দির সমস্যা লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য কিছু ঘরোয়া চিকিৎসার পাশাপাশি কিছু ঔষধ ও সেবন করতে হবে। তবে কোন সকল ঔষধ সেবন সেই সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত জানবো। চলুন তাহলে জেনে নেই।

সর্দির সমস্যা হলে সাধারণত কোন ঔষধ ব্যাবহার করা ছাড়াই ৬ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়। তবে আপনি যদি দেখতে পান এটি আপনার অতিরিক্ত সমস্যা করছে তাহলে আপনি এর উপশমে কিছু ঔষধ ব্যাবহার করতে পারেন। সেগুলো হলো
  • প্যারাসিটামল
  • অ্যান্টিভাইরাল
  • কফ সিরাপ
  • অ্যান্টিহিস্টামিন
  • ন্যাসাল ডিকনজেসট্যান্ট বা নাক বন্ধের ড্রপ
উপরের উল্লিখিত এই সকল ঔষধ আপনার সর্দি হলে ব্যাবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে যেই সকল শিশুদের বয়স ৬ বছরের কম তাদের ক্ষেত্রে নাক বন্ধের ড্রপ ব্যাবহার করা যাবে না। এছাড়াও আপনি আরো বেশ কিছু সর্দির জন্য ঔষধ ব্যাবহার করতে পারেন। সেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
  • বেনাড্রিল (ডিফেনহাইড্রাইমাইন)
  • অ্যাটারাক্স
  • ভিস্টারিল (হাইড্রোক্সিজাইন)
  • ক্লারিনেক্স (ডেলোরাটাডিন)
  • ক্লোর-ট্রাইমেটন (ক্লোরফেনিরামিন)
  • Zyrtec (cetirizine)
  • Xyzal (লেভোসেটিরিজাইন)
  • অ্যালেগ্রা (ফেক্সোফেনাডাইন)
  • ক্লারিটিন
  • অ্যালাভার্ট (লোরাটাডিন)

সবসময় সর্দি লেগে থাকে কেন এর প্রতিকার কিভাবে করবো

সবসময়ে সর্দি লেগেই থাকে এমন অনেকেই আমাদের পাশে রয়েছেন। তাই আমাদেরকে ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ সেগুলো জেনে নেওয়ার পরেই সবসময় সর্দি লেগে থাকে কেন এর প্রতিকার কিভাবে করবেন সেই সম্পর্কে জানা উচিত। তাই চলুন বন্ধুগন আর বেশি দেরি না করেই এই বিষয়েও জেনে নেওয়া যাক।

ঠান্ডা সর্দি লাগা অনেক স্বাভাবিক একটি বিষয়। তবে যাদের ক্ষেত্রে বছরজুড়ে সর্দি লেগে থাকে তাদের ক্ষেত্রে আলাদা একটি বিষয়। এই সমস্যার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। একেকটা কারণের জন্য আমাদা আমাদা ধরণের প্রতিকার ব্যাবস্থা রয়েছে। সেই সকল কারণগুলো মধ্যে প্রথমেই রয়েছে এলার্জির সমস্যা। অনেকের এই এলার্জি জনিত সমস্যার কারণেও সর্দি লেগে থাকে।

এর জন্য আপনাকে জানতে হবে আপনার কোনকিছুতে এলার্জি সমস্যা রয়েছে কিনা। তার জন্য আপনাকে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতেও হতে পারে। অনেকের এই সর্দির সমস্যা যখন ঔষধ খায় তখন হয় না। আর যখন ঔষধ খান না তখন আবার হয়। তাই আপনাকে খাদ্যভ্যাসের ওপরে খেয়াল রাখতে হবে।

যতটা সম্ভব আপনাকে ধুলোবালির থেকে দূরে থাকতে হবে। এই সমস্যার যেহেতু খুব সহজেই সমাধান করা যায় না তাই আপনি সকল স্থানে মাস্ক পরিধান করে চলাফেরা করুন। আপনার এই সমস্যার কিছুটা হলেও আরাম হবে। আর অবশ্যই আপনাকে চেষ্টা করতে হবে শরীরে সবসময় কম শীত লাগানো। আশা করছি আপনারা এতক্ষণে সবসময় সর্দি লেগে থাকে কেন এর প্রতিকার কিভাবে করবো সেই সম্পর্কে বুঝতে পেরে গিয়েছেন।

ঘন ঘন সর্দি লাগার সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ ঘন ঘন সর্দি থেকে মুক্তির উপায়?
উত্তরঃ ঘন ঘন সর্দি থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে আপনি ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে পারেন। তার পাশাপাশি গরম জল এবং আদা চা খেতে পারেন।

প্রশ্নঃ ২৪ ঘন্টায় সর্দি দূর করার উপায়?
উত্তরঃ দুর্ভাগ্যবশত হলেও সত্য এখন পর্যন্ত সর্দির জন্য কোন নির্ধারিত প্রতিকার ব্যাবস্থা বের হয়নি। তবে আপনি এই সমস্যার সমাধান হিসেবে সব সময়ে সম্পূরক খাদ্য খেতে পারেন। তার পাশাপাশি শরীরের সঠিক যত্ন নিতে হবে।

প্রশ্নঃ সবসময় ঠান্ডা লেগে থাকার কারণ কি?
উত্তরঃ সবসময় ঠান্ডা লেগে থাকার কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে শরীরের রক্ত স্বল্পতার অভাবে এবং যদি আমাদের শরীরের অক্সিজেনের পরিমাণ কম হয় তাহলে আপনার এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

প্রশ্নঃ সর্দি বেশিদিন থাকে কেন?
উত্তরঃ সর্দি বেশিদিন থাকার কারণ হলো আপনার ইমিউন সিস্টেম সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রদাহ তৈরি করে।

প্রশ্নঃ এলার্জি থেকে কি কি সমস্যা হতে পারে?
উত্তরঃ এলার্জি হলে বেশ কিছু সমস্যার দেখা দিতে পারে। সেগুলো হলো
  • শরীরের চুলকানি
  • র‍্যাশ বা ফুসকুড়ি উঠা
  • চোখ থেকে পানি পরা
  • চোখ লাল হওয়া
  • নাকে ও গলায় চুলকানি
  • নাক বন্ধ হওয়া। ইত্যাদি
প্রশ্নঃ সর্দি জ্বরের সবচেয়ে ভালো ঔষধ কোনটি?
উত্তরঃ সর্দি জ্বরের সবচেয়ে ভালো ঔষধ হিসেবে বর্তমান সময়ে প্যারাসিটামল (Paracetamol) কেই বলা হয়।

প্রশ্নঃ অতিরিক্ত সর্দি হলে কি করবো?
উত্তরঃ আপনার যদি অতিরিক্ত সর্দি লেগে যায় তাহলে আপনি ঘরোয়া প্রতিকারগুলো ব্যাবহার করতে পারেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে পারেন। শরীরকে গরম রকাহার জন্য চেষ্টা করতে পারেন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে পারেন।

শেষ কথা

ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ এই বিষয় নিয়ে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এমন আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন ফ্রিতে পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পেপারস্পট২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url