মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া - মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে

ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিকআপনি কি আপনার শরীরের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত মিল্ক শেক খান? তাহলে অবশ্যই আপনার মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কিছু একান্তই ধারণা রাখা উচিত। অনেকের মনে এমন ধরনের প্রশ্ন এসে থাকে মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে? এই সকল বিষয় নিয়ে আজকে আমরা এর সম্পূর্ণ আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করব।
মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের সকলেরই প্রায় অজানা। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি জুড়ে যদি আপনি আমাদের সাথে থাকেন তাহলে অরিজিনাল মিল্ক শেক কিভাবে চিনবেন, মিল্ক শেক পাউডার এর উপকারিতাগুলো কি কি এই সকল বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা জানতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ

মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

আপনি যদি প্রতিদিন নিয়ম না মেনে অস্বাস্থ্যকর খাবার খান তাহলে সেটি নিঃসন্দেহে আপনার শরীরের ওপর বিরু প্রভাব ফেলবে। আমরা সকলেই এখন জানি যে মিল্ক শেক হলো একটি মজাদার খাবার বা নাস্তা। যেটি খেতে আমাদের সকলেরই স্বাচ্ছন্দ বোধ হয়। তবে গবেষণা অনুযায়ী নতুন এমন ধরনের প্রমাণ উঠে এসেছে যে মিল্ক শেক খাওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

নতুন সমীক্ষা অনুযায়ী অগাস্ট ইউনিভার্সিটির মেডিক্যাল কলেজ অফ জর্জিয়ার গবেষকদের গবেষণার মাধ্যমে এমন ধরনের তথ্য উঠে এসেছে যে শুধুমাত্র একটি উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার, যেমন মিল্ক শেক, এটি আমাদের শরীরের রক্তনালীর এবং লোহিত রক্ত কণিকার বিভিন্ন ধরনের লক্ষণীয় পরিবর্তনের ঘটাতে সক্ষম। এই গবেষণার জন্য তারা ১০ জন পুরুষ কে নিয়োগ করেন।

আরে গবেষণার ক্ষেত্রে তাদেরকে প্রায় প্রতিদিন ৮০ গ্রাম করে উচ্চ ভ্যাট যুক্ত খাবার এবং 1000 কিলো ক্যালরিযুক্ত চর্বিযুক্ত খাবার এবং আইসক্রিম খেতে বলেন। আর এই সকল খাবার তারা প্রতিদিন নিয়মিত খাবার ফলে গবেষকরা তাদের স্বাস্থ্য বিশ্লেষণ করে এই তথ্যটি জানতে পারেন যে তাদের শরীরের ভেতরে লোহিত রক্তকণিকার আকৃতির পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। এই গবেষণার জন্য ব্যবহৃত ১০ জন পুরুষ মানুষের রক্তনালীর পরীক্ষার ক্ষেত্রে তারা গভীরভাবে মনোযোগ দেন।

এই গবেষণার মাধ্যমে তারা জানতে পারেন সেই সকল ব্যক্তিদের রক্তনালীগুলো খুব সহজে প্রসারিত হতে পারছে না। এবং তার পাশাপাশি তাদের শরীরের রক্ত কণিকা পূর্ব অপেক্ষা প্রকৃতপক্ষে এখন অনেকটাই আকৃতি পরিবর্তন হয়ে যায়। তাদের এই সকল রক্ত কণিকার গুলো আকৃতি পূর্বের তুলনায় বর্তমান সময়ে আরো জটিল হয়ে পড়েছে।

মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এর অর্থ হলো এই খাবারটি অনেক উচ্চচর্বিযুক্ত খাবার। যেটি আপনার শরীরের ভেতরের রক্ত সংবহন তন্ত্র কে প্রভাবিত করতে পারে। আর এই জটিল সমস্যার কারণে আপনার শরীরে হৃদরোগ এবং অন্যান্য সকল ধরনের শারীরিক ঢুকে যেতে পারে। তাই এই সম্পর্কে বিভিন্ন গবেষকগণ বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে জানিয়েছেন মিল থেকে এই সকল প্রভাব গুলি ক্ষণস্থায়ী।

এবং এই সকল প্রভাব গুলি কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে। তবে যে সকল ব্যক্তিগণ প্রতিদিন নিয়মিত উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার যেমন মিল্ক শেক খাচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে এটি অনেক দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। আর এই প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কারণে এটি মানব দেহের দীর্ঘস্থায়ী রোগের সৃষ্টি করতে পারে এবং অসুস্থ শরীরের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।

উপরের উল্লেখিত এই সকল ঘটনাগুলো ছাড়াও মিলছেক আরো কিছু ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। আর সেগুলোই আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই মিল্কশেক খাওয়ার মাধ্যমে এটি আমাদের শরীরের নানান ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে যেন না পারে তাই পূর্বে থেকে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। মিল্ক শেক প্রতিদিন নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে এটি আরো যে সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে সেগুলো হল
  • শরীরে অ্যালার্জির সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে
  • শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেয়ে স্থূলতা হয়ে যেতে পারে
  • খাবার হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে
  • অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ এটি একটি খাবার
  • শরীরে ডায়াবেটিসের মাত্রা বৃদ্ধি হতে পারে

কোন উপায়ে মিল্ক শেক খেলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিবে না?

মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানার পরও যদি আপনি মিল্ক শেক এর লোক সামলাতে না পারেন তাহলে কোন উপায়ে মিল্ক শেক খেলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিবে না সেই সম্পর্কে আপনার অবশ্যই জেনে রাখা উচিত। যদি আপনি এই সম্পর্কে জেনে না থাকেন তাহলে অবশ্যই এখান থেকে জেনে নিন।

আপনি যদি মিল্ক শেক খেতেই চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে মিথ্যে খাওয়ার সময় নির্বাচন করতে হবে যেই মিল্ক শেকে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ কম রয়েছে এমন ধরনের মিল্ক শেক নির্বাচন করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে স্কিম দুধের তৈরি মিল্ক শেক আপনি গ্রহণ করতে পারেন। এই মিল থেকে চর্বিযুক্ত দুধের পরিমাণ মাত্র 2%। যার ফলে অন্য সকল মিল্ক শেকের তুলনায় এই মিল্ক শেকের ভেতরে চর্বি অনেকটাই কম থাকে।

এছাড়াও আপনি যদি কুকিজের মতোন অপ্রয়োজনীয় উপাদান চকলেট সিরাপের মত অপ্রয়োজনীয় সকল উপাদান দিয়ে তৈরি এই ধরণের মিল্ক শেক এড়িয়ে চলেন তাহলে সেই সাথে সাথে আপনার শরীরের চর্বি কমাতে পারবেন খুব সহজেই। আর এই সকল মিল্ক শেকের পরিবর্তে আপনি নির্বাচন করুন প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা তৈরি পুষ্টিকর কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন মিল্ক শেক।

মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো এড়িয়ে চলে কখনো কখনো আপনি অনেক সুস্বাদু ধরনের খাবার হিসেবে মাঝেমধ্যে এই মিল্ক শেক খেতে পারেন। তবে যেই মিল্ক শেকটি আপনি খাবেন সেটি কোন সকল উপাদান দিয়ে তৈরি এবং এতে ফ্যাটের পরিমাণ কত পারসেন্ট রয়েছে সেটি অবশ্যই আপনাকে সচেতন হয়ে তারপরে ক্রয় করতে হবে। আর এভাবেই খেলে আপনি মিল্ক শেকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন-উত্তরঃ-

মিল্কশেক কি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর?
মিল্কশেক আমাদের ত্বকের জন্য তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও এটি আমাদের ত্বকের ব্রণের সৃষ্টি করতে পারে।

কোন মিল্কশেক খাওয়া ভালো?
পিনাট বাটার ব্যানানা মিল্কশেক অনেক ভালো। এটি একটি সুস্বাদু শেক রেসিপি যেমন দুধ, কলা, পিনাট, খেজুর, চিনাবাদাম, মধু এই সকল উপাদান দ্বার তৈরি। তাই এটি অনেক সুস্বাদু এবং মুখরোচক খাবার।

প্রতিদিন মিল্কশেক খেলে কি হয়?
প্রতিদিন নিয়মিত মিল্ক শেক খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি রক্তে কোলেস্টরলের পরিমাণ অনেকটাই বৃদ্ধি পেতে পারে। এর তার পাশাপাশি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ও বৃদ্ধি পেতে পারে।

মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে?

মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যতগুলো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া। আপনাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন যাদের শরীরের ওজন অনেকটাই কম, তারা তাদের শরীরের ওজন খুব দ্রুত বৃদ্ধি করার জন্য এই মিল্ক শেক খেতে পারেন। এছাড়াও যারা রোগা প্রকৃতির রয়েছেন তাদের মধ্যে সকলের কাছে যে কমন একটি প্রশ্ন পাওয়া যায় সেটি হল মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে?
মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
আপনি যদি শরীরের ওজন বৃদ্ধি করার জন্য সকল প্রকার চেষ্টা করার পরেও ব্যর্থ হন তাহলে আপনি শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য এই উচ্চ ক্যালরিযুক্ত মিল্কশেদ খেতে পারেন। এছাড়া আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করার জন্য অন্য কোন বিকল্প উপায় নেই। এটা খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি রয়েছে এর ওজন বৃদ্ধি করার পুষ্টি সমৃদ্ধ গুনাগুন।

মিল্ক শেক তৈরি করা হয় প্রধানত বাদাম, দুধ এবং বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় ফলমূলের সাহায্যে। এই মিল্ক শেক যদি আপনি খান তাহলে এটি আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় পরিমাণ ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং প্রোটিনের যোগান দেবে। যার ফলে আপনার শরীরের বেশি বৃদ্ধির পাশাপাশি ওজন অনেক বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

তবে এখানে অন্য একটি লক্ষণীয় বিষয় রয়েছে সেটি হল আপনি প্রতিদিন যদি ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে প্রতিদিন আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যালরিযুক্ত মিল্ক শেক খেতে হবে। আর এই ক্যালোরি আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করার জন্যই অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। যদি আপনি প্রতিদিন নিয়মিত পরিমান মিল্ক শেক খান তাহলে এটি আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করার জন্য অনেক ভালো কাজ করবে।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন-উত্তরঃ-

মিল্কশেকে কি প্রচুর প্রোটিন থাকে?
একটি মাঝারি আকৃতির মিল্কশেকে প্রতি ১৬ ফ্লুইড আউন্স চকোলেট শেকের ভেতরে প্রায় ১৩ গ্রাম প্রোটিন থাকে। তবে বিভিন্ন ধরণের মিল্ক শেকের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিমাণের প্রটিন পাওয়া যায়।

বাদাম শেক খেলে কি ক্ষতি হয়?
হ্যা, বাদাম মিল্ক শেকের ভেতরে অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালরি থাকে। যার ফলে আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। আর আপনার যদি বাদামে এলার্জির সমস্যা থেকে তাহলে এটি আপনার শরীরের এলার্জির সমস্যার কারণ ও হতে পারে।

মিল্ক শেক খেলে কি মোটা হওয়া যায়?
উচ্চ ক্যালরিযুক্ত মিল্ক শেক যদি আপনি খান তাহলে অবশ্যই এটি আপনাকে মোটা হওয়ার জন্য সাহায্য করবে। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে একেবারে বেশি পরিমাণে না খেয়ে পরিমাণ মতো প্রতিদিন খাওয়া উচিত।

অরিজিনাল মিল্ক শেক চিনবেন কিভাবে

মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে বাচার জন্য অবশ্যই আপনাকে অরিজিনাল মিল্ক শেক চিনে ক্রয় করতে হবে। তবে আপনি কিভাবে চিনবেন এটিই অরিজিনাল মিল্ক শেক সেই বিষয়ে এখন আমরা জানতে পারব। কারণ বাজারে আসল পণ্যের পাশাপাশি অনেক একই ধরণের দেখতে নকল পণ্য চলে এসেছেন। তাই আপনাকে যাচাই বাছাই করে অরিজিনাল পণ্য ক্রয় করতে হবে। চলুন তাহলে এখন আমরা জেনে নেই অরিজিনাল মিল্ক শেক চিনবেন কিভাবে।
অরিজিনাল মিল্ক শেক চিনবেন কিভাবে

মিল্ক শেক এর প্যাকেজিং

আপনি যখনই কোথাও থেকে যেকোন ধরণের পণ্যই কিনেন না কেনো সেই পণ্যটি ক্রয় করার সময় আপনাকে এর প্যাকেজিং এর দিকে নজর দিতে হবে। তারপরে সেখানে লিখিত সকল পণ্যের গুণাগুণগুলো ভালোভাবে পড়ে নিতে। তার পাশাপাশি এর লোগো এবং পণ্যটির মেয়াদের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

মিল্ক শেকের গায়ের রং

যেকোন দোকান থেকে আপনি যখন মিল্ক শেক নিবেন তখন আপনাকে অবশ্যই সেই বোতলের গায়ের রঙের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এর প্রধান কারণ হলো আসল বোতলের গায়ের রং নকল পণ্যের থেকে অনেকটাই আলাদা ধরণের হবে। আর এই পণ্যটির রং সম্পর্কে জানার জন্য সেই কম্পানির থেকে যোগাযোগ করে পণ্যের গায়ের রং চিনে নিবেন।

মিল্ক শেকের গন্ধ

আপনি যখন মিল্ক শেক ক্রয় করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে এর গন্ধ পরখ করে দেখতে হবে। আর এর প্রধান কারণটি হলো একটি ভালো মানের মিল্ক শেকের কখনই তীব্র গন্ধ হবে না। অথবা খারাপ স্বাদযুক্ত হবে না। তাই যখন আপনি মিল্ক শেক ক্রয় করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে এই বিষয়টি নজরে নেওয়া উচিত।

মিল্ক শেকের দাম

একটি ভালো মানের অরিজিনাল মিল্ক শেকের দাম নকল মিল্ক শেকের তুলনায় অনেকটাই বেশি হবে। তার কারণ হলো একটি অরিজিনাল পণ্য তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রায় অনেকটাই বেশি খরচ হয়ে থাকে। আর তার ফলে সেই পণ্যটির দাম ও অন্য নকল পন্যের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। এই বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই একটু বেশিই সজাগ থাকতে হবে।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন-উত্তরঃ-

মিল্ক শেক কখন খেলে ওজন বাড়ে?
মিল্ক শেক খেয়ে যদি আপনি ওজন বাড়াতে চান তাহলে এটি আপনি সকালে হালকা নাস্তার সাথে এবং রাতে ঘুমানো পূর্বে খেতে পারেন। তবে এটি খাওয়ার পরে সাথে সাথেই ঘুমালে হবে না। বরং কিছুক্ষণ হাটাহাটি করে নিয়ে তারপরে আপনাকে ঘুমাতে হবে।

মিল্কশেক এর দাম কত?
মিল্কশেক বিভিন্ন দামের রয়েছে। এটি অনলাইন শপে থেকে সর্বনিম্ন আপনি ৮০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। তবে সাধারণত বেশিরভাগ মিল্কশেক ১০০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। আর যদি আপনি উন্নত মানের মিল্কশেক খেতে চান তাহলে আপনি ২৫০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে ক্রয় করতে পারবেন।

মিল্কশেক এর কাজ কি?
আপনি কলা, বেরি বা আমের মতো ফল যোগ করে পুষ্টির মান বৃদ্ধি করতে পারেন। যা প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং ডায়েটারি ফাইবার সরবরাহ করবে। মিল্ক শেকগুলি কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং চর্বিগুলির সংমিশ্রণের কারণে শক্তির একটি দুর্দান্ত উৎস।

মিল্ক শেক পাউডার এর উপকারিতা

আমরা সকলেই প্রায় জানি যে মিল্কশেক অনেকটাই পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার। এই খাবার যদি আপনি নিয়মিত প্রতিদিন খান তাহলে এটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। বিশেষ করে আপনি যদি আপনার শরীরের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে এটি হবে আপনার জন্য একটি আদর্শ খাবার। এমন অনেকেই রয়েছেন যারা তাদের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরণের অস্বাস্থ্যকর ঔষধ সেবন করে থাকে। যেটা মোটেও তার শরীরের জন্য ভালো নয়।

বরং আপনি যদি সঠিক নিয়মে মিল্ক শেক খেতে পারেন তাহলে কোন প্রকার মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন। তাহলে চলুন এই পর্যায়ে আমরা জেনে নেই মিল্ক শেক পাউডার এর উপকারিতাগুলো সম্পর্কে।

শরীরের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে

মিল্কশেকে প্রচুর পরিমাণে প্রটিন থাকে। এছাড়াও ক্যালসিয়াম এবং বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন রয়েছে। তাই আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত মিল্ক শেক খান তাহলে এটি আপনার শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়ামের যোগান দিবে। এবং তার পাশাপাশি এটি আপনার শরীরের বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতিও পূরণ করবে।

হাড় গঠনে সহায়তা করে

মিল্কশেকে থাকা বিদ্যমান উপাদান হাড়ের গঠনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই যেসকল ছেলে মেয়েরা উঠতি বয়সের মধ্যে রয়েছে তাদেরকে সকলকেই নিয়মিত মিল্কশেক খাওয়ানো উচিত। এতে করে সুস্থভাবে তাদের শরীরের হার গঠনে অনেক ভাল ভূমিকা পালন করবে। আমাদের শরীরের হাড় এবং দাঁতের গঠনে মিল্ক শেক একটি আদর্শ খাবার হিসেবে বিবেচিত।

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

মিল্ক শেক এর উপকারিতাগুলোর অন্যতম একটি হলো এটি আমাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। মিল্কশেকে অনেক বেশি পরিমাণে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যেটি আমাদের মস্তিষ্ককে ফ্রি রেডিক্যাল এর ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে অনেক বেশি রক্ষা করে।

হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে

আমাদের হার্টের জন্য সবথেকে উপকারি হলো স্ট্রবেরি, দুধ, কমলা ইত্যাদি এই সকল জাতীয় খাবার। তার কারণ হলো এটিতে একত্রে অনেক পরিমাণ ফ্যাট যুক্ত রয়েছে। আর এই সকল উপকারের জন্য আপনি ফ্রুট মিল্ক শেক খেতে পারেন।

শরীরে শক্তির যোগান দেয়

মিল্কশেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। যার ফলে এটি আমাদের শরীরে শক্তির পর্যাপ্ত যোগন দিয়ে থাকে। তার আপনি যদি আপনার শারীরিক শক্তিকে বৃদ্ধি করতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি নিয়মিত মিল্কশেক খেতে পারেন। আশা করা যায় এতে করে আপনি অনেকটাই ভালো ফলাফল পাবেন।

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

আমরা সকলেই জানি যে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি। তাই আপনি যদি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে মিল্কশেকের সাথে ভিটামিন সি জাতীয় সকল ধরণের ফল যোগ করতে হবে। আর এই জন্য আপনি চাইলে ফ্রুট মিল্ক শেক খেতে পারেন। এতে করে আপনার স্বাস্থ্য অনেকটাই ভাল থাকবে।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন-উত্তরঃ-

প্রতিদিন কলা মিল্কশেক খেলে কি হয়?
যদি আপনি প্রতিদিন নিয়োমিত পরিমাণ কলা মিল্কশেক খান তাহলে আপনি দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগতে পারেন। কারণ কলাতে ট্যানিক অ্যাসিড রয়েছে। আর এই রাসায়নিক পদার্থটি অল্প মাত্রায় শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয়। তাই আপনি এটি পরিমাণ মতো খাওয়ার চেষ্টা করুন।

চকলেট শেক খাওয়া কি ভালো?
হ্যা। চকলেট শেকে রয়েছে ভীতিকর রাসায়নিক পদার্থ। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য সাহায্য করে। চকোলেট মিল্কশেক ক্যালোরি, চর্বি, প্রোটিন এবং পুষ্টি গ্রহণের একটি চমৎকার উপায়।

সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর মিল্কশেক কোনটি?
সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর মিল্কশেক হলো কম চর্বিযুক্ত দুধ বা দুধবিহীন অথবা দুধের বিকল্প হিসেবে বাদাম দুধ বা সয়া দুধ ব্যবহার করে মিল্কশেক ব্যাবহার করে খেতে পারেন। আর এটিই হবে আপনার জন্য অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর মিল্কশেক।

লেখকের মন্তব্যঃ আসলেই মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে?

আপনি যদি একজন ডায়বেটিস আক্রান্ত ব্যাক্তি হয়ে থাকেন তাহলে মিল্কশেক খাওয়ার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই এর চিনির বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে হবে। মিল্ক শেক এর যেই সকল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো রয়েছে তার মধ্যে এতে চিনির ব্যাবহার অনেকটাই বেশি করা হয় জন্য এতে ডায়বেটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও মিল্ক শেকে অতিরিক্ত পরিমাণে চিনির ব্যবহারের কারণে এটি আপনার শরীরের ওজন অনেকটি বৃদ্ধি করতে পারে।

মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলোর মধ্যে আরো যেটি সমস্যা দেখা দেয় তাহলো এতে বিভিন্ন আইসক্রিম বা দুগ্ধজাতীয় উপাদান ব্যাবহারে কারণে এতে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। যা আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং তার পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে মিল্ক শেক এর সকল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পেপারস্পট২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url