কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে

কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠেপ্রিয় পাঠক, কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে আপনি জানেন কি? যদি এই বিষয়ে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটিতে আমরা কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে সেই সম্পর্কেই বিস্তারিত আলোচনা করবো।
কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে
অনেকেই এমন মনে করেন যে হাত পা জ্বালা পোড়া শুধুমাত্র একটি রোগ। কিন্তু এমনটি মোটেও না। শরীরে ভিটামিনের অভাবেও হাত পা জ্বালা পোড়া করে। কিন্তু কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া এই সম্পর্কেই আপনারা জানতে পারবেন আজকে।

পেজ সূচিপত্রঃ

কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে

আপনারা জারা আছেন হাত পা জ্বালা পোড়া করাকে শুধু সাধারণ একটি রোগ মনে কর থাকেন, তাদেরকে জানিয়ে রাখি হাত-পা জ্বালাপোড়া করা শুধুমাত্র একটি রোগ নয়। আমাদের শরীরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিনের অভাব হয় তাহলে হাত পা জ্বালা পোড়া করতে পারে।

কোন কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালাপোড়া করে আপনি যদি এই সম্পর্কে জানেন তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারবেন। তো চলুন বন্ধুগণ এই একন আমরা জেনে নেই কোন ভিটামিনের অভাব আমাদের শরীরে দেখা দিলে হাত পা জ্বালা পোড়া করে।

ভিটামিন-বি ৬ঃ এই ভিটামিনের উপাদানটি নিয়াসিন নামে ও অনেকের কাছে পরিচিত। আপনার শরীরে যদি এই ভিটামিনের অভাব হয় তাহলে পেলেগ্রা নামক একধরণের রোগ এর সৃষ্টি হয়। যেটা আমাদের হাতে এবং পায়ের জ্বালা পোড়া সৃষ্টি করে।

ভিটামিন-বি ১২ঃ এই ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে। কারণ এই ভিটামিনের অভাবে পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথিক নামের একটি উপাদানের সৃষ্টি হয়। আর এই কারণেই হাত পা জ্বালা পোড়া করা শুরু করে। আবার যদি এই ভিটামিনের অভাবে শরীরে অনে বেশি পরিমাণে হয় তাহলে শারীরিক দূর্বলতার ও সৃষ্টি হতে পারে।

ভিটামিন-ডিঃ আপনারা হয়ত জেনে থকবেন শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য ভিটামিন-ডি উপাদানটি অনেক বেশি প্রয়োজন। যদি আপনার শরীরে অত্যাধিক পরিমাণে ভিটামিন-ডি এর অভাব হয় তাহলে আপনার শরীরে অস্টিওম্যালাসিয়া নামের একধরণের রোগ হতে পারে। যার ফলশ্রুতিতে হাড় দূর্বল এবং পেশি অনেকটাই দূর্বল হয়ে পড়ে।

হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায়

আপনারা হয়তো খেয়াল করে থাকবেন যে গরমের সময়টাতে আমাদের হাত-পা প্রচুর পরিমাণে জ্বালাপোড়া করে। তবে এই জ্বালাপোড়ার সমস্যা যতক্ষণ না পর্যন্ত সমাধান হয় ততক্ষণ এটি সহ্য করা অনেক কষ্টদায়ক হয়ে যায়। যার ফলে আমাদের ঘুমসহ আরও নানা ধরনের বাধা-বিপত্তির সৃষ্টি হয়। তবে এই হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন উপায়গুলোর সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক এই সম্পর্কে।

শরীরে ভিটামিনের অভাব পূরণ করুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে এই সম্পর্কে উপরের পাঠে জানতে পেরেছি। তাই সেখান থেকে জেনে কোন কোন ভিটামিনের অভাবে এমন জ্বালাপোড়া করে সেই সকল ভিটামিনের অভাব পূরণ করার চেষ্টা করুন।

বেশি পরিমাণে পানি পান করুনঃ আমাদের শরীরে যদি অত্যাধিক পরিমাণে পানির স্বল্পতা দেখা দেয় তাহলে তার জন্য হাত পা জ্বালাপোড়া করে। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে বেশি পরিমাণে পানি পান করার চেষ্টা করুন। এতে করে শরীরের পানি স্বল্পতা পূরণ হবে যার ফলে হাত পা জ্বালা পোড়া কমে যাবে। আর এই জন্য আপনি মিনারেল জাতীয় পানিয় বেশি পরিমাণে খেতে পারেন।

নিয়মিত টক ফল খাওয়ার চেষ্টা করুনঃ প্রতিদিন অল্প পরিমাণে হলেও কিছুটা টক ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। আর যদি পারেন তাহলে টক ফল পানিতে ভিজিয়ে রেখে প্রতি এক ঘণ্টা পর পর খাবার অভ্যাস গড়তে পারেন। এর জন্য প্রথমে শরীরকে এসিডমুক্ত করে নিতে হবে।

তবে আপনি যাদি চান তাহলে এটি খাওয়ার পূর্বে কিছুটা হাল্কা খাবার ও খেয়ে নিতে পারেন। এছাড়াও আপনি যদি প্রতিদিন বেশি না খেয়ে ৫০ গ্রাম পর্যন্ত আঙুর খেতে পারেন তাহলেও সেটি আপনার হাত পায়ের জ্বালা পোড়া কমানোর জন্য সাহায্য করবে।

রাতে ঘুমানোর পূর্বে গোসলঃ হাত পা জ্বালা পোড়া করা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে গোসল করে নিতে পারেন। এতে করে আপনার মন মেজার ফুরফুরা থাকার পাশাপাশি শরীর ও অনেকটাই ঠান্ডা থাকবে। তবে এই সময়ে আপনাকে অবশ্যই দুটি বিষয় মনে রাখতে হবে।
  • পানি যেনো কিছুতেই গরম না হয়।
  • অনেক বেশি সময়ে ধরে গোসল না করে স্বপ্ল সময়ে গোসল শেষ করতে হবে।
ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখুনঃ আপনারা যারা ডাউবেটিস রোগে ভুগছেন তারা রক্তে শর্করার পরিমাণ অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। আপনার যদি বেশি পরিমাণে ডায়বেটিস থেকে থাকে তাহলে শরীরের সুগার লাভেল বেড়ে যাওয়ার ফলে হাত পা জ্বালা পোড়া করতে পারে।

নিয়মিত ময়শ্চারাইজার ব্যাবহার করুণঃ আপনার ত্বক যদি অত্যাধিক পরিমাণে জ্বালাপোড়া করে তাহলে আপনি ওয়েল বেইজ লোশন যেগুলো রয়েছে সেগুলো ব্যাবহার করতে পারেন। এটি ব্যাবহারের ফলে আপনার ত্বক অনেক সফট হবে। আপনি যেকোন ফার্মেসি থেকে এসব ঔষধগুলো সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।

মেহেদি ও তেলাকুজ পাতা ব্যাবহার করুনঃ আপনার হাতের নাগালে যদি টাটকা মেয়েদি পাতা থাকে তাহলে এটির রস প্রতিদিন হাতে এবং পায়ে লাগান। তাহলে এটি জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য অনেক বেশি সাহায্য করবে। এছাড়াও যদি সম্ভব হয় তাহলে তেলাকুচা পাতা প্রথমে পানিতে চিবিয়ে রস বের করে নিয়ে তারপরে সেটাতে আপনার পা এবং হাত ভিজিয়ে রাখুন। তাহলেও হাতের এবং পায়ে জ্বালা কমানোর জন্য অনেক বেশি সাহায্য করবে এটি।

হাত পা জ্বালা পোড়ার কারণ ও প্রতিকার

আপনার যদি হাত পা অত্যাধিক জ্বালাপোড়া করে থাকে তাহলে এর কিছু কারণ রয়েছে। তার পাশাপাশি সেই কারণগুলোর প্রতিকার ও রয়েছে। আপনাকে এই সম্পর্কে অবশ্যই জানা উচিত। তাই আমরা নিম্নে প্রথমে হাত পা জ্বালা পোড়ার কারণ নিয়ে আলোচনা করবো। আর তারপরেই হাত পা জ্বালা পোড়ার প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করবো। তাহলে চলুন আর বেশি দেরি না করে বিস্তারিত আলোচনায় প্রবেশ করা যাক।

হাত পা জ্বালা পোড়ার কারণগুলো হলোঃ
  • হাত পা জ্বালা পোড়া করার প্রধান কারণ হলো হরমোন জনিত কারণ
  • হাতে পায়ে রক্ত চলাচল করতে সমস্যা হলে হাত পা জ্বালা পোড়া করে
  • শরীরে ডায়বেটিসের সমস্যা থাকলে
  • অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার ফলে হাত পা গরম হয়ে গেলে
  • শরীরে পানি শুন্যতার অভাব দেখা দিলে
  • মানসিক চাপের কারণে হাত পা অনেক বেশি গরম হয়ে গেলে

হাত পা জ্বালা পোড়ার প্রতিকার

এতক্ষণ তো আমরা সকলেই হাত পা কেনো জ্বালা পোড়া করে তার কারণ সম্পর্কে জানলাম। এই পর্যায়ে আমরা সকলেই জানবো হাত পা জ্বালা পোড়ার প্রতিকার সম্পর্কে। তাহলে চলুন বন্ধুগণ এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি অথবা পানিয় জাতীর তরল পান করতে হবে প্রতিদিন।
  • যদি সম্ভব হয় তাহলে রাতে ঘুমানোর পূর্বে গোসল করে ঘুমানো। তবে খেয়াল রাখতে হবে গোসলের পানি যেন গরম না হয়ে ঠান্ডা হয়।
  • নিয়মিত ময়শ্চারাইজার এর ব্যাবহার করুন।
  • টক জাতীয় খাবার প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।
  • ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।

হাত পা জলার ঔষধ কি

হাত পা জ্বলার ঔষধ খাওয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার হাত পা জ্বালা পোড়ার সমস্যার সমাধান করে নিতে পারবেন। তাহলে এখন প্রশ্ন হলো আপনি কোন কোন ঔষধ খাবেন। আর কোথায় পাবেন এই ঔষধগুলো। আপনি যদি এই সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে চলুন এখন আমরা এই সম্পর্কে জেনে নেই।

হাত পা জ্বালা পোড়া কমানোর জন্য আপনি হামদর্দ এর Alkuli সিরাপ টি খাবেন আর তার সাথে ক্যালসিয়ামের ঔষধগুলো খাবেন। তবে এই ঔষধ খাওয়ার সময় অবশ্যই মনে রাখবেন বেশি বেশি করে পানি খেতে হবে। এই ঔষধ খাওয়ার জন্য প্রথমে একটি গ্লাসে ৩ চা চামচ পরিমাণ Alkuli সিরাপ নিন।

তারপরে সেই সিরাপ পানির সাথে ভালোভাবে মিক্স করিয়ে নিন। আর এভাবে প্রতিদিন দুইবেলা খাওয়ার চেষ্টা করুন। এভাবে ১ থেকে ২ মাস পর্যন্ত সেবন করুন। এর সাথে সাথে যদি সম্ভব হয় তাহলে Coralcal-D 500 প্রতিদিন দুইবেলা করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে আশা করছি আপনার হাত পা জ্বালা পোড়া করা থেকে খুব সহজেই পরিত্রাণ পেতে পারবেন।

হাত পা জ্বালা পোড়ার ঘরোয়া চিকিৎসা

আমাদের সকলের কাছেই হাত পা জ্বলা ভরা একটি অতি পরিচিত সমস্যা। এই সমস্যাটা অনেকের কাছে অতি সামান্য বলে মনে হলেও যাদের সমস্যাটি হয় তারা জানে এই সমস্যাটি কতটা কষ্টদায়ক। কি সমস্যার কারণে রাতে ঘুম তো হয় না তার সাথে সাথে অস্বস্তি বোধও হতে থাকে। এই রোগ কে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় বার্নিং ফিট সিনড্রোম। এই সমস্যাটি বেশিরভাগ সময় রাতের বেলা হয়ে থাকে।

অনেক সময় এই সমস্যা পায়ের পেছনের গোড়ালি যে রয়েছে সেই জায়গাতে অনেক বেশি পরিমাণে জ্বালাপোড়া করতে দেখা যায়। সব থেকে বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে যে সকল ব্যক্তির ডায়াবেটিস সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যার যদি আপনি অনেক দ্রুত প্রতিকার না করেন তাহলে এটি ভবিষ্যতে আরো অনেক বড় আকার ধারণ করতে পারে। তবে এই সমস্যার জন্য আপনি কিছু ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করতে পারেন। সেগুলো নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

অ্যাপল সাইডার ভিনিগারঃ হাত-পা জ্বালাপোড়া করার সমস্যার সমাধানের প্রথম যেই ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে সমাধানের কথা বলা যায় সেটি হল অ্যাপল সাইডার ভিনিগার। এটি পায়ের তালু জ্বালাপোড়া করার জন্য সবথেকে বেশি উপকারী ক্ষতিকর। জ্বালাপোড়া করার সমস্যার সমাধানের জন্য এই অ্যাপল সাইডার ভিনিগার অনেক পুরাতন একটি পত্রিকার ব্যবস্থা। এছাড়াও আপনার পায়ে যদি বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হয়ে থাকে সে থেকে মুক্তি পেতে পারেন এ প্রতিকার ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে।

হলুদের ব্যাবহারঃ উপকারী এই হলুদ মসলা প্রায় আমাদের সকলের বাড়িতে রয়েছে। এই মসলাটি আমরা সাধারণত রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকে। আপনার পায়ের তালু জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য নারকোলের তেলের সাথে হলুদ মিশিয়ে নিয়ে সেটি লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতে করে আপনার পায়ের ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া দুটোই একসাথে উপশম করবে।

ঠান্ডা পানিঃ অনেক সময় যখন দেখবেন আপনার পায়ের পাতা বেশি পরিমাণে জ্বালাপোড়া করছে সেই সময় ঠান্ডা পানি ব্যবহার অনেক বেশি উপকারী হতে পারে। এটি ব্যবহারের জন্য প্রথমে একটি পরিষ্কার কাপড় এবং তার সাথে ঠান্ডা পানি ভিজিয়ে রাখুন। ঠান্ডা পানিতে সেই ভেজানো কাপড় আপনার পায়ে রাতে যদি ব্যবহার করেন তাহলে বেশ খানিকটা উপকার পাবেন।

এর প্রধান কারণ হলো এই সমস্যাটি রাতে অনেক বেশি পরিমাণে দেখা দেয়। আবার আপনি যদি পারেন তাহলে ঠান্ডা পানিতে ঈপসম মিশিয়ে নিয়ে তাদের পা ভিজিয়ে রাখার ফলো আপনি আরো অনেক বেশি পরিমাণে উপকার পেতে পারেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যে কোন ক্রিম ব্যবহার করার থেকে এড়িয়ে চলুন।

মাছের তেলঃ আমরা সকলেই জানি যে মাছের তেল আমাদের সুস্থ রাখার জন্য বিভিন্নভাবে উপকার করে থাকে। এটি যদি আপনি নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে এটি আপনার শরীরের বাতের ব্যথা, হাত পায়ের তালু জ্বালাপোড়া করা সহ বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করবে। একটি গবেষণার মাধ্যমে এই তথ্যটি উঠে এসেছে, আপনি যদি নিয়মিত মাছের তেল নিজের হাতের এবং পায়ের তালুতে ব্যবহার করেন তাহলে তা জ্বালা পড়ে থেকে আপনাকে মুক্ত করতে সহায়তা করবে।

ম্যাসাজঃ আপনারা হয়তো সকলেই জেনে থাকবেন যে মেসেজ করার মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন বাধ্যবাধকতা দূর করা সম্ভব হয়। যদি নিয়মিত পরিমাণে শরীরে মেসেজ করা হয় তাহলে শরীরের রক্ত প্রবাহ ঠিক থাকে। আপনার পায়ের তালু যদি জ্বালাপোড়া করার সমস্যা হবে আপনি তাহলে অবশ্যই মেসেজ করুন নিয়মিত। এতে করে খুব সহজে আপনি এই সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন।

হাত সব সময় গরম থাকে কেন

আপনার হাতের তালু কি সবসময় গরম থাকে? আপনি কি জানেন এই আপনার হাতের তালু সব সময় গরম থাকার কারণ কি? যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই পর্বটি আপনি অনেক মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করছি আপনার হাতের তালু যদি গরম থাকে এর কারণ কি সেই সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন এখন বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক।

হাত সব সময় গরম থাকার কারণগুলো হলোঃ
  • হরমোন জনিত কারণ
  • স্নায়ুজনিত কারণ
  • যদি আপনার হাতের তালুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত সঞ্চালন করবে সমস্যা হয় তাহলে হাত সবসময় গরম থাকতে পারে
  • ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণ
  • শরীরের জ্বালাপোড়া করা
  • অতিরিক্ত পরিমাণে দুশ্চিন্তা
  • মানসিক অবসাদ
  • ডায়াবেটিসের সমস্যা
উপরের উল্লেখিত এই সকল সমস্যাগুলো যদি আপনার মধ্যে থেকে থাকে তাহলে আপনার হাত-পা সব সময় গরম থাকতে পারেন। যদি এমত অবস্থায় আপনার হাত-পা সব সময় গরম অবস্থায় থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। আর তার পাশাপাশি তিনি যে সকল ঔষধ আপনাকে সেবন করতে বলেন সেগুলো সেবন করুন। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই আপনি এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবেন।

কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে সেই সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ ভিটামিন বি এর অভাবে কি পা জ্বালাপোড়া করে?
উত্তরঃ হ্যা। শরীরে যদি ভিটামিন বি এর ঘাটতি হয়ে থাকে তাহলে পা জ্বালাপোড়া করতে পারে।

প্রশ্নঃ পায়ের তলা জ্বলার কারণ?
উত্তরঃ আপনার শরীরে যদি স্নায়ু ক্ষতি হয়ে থাকে তাহলে পায়ের তলা জ্বলার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রশ্নঃ পা জ্বালাপোড়া করার জন্য কোন ক্রিম ভালো?
উত্তরঃ ম্যাগনিলাইফ ফুট ক্রিমটি পা জ্বালাপোড়া করার সমস্যার সমাধানের জন্য অনেক কার্যকরি।

প্রশ্নঃ পায়ের পাতা গরম হয় কেন?
উত্তরঃ যদি প্রতিদিন মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে হাঁটাহাঁটি করেন তাহলে পায়ের পাতা গরম হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রশ্নঃ পা জ্বালাপোড়া করলে কি করতে হবে?
উত্তরঃ পা জ্বালাপোড়া করলে এর ঘরোয়া চিকিৎসাগুলো অনুসরন করতে পারেন। এতে করে আপনি বাড়িতে বসে থেকেই এর প্রতিকার পেতে পারেন।

লেখকের মন্তব্য

কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা ছিলো আজকে আমাদের এই পাঠের মূল বিষয়। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে উক্ত এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা বুঝতে পেরেছেন। এমন আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন ফ্রীতে পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পেপারস্পট২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url