কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়
নরমাল ঘুমের ঔষধের নাম ও দামপ্রিয় পাঠক, আপনি কি কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় সেই সম্পর্কে জানতে
চাচ্ছেন? তাহলে আপনি এখন সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা
কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি থেকে আপনি কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়, কোন
ভিটামিনের অভাবে শরীর শুকিয়ে যায়, শরীর দুর্বল হলে কি খেতে হয়, শরীরের ওজন কমে
গেলে করনীয় কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ
কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়
কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় এই সম্পর্কে আমরা প্রায় অনেকেই জানিনা।
আমাদের শরীর অনেক সময় অনেক বেশি দুর্বল মনে হয়। মূলত এমন দুর্বলতা মনে হয়ে
থাকে ভিটামিনের অভাবের কারণে। আপনি যদি জানেন কোন ভিটামিনের অভাবের জন্য আপনার
শরীর দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে আর যদি সেই ভিটামিনের যোগান দিতে পারেন তাহলে
আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
আমরা প্রতিদিন নিয়মিত খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে যে সকল ভিটামিন গ্রহণ করে থাকে
তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিনের নাম হলো ভিটামিন বি ১২। এই ভিটামিন
সহজে মানুষের শরীরে তৈরি হয় না।
তবে আপনি জানলে অবাক হবেন আপনার শরীরের রক্তের জন্য লাল রক্তকোষ এবং প্রয়োজন
ডিএনএ তৈরি ক্ষেত্রে এই ভিটামিন বি ১২ সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
থাকে। যদি একজন ব্যক্তির শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর অভাব হয়ে থাকে তাহলে তার যে সকল
সমস্যাগুলো হতে পারে সেগুলো হলো
- ভুলে যাওয়ার প্রবণতা
- শরীর অত্যাধিক দুর্বলতা
- হিঠাৎ করে মাথা ঘোরা
- দুশ্চিন্তা
- বিষণ্ণতা
এছাড়াও এর পাশাপাশি রক্তশূন্যতার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। যার জন্য একজন
মানুষ খুব সহজে দুর্বল হয়ে পড়ে। এছাড়াও যদি সে অল্প পরিমানে পরিশ্রম করে তাহলে
সে নিজেকে অনেক বেশি ক্লান্ত মনে করে। এছাড়া তার বুকের ভেতরে ধড়ফড় হয়ে থাকে।
এছাড়াও যদি একজন ব্যক্তির শরীরে অত্যাধিক পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ এর অভাব হয়
তাহলে তার শরীরের পাকস্থলীর সমস্যার ঝুঁকি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়ে যায়। যার জন্য
কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও যদি দীর্ঘ সময় ধরে ভিটামিন
বি ১২ এর অভাব হয়ে থাকে তাহলে একজন ব্যক্তির স্নায়বিক সমস্যার তৈরি হতে পারে।
যার জন্য সেই ব্যক্তির পক্ষে হাঁটাচলা করা এছাড়াও নিজের ভারসাম্য বজায় রাখা
অনেক বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। যেহেতু ভিটামিন বি ১২ তাহলে একটি পানিতে দ্রবণীয়
ভিটামিনের উপাদান, তাই এটি আমাদের শরীরের অতিরিক্ত প্রস্রাব এবং মন্ত্রীর সাহায্য
শরীর থেকে বাহিরে বের হয়ে যায়।
এছাড়াও আমাদের বয়সের তারতম্যের ভিত্তিতে এটির পরিমাণ কম বেশি হয়ে থাকে। যদি
আপনি দেখতে পান আপনার ঘরে অত্যাধিক পরিমাণে ক্লান্ত লাগছে এবং নিজেকে অনেক বেশি
দুর্বল মনে হচ্ছে তাহলে বুঝে নেবেন আপনার শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর অনেক বেশি ঘাটতি
রয়েছে।
আপনারা ইতিপূর্বে জেনে এসেছেন যদি ভিটামিন বি ১২ আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে
না প্রবেশ করে তাহলে আমাদের রক্ত কোষ গঠন হতে অসুবিধা হয়। যার জন্য একজন মানুষের
শরীরে অক্সিজেনের চলাচল স্বাভাবিক ভাবে করা সম্ভব হয় না।
আর এর জন্যই একজন মানুষের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া তার দৃষ্টি শক্তি
আস্তে আস্তে ঝাপসা হয়ে আসে। এই সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য আপনি অত্যাধিক পরিমাণে
খনিজ খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ করুন। কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় এই
সম্পর্কে কিছুটা আমরা এতোক্ষণ জানলাম।
খনিজ খাবার খাওয়ার কারণ হলো এই খনিজ খাবারের ভেতরে অনেক বেশি পরিমাণে ভিটামিন বি
পাওয়া যায়। এছাড়াও দুগ্ধ জাতীয় উপাদান অনেক বেশি পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। তার
পাশাপাশি আপনি চাইলেন নিম্নের দেখানো খাবারগুলো গ্রহণ করতে পারেন।
- দুধ
- ডিম
- টুনা মাছ
- ঢেকে থাকা চাউল
- বিভিন্ন ধরনের মাংস
- মাশরুম
- বিভিন্ন ধরনের গোটা শস্য
- স্যামন মাছ
- বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ডাল
- গরু অথবা ছাগলের কলিজা
যদি এই সকল খাবারগুলো নিয়মিত গ্রহণ করেন তাহলে আপনার শরীরের প্রতিদিন পর্যাপ্ত
পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ প্রবেশ করবে। যার ফলে আপনি এই ধরনের দুর্বলতা থেকে মুক্তি
পেয়ে যাবেন। আশা করছি আপনাকে এই বিষয়ে বিস্তারিত সক্ষম হয়েছি।
কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর শুকিয়ে যায়
কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় সেই সম্পর্কে তো আমরা জানলাম। এখন অনেকেই
প্রশ্ন করে থাকেন কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর শুকিয়ে যায় সেই সম্পর্কে জানার
জন্য। তবে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও অনেকেই সঠিক প্রশ্নের উত্তরটি খুঁজে পান না।
তাই আপনি যদি এমন খোঁজাখুঁজি করে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আশা করছি এখানে আপনার প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি জানতে পেরে যাবেন।
একজন স্বাভাবিক মানুষের শরীর সুস্থ রাখার জন্য সবথেকে বেশি প্রয়োজন সেটি হল
ভিটামিন। তার পাশাপাশি রয়েছে পুষ্টি এবং খনিজ জাতীয় উপাদান। যদি আপনি সুস্থ
থাকেন আর যদি আপনি এমন ধরনের খাবার নিয়মিত গ্রহণ না করেন তাহলে আপনার শরীরে
বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা বাসা বেধে বসবে।
তাই সুস্থ থাকা অবস্থায়ই আপনাকে এই ধরনের খাবার গ্রহণ করা উচিত হবে। আমাদের
মধ্যে যাদের শরীর শুকিয়ে যায় তাদের ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি যে ভিটামিনের অভাবটি
দেখা দেয় সেটি হল ভিটামিন সি। আর এই ভিটামিন সি এর অভাবেই শরীর খুব দ্রুত শুকিয়ে
যেতে শুরু করে।
এর কারণ হলো ভিটামিন সি আমাদের শরীরের জন্য হারের গঠন ঠিক রাখার ক্ষেত্রে এবং
হাড়ের সকল প্রকারের ক্ষত নিরাময় করার জন্য সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে থাকে। যদি একজন মানুষের শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব হয়ে থাকে তাহলে তার
শরীরে খুব স্বভাবতই হাড়ের ক্ষয় হতে শুরু করবে।
তবে যেমনভাবে হাড়ের ক্ষয় হবে যেমন ভাবে হাড়ের আর গঠন হবে না। যদি এমন ভাবে
আপনার হারের ক্ষয় হতে শুরু করে তাহলে অবশ্যই আপনার শরীরের ওজন ধীরে ধীরে কমতে
শুরু করবে। এছাড়াও যদি আপনার শরীরে ভিটামিন সি এর অনেক বেশি পরিমাণে অভাব হয়
তাহলে আপনার পেট ব্যথা সহ শরীরের গিটেও ব্যথা হবে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায়
ভিটামিন সি এর অভাবের ফলে যে সকল লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায় সেগুলো নিম্নে উল্লেখ
করা হলো।
- শরীরের ওজন কমতে শুরু করে
- ত্বক এবং চুল আস্তে আস্তে শুষ্ক হতে শুরু করে
- শরীরের গিটে ব্যথা করে
- অল্প পরিশ্রম করার ফলে শরীর ক্লান্ত মনে হয়
- দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত ঝরার সমস্যাও দেখা দেয়
- শরীরের অনেকাংশে কালো দাগ পরে
- শরীর দুর্বলতা অনুভব হয়
- মন এবং মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়
- শরীরের শক্তি আস্তে আস্তে কমে আসে
- নিজের ভেতরে বিরক্তিকর ভাব প্রকাশ পায়
যদি আপনার শরীরের ভেতরে উপরের এই সকল লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায় তাহলে বুঝবেন আপনার
শরীরের ভিটামিন সি এর পর্যাপ্ত পরিমাণে অভাব রয়েছে। তাই এই অবস্থায় একজন তাদের
পরামর্শ গ্রহণ করুন। সকল ধরনের ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
তাহলে আস্তে আস্তে আপনার এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
শরীর দুর্বল হলে কি খেতে হয়
আমাদের কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় সেই সম্পর্কে আমরা এখন সকলেই জানি।
তবে আপনি যদি নিয়মিত শরীর দুর্বলতা কমানোর জন্য খাবার খান তাহলে আপনি এই সমস্যা
কাটিয়ে উঠবেন খুব সহজেই। তাই চলুন এখন এই পাঠের মধ্য থেকে আমরা জেনে নেই শরীর
দুর্বল হলে কি খেতে হয় সেই সম্পর্কে।
যদি আপনার শরীর অনেকটাই বেশি দুর্বল মনেহয় তাহলে নিম্নের দেখানো সকল খাবারের দিক
নির্দেশনা আপনার মেনে চলতে হবে। তাহলেই আপনি নিজেকে সুস্থ এবং সাবলম্বি করে গড়ে
তুলতে পারবেন। এবং এই সকল খাবারের প্রতি আপনাকে আরো বেশি মনোযোগ দিতে হবে।
সামুদ্রিক মাছঃ যদি আপনি দুর্বলতায় ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে
অনেক বেশি পরিমাণে সামুদ্রিক মাছ খেতে হবে। আর এটি আমাদের শরীরের জন্য
প্রত্যাবাসী ও একটি খাবার। যার ফলে আপনি খুব সহজে শরীরের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে
পারবেন।
এছাড়াও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার আপনাকে নিয়মিত খাওয়া উচিত। এর
পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছের তেল আপনাকে সকল প্রকারের মানসিক চাপ থেকে রক্ষা করবে।
আর সেজন্যই আপনার শরীরের হরমোন ধরনের মাত্রা ঠিক থাকবে।
ফাইবারযুক্ত খাবারঃ বর্তমান সময়ে আপনি যদি ফাইবার যুক্ত খাবার অনেক
বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকেন তাহলে এটি আপনাকে প্রতিদিনের সতেজতা দান করবে। তার
পাশাপাশি এটি আপনাকে প্রতিদিনের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করবে।
আর সেজন্যই বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি জাতীয় খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যোগ
করতে হবে। যদি আপনার নিয়মিত এই খাবারগুলো গ্রহণ করেন তাহলে আপনি আপনার সারাদিনের
সকল দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠে কাজ করার সঠিক শক্তি ফিরে পাবেন।
আরো পড়ুনঃ খালি পেটে রসুন খাওয়ার নিয়ম
ফার্মেন্টেড খাবারঃ যাদের শরীরের অত্যাধিক পরিমাণে দুর্বল তাদের এই
দুর্বলতা কাটানোর জন্য ফার্মেন্টেড খাবার খেতে চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
ফার্মেন্টেড খাবার বলতে সেই খাবার কে বোঝানো হয় যেই খাবার সঠিক উপায়ে ফাঁপানো
থাকে। এর পাশাপাশি আমাদের অবশ্যই খেতে হবে প্রো বায়োটিক খাবার।
আর এজন্য প্রতিদিনের খাবার তালিকায় আমাদেরকে এই সকল খাবার গুলো রাখতে হবে। এর
পাশাপাশি আপনি যখন দুপুরের খাবার খাবেন তখন খাবার খাওয়া শেষে এক বাটি টক দই
খেয়ে নিতে পারেন। এটি আপনার শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী হবে।
মাল্টি ভিটামিনঃ প্রতিদিনের দৈনন্দিন কাজের জন্য আমাদের মন ও মেজাজ
ভালো রাখার ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি প্রয়োজন উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মাল্টিভিটামিন।
যেটি আমাদের শরীরকে ফুরফুরা রাখতে এবং দুর্বলতা দূর করতে অনেক বেশি ভূমিকা পালন
করে।
তাই আপনি যদি আপনার সকল প্রকারের উদ্বেগ ও অস্থিরতা কাটিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন
যাপন করতে চান তাহলে অবশ্যই মাল্টিভিটামিন আপনাকে হওয়া উচিত। তবে এই ব্যাপারে
একদম চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করলে আরো অনেক বেশি ভালো হয়। তিনি প্রয়োজন হলে
আপনাকে এর সাপ্লিমেন্ট ও দিতে পারেন।
শরীরের ওজন কমে গেলে করনীয় কি
কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় সেই সম্পর্কে আমরা সকলে এখন জানি। তবে আপনার
শরীর যদি অনেকটাই কমে যায় তাহলে আপনার করণীয় কি হবে সেই সম্পর্কে আমরা এখন
জানবো। শরীরের ওজন কমে গেলে করনীয় বেশ কিছু রয়েছে।
যার মাধ্যমে আপনি আপনার শরীরকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারেন। তাহলে চলুন এখন
আমরা শরীরের ওজন কমে গেলে করনীয় কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত গুলো জেনে নেই।
ব্যায়ামঃ যদি আপনার শরীরে দেখতে পান অনেকটাই বেশি ওজন কমে গেছে
তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এতে করে আপনার শরীরে রক্ত চলাচল
সঠিকভাবে বৃদ্ধি পাবে। যার জন্য আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বিগুণ হারে
বৃদ্ধি পাবে। এতে করে আপনি নিজেকে অনেকটাই স্বাভাবিক এবং সুস্থ বোধ করবেন। যার
ফলে আস্তে আস্তে আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি শুরু করবে।
নিয়মিত শাকসবজি খানঃ যদি আপনি বুঝতে পারেন আপনার শরীরের ওজন কমে
যাচ্ছে তাহলে অবশ্যই আপনার উচিত হবে নিয়মিত টাটকা শাকসবজি খাওয়া। এর জন্য
অবশ্যই সবুজ শাকসবজি তো খাবেনি তার পাশাপাশি আবার চেষ্টা করবেন রঙিন শাকসবজি
খাওয়ার।
যদি আপনি নিয়মিত শাকসবজি খান তাহলে আপনার পাকস্থলী থেকে সকল ধরনের ক্যান্সার
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। যার জন্য আপনার শরীর কিছুটা ওজন বৃদ্ধি করবে।
পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুনঃ যদি আপনি নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ
না করেন তাহলে আপনার শরীর সঠিক পুষ্টি না পাওয়ার কারণে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে
বৃদ্ধি পাবে না। যার জন্য আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধ অনেক বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।
তাই এর জন্য অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার
গ্রহণ করতে হবে।
ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গ্রহণ করুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল
হয় এর আরো একটি ভিটামিনের নাম হলো এই ভিটামিন সি। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণের নিয়ে
আসার জন্য ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়ার কোন বিকল্প নেই।
যদি আপনি দেখেন আপনার শরীরের ওজন কমতে শুরু করেছে তখন অবশ্যই আপনাকে প্রতিদিন
নিয়মিত আপনাকে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। এর পাশাপাশি অবশ্যই
আপনাকে একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। তাহলে তিনি আপনাকে জানাবেন কিভাবে
ও কোন ধরনের ঔষধ এবং খাবার গ্রহণ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ মিল্ক শেক এর দাম কত টাকা
আঁশযুক্ত খাবার নিয়মিত গ্রহণ করুনঃ যদি আপনি বুঝতে পারেন আপনার
শরীরের ওজন হঠাৎ করে কোন থেকে শুরু করেছে তখন অবশ্যই নিয়মিত আঁশযুক্ত খাবার
গ্রহণ করতে হবে। এই সকল খাবারের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল এছাড়াও লাল
শাক, চাউলের আটা এবং বিভিন্ন ধরনের শস্য দানা। এগুলো যদি আপনি নিয়মিত খান তাহলে
আপনার পায়ুপথের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে এরা সহযোগিতা করবেন।
ডায়াবেটিসঃ যদি আপনি ডায়াবেটিস এর রোগী হয়ে থাকেন আর আপনি যদি
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেন তাহলে আপনার শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা কমে আসবে। তখন
আপনার শরীরের ওজন আর খুব একটা কমবে না। তাই যারা টাইপ টু এর ডায়াবেটিস রোগে
আক্রান্ত তাদের ওজন এমনিতেই অনেকটা বেশি থাকে। তাই আপনাদের ক্ষেত্রে আর বাড়তি
করে ওজন বৃদ্ধি করার প্রয়োজন নেই।
কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় সেই সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ সবচেয়ে ভালো ভিটামিনের নাম কি?
উত্তরঃ সবচেয়ে ভালো ভিটামিনের নাম হলো ভিটামিন বি। কারণ এই
ভিটামিনের অনেকগুলো প্রকারভেদ রয়েছে। সেগুলোর আলাদা আলাদা বিভিন্ন ধরণের কাজ
রয়েছে। তবে এই ভিটামিনটি অনেক বেশি ভালো হলেও এই ভিটামিনের কদর অনেকটাই কম।
ভিটামিন বি এর প্রকারভেদগুলো হলো
- ভিটামিন বি১ (থায়ামিন)
- ভিটামিন বি২ (রাইবোফ্লাবিন)
- ভিটামিন বি৩ (নায়াসিন)
- ভিটামিন বি ৫ (পেন্টোথেনিক এসিড)
- ভিটামিন বি৬ (পাইরিডক্সিন)
- ভিটামিন বি৭ (বায়োটিন)
- ভিটামিন বি৯ (ফোলেট)
- ভিটামিন বি ১২ (কোবালামিন)
প্রশ্নঃ কোন ভিটামিনের অভাবে ত্বক ও চুল শুষ্ক হয়?
উত্তরঃ ভিটামিন বি৭ (বায়োটিন) ভিটামিনের অভাবে মানুষের মাথার চুল ও
ত্বক শুষ্ক হয়ে উঠে।
প্রশ্নঃ ভিটামিন ডি এর অভাবে সুস্থ হতে কতদিন লাগে?
উত্তরঃ ভিটামিন ডি এর অভাবে সুস্থ হতে প্রায় ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত
সময়ের প্রয়োজন হয়।
প্রশ্নঃ শরীরে ভিটামিনের অভাব হলে কিভাবে বোঝা যায়?
উত্তরঃ শরীরে ভিটামিনের অভাব হলে বোঝার জন্য সবথেকে কার্যকরি
মাধ্যমগুলোর মধ্যে এলটি হলো রক্ত পরিক্ষা করার মাধ্যমে বোঝা।
প্রশ্নঃ শরীর দুর্বল হলে কোন ভিটামিন খেতে হবে?
উত্তরঃ শরীর দুর্বল হলে আপনার প্রথমেই উচিত হবে ভিটামিন ডি জাতীয়
খাবার খাওয়া। কারণ আমাদের শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব হয় তাহলে আমাদের শরীরের
মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পরে।
প্রশ্নঃ ওজন কমে গেলে কি কি সমস্যা হয়?
উত্তরঃ শরীরের ওজন যদি কমে যায় তাহলে সবার প্রথমেই যেই সমস্যা প্রকাশ
পায় সেটি হলো পেশী অবক্ষয়ের কারণে শরীর দুর্বলতা। এছাড়াও বমি ভাব এবং পেটের
অতিরিক্ত ব্যাথা হতে পারে।
শেষ কথা
কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় সেই সম্পর্কে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে
আমরা বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়ার মাধ্যমে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন।
যদি আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার
মাধ্যমে তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিতে পারেন। এমন আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল
প্রতিদিন পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
পেপারস্পট২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url