ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম ও সঠিক পদ্ধতি
মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়মপ্রিয় পাঠক, আপনি ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম জানেন কি? অথবা আপনি ঈদুল ফিতরের
নামাজের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন কি? যদি না জেনে থাকেন তাহলে সম্পূর্ণ
পোস্টটি আপনার জন্যই। কারণ এখানে আমরা ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই জানার জন্য শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি থেকে আপনি ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত আরবিতে, ঈদের
নামাজ কি ওয়াজিব, ঈদের নামাজের দোয়া কি এবং ঈদের নামাজ কয় রাকাত সেই সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম ও সঠিক পদ্ধতি
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমে বলতে হয় ঈদের নামাজ অন্য
কোন নামাজের মত নয়। যেমন ধরুন ঈদুল ফিতরের ঈদের প্রথম দুই রাকাত নামাজের কোন
প্রকার ইকামত বা আজান নেই। তবে এই নামাজের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ছয় থাকবে সহকারে
নামাজ আদায় করতে হয়। আর এই নামাজ আদায়ের রয়েছে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম। নিম্নে
আপনাদের সাথে এই বিষয়েই বিস্তারিত তুলে ধরবো।
প্রথম নিয়মঃ প্রথমে অন্যান্য সকল নামাজের মতই জায়নামাজে দাঁড়িয়ে
তাকবীরে তাহরীমা বলে হাত বাঁধতে হবে। আর তাকবীরে তাহরীমা বলার জন্য বলতে হয়
"আল্লাহু আকবার।" এভাবে তাকবীরে তাহরীমা বাধার পরে ছানা পাঠ করতে হবে।
নিয়ম-০২ঃ ছানা পাঠ করার পরে ইমাম সাহেব অতিরিক্ত তিনটি তাকবির বলবেন। এই
তিন তাকবীরের প্রথম দুই তাকবীর কানের লতি পর্যন্ত হাত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। এবং
তৃতীয় তাকবীরে কানের লতি পর্যন্ত হাত উঠিয়ে হাত নামিয়ে বেঁধে ফেলতে হবে।
নিয়ম-০৩ঃ এরপর ইমাম সাহেব বিসমিল্লাহর সহিত সূরা ফাতিহা পড়বেন। তারপর এর
সাথে কোরআন শরীফের যে কোন তিন আয়াত অথবা অন্য কোন সূরা মিলাবেন।
নিয়ম-০৪ঃ স্বাভাবিক নামাজের মতই ঈদুল ফিতরের নামাজেও সূরা ফাতিহার সাথে
অন্য সূরা পাঠ শেষে প্রথমে রুকু তারপরে সিজদা করতে হবে। এভাবে প্রথম রাকাত শেষ
হবে।
নিয়ম-০৫ঃ দ্বিতীয় রাকাত শুরুতে ইমাম সাহেব প্রথমে সূরা ফাতিহা তারপরে
অন্য কোন সূরা পাঠ করবেন। একই কিরাত পাট শেষে ইমাম সাহেব অতিরিক্ত তিন তাকবীর
বলবেন। এই অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর এই হাত কানের লতি পর্যন্ত উঠিয়ে আবার ছেড়ে
দিতে হবে। এরপর যখন চার নম্বর তাকবীর বলবেন তখন কানের লতি পর্যন্ত হাত তুলে
তাকবীর শেষ করে আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে চলে যেতে হবে।
নিয়ম-০৬ঃ ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম এ এভাবেই রুকু-সিজদা করার পরে অন্যান্য সকল নামাজের মতই বৈঠকে বসে নামাজ আদায় শেষ
করতে হবে। এই সময় বৈঠকে বসে প্রথমে তাশাহুদ, তারপরে দরুদ এরপরে দোয়া মাছুরা
পড়ে সালাম ফিরিয়ে ঈদের দ্বিতীয় রাকাত নামাজ শেষ করতে হবে।
নিয়ম-০৭ঃ এভাবে ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষ হওয়ার পরে ইমাম সাহেব মেম্বারে
উঠবেন। তারপরে তিনি প্রথমে খুতবা দিবেন। আর ইমামের এই খুতবা শোনার সময় নামাজের
সূরতে বসে খুতবা মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। ইমাম সাহেব যখন খুতবা দিবেন তখন অন্য
কোন প্রকার কথা বলা অথবা অন্য কোন কাজে ব্যস্ত হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
নিয়ম-০৮ঃ ইমামের খুতবা শেষ হওয়ার পরে সকলেই ঈদগা মাঠ ত্যাগ করবেন। আর
এভাবেই আপনার ঈদের নামাজ শেষ হবে।
রমজান মাসের ৩০ রোজা অথবা ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার পরবর্তী সময়ে প্রথম কাজই হচ্ছে
আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া প্রদান করার মাধ্যমে তাকবীরে পড়া। আর এটিকেই প্রথমত
ঈদের প্রথম কাজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে কোরআনের তাকবীর
করার নির্দেশ যেভাবে দিয়েছেন সেইভাবে পাঠ করা উচিত। আর সেই তাকবিরটি হলো
"আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু
আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।"
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত আরবিতে
আমরা তো সকলেই ইতিপূর্বে ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম ও সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে
পারলাম। তবে অনেকেই ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত আরবিতে জানতে চান। কিন্তু অনেক
খোঁজাখুঁজি করেও জানতে পারেন না। চলুন তাহলে এই পাঠের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক।
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত আরবিতেঃ ‘নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি
তাআলা রাকাআতা সালাতিল ঈদিল ফিতরি মাসা সিত্তাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তা-আলা
ইকতাদাইতু বিহাজাল ইমাম, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি ‘আল্লাহু
আকবার’।’
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত বাংলাঃ আমি এই ইমামের পেছনে কেবলামুখী হইয়া
অতিরিক্ত ছয় তাকবিরের সহিত ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজের নিয়ত করছি।
"আল্লাহু আকবার"
উপরের আলোচিত ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত আরবিতে এবং বাংলাতে করা হয়েছে। তবে এখানে
একটি কথা না বললেই নয়। আপনি যখন বাড়ি থেকে ঈদুল ভেতরের নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে
বের হবেন সেটাই হলো আপনার নামাজের নিয়ত। এখানে আপনাকে নামাজে দাঁড়িয়ে যে
অতিরিক্ত করে নামাজের নিয়ত করতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে আপনি করলে
ভালো, না করলেও সমস্যা নেই।
ঈদের নামাজ কি ওয়াজিব
আমরা মুসলিম হিসেবে রমজান মাসে সম্পূর্ণ এক মাস রোজা রাখার পরে ঈদুল ফিতরের দিন
আমাদের কাছে অনেক আনন্দের একটি দিন। আর আমরা বছরের মাত্র দুটি ঈদ পাই। আর এই দুটি
ঈদে নামাজ পড়তে হয়। তবে অনেক মুসল্লিরাই রয়েছেন যিনারা নামাজের তাকবীরে হাত
উঠানো নামানোর বিষয়টি নিয়ে সঠিকভাবে ঠিক করতে পারেন না। যার কারণে তারা ইমাম
সাহেবের সাথে নামাজের সময় তাকবীরে ভুল করেন।
আর এই বিষয় নিয়ে আমরা ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম ও সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে এই
পাঠের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তবে আপনি যদি ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের
নিয়ম জেনে একটু সতর্কভাবে নামাজ আদায় করেন তাহলে এই নামাজ ভুল হওয়ার কোন কথা
না। তবে একটি কাজ ঈদের দিনে না করলেই নয় সেটি হল ঈদের দিন সকাল-সকাল গোসল করে,
পরিষ্কার জামা কাপড় পরিধান করে ঈদগাহে যেতে হবে।
আর ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে আমাদেরকে শরীরে সুগন্ধি মাখতে হবে। আর এটি হলো একটি
উত্তম কাজ। ঈদুল ফিতরের নামাজের জন্য ঈদগাহ ময়দানে যাওয়ার সময় তাকবির বলতে
বলতে যেতে হবে। আর এই বিষয়ে আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আর সেই
তাকবীর হল "আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার
আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।"
ঈদুল ফিতরের ঈদের যে দুই রাকাত নামাজ এই দুই রাকাত নামাজ হলে একটি ওয়াজিব নামাজ।
এই নামাজের জন্য অতিরিক্ত কোন আজান অথবা ইকামত নেই। যে সকল ব্যক্তিগণের উপর জুমার
নামাজ ওয়াজিব হয়েছে সেই সকল ব্যক্তিগণের উপরে ঈদের নামাজে ওয়াজিব। তবে ঈদের
নামাজ বাড়িতে না পড়ে ঈদের ময়দানে পড়া সব থেকে বেশি উত্তম। আর যারা সৌদি আরবে
মক্কা বাসি রয়েছেন তাদের জন্য "মসজিদুল হারামে" নামাজ আদায় করা সব থেকে বেশি
উত্তম।
তবে যে সকল ব্যক্তিগণ শহরে থাকেন যাদের ক্ষেত্রে ঈদের ময়দানে যাওয়া সম্ভব হয়ে
ওঠে না তাদের জন্য ঈদের নামাজ মসজিদে পড়া জায়েজ রয়েছে। (বুখারি : ১/১৩১)
হাদিসের মাধ্যমে জানা গিয়েছে সূর্য যখন উদয় হয় তখন থেকে এক বর্ষা অর্থাৎ অর্ধ
হাত পর্যন্ত উঁচু হওয়ার পর থেকে শুরু হয়ে সূর্যের দ্বিপ্রহর পর্যন্ত যতক্ষণ
বাকি থাকে ততক্ষণ নামাজ আদায় করা যায়। তবে ঈদুল ফিতরের নামাজ একটু দেরিতে পড়া
সুন্নত। যাতে করে এই ঈদুল ফিতরের নামাজের পূর্বে বেশি বেশি করে সদকাতুল ফিতর
আদায় হয়ে যায়। (ফাতহুল কাদির : ২/৭৩, আল মুগনি : ২/১১৭)
ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত না পেলে করণীয় কি
অনেকেই আছেন যারা ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম জানার পরে ঈদের নামাজ পড়ার জন্য বাড়ি
থেকে বের হন। কিন্তু কিছু ব্যাস্ততার কারণে নামাজের জন্য দেরি হয়ে যায়। যদি আপনার
ঈদের নামাজের জন্য দেরি হয়ে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কি সেই সম্পর্কে
চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ব্যাস্ততার কারণে যাদের ঈদের নামাজের দেরি হয়ে যায় তাদের প্রথমেই উচিত আশেপাশেই
কোথাও খোজ নেওয়া পরবর্তি সময়ে কোথাও ঈদের জামাত রয়েছে কিনা। খোজ নিয়ে অন্য কোথাও
ঈদের নামাজের জন্য শরীক হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তবে চনেক চেষ্টা করার পরেও যদি
আপনার নামাজ ছুটেই যায় তাহলে চিন্তার কোন কারণ নে। কারণ ঈদের নামাজ হলো একটি
ওয়াজিব নামাজ।
এই নামাজ কোন ফরজ নামায় নয় যে আপনাকে পালন করতেই হবে। এই নামাজের কোন কাজা নেই।
তবে আপনার যদি ঈদের নামাজ ছুটেই যায় তাহলে চার রাকাত এশরাকের নফল নামাজ আদায় করেই
নিলেই হবে। তবে এখানে ঈদের নামাজের যে অতিরিক্ত ছয় তাকবির রয়েছে সেটি বলবেন না।
(ফাতাওয়া শামি : ১/৫৬১)
ঈদের নামাজের দোয়া
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম নিয়ম জানার পরে অনেকেই জানতে চান ঈদের নামাজের দোয়া
কিভাবে করব। অথবা ঈদের নামাজের পরে কোন দোয়াটাই বা করব। আপনি যদি এমন বিধাতনের
স্বীকার হয়ে থাকেন তাহলে চলুন এই পাঠের মাধ্যমে আমরা জেনে নেই ঈদের নামাজের
দোয়া সম্পর্কে।
রমজান মাসের ৩০ দিন রোজা রাখার পরে ঈদের নামাজ হল একজন মুসলিম ব্যক্তির জন্য
আনন্দের দিন এবং আনন্দের নামাজ। আর এই নামাজ শেষে আপনি সৃষ্টিকর্তার কাছে সকলের
মঙ্গলের জন্য দোয়া করতে পারেন। এবং আপনার মনের যত চাহিদা রয়েছে সেগুলো আপনি
সৃষ্টিকর্তার কাছে চাইতে পারেন।
তবে ঈদের দিনে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ঈদের দিনে সকলকে
সকলের বাড়িতে খোঁজ খবর নিতে। সকলে ভালো রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে জানতে। আর হ্যাঁ
ঈদের নামাজের পূর্বে অবশ্যই আপনাকে আপনার সম্পদের নির্ধারিত পরিমাণ যাকাত দিতে
হবে। যাতে করে অন্য সকল গরীবরাও যাকাতের অর্থ পাওয়ার মাধ্যমে তাদের ঈদ ভালোভাবে
উদযাপন করতে পারে।
ঈদুল ফিতর নামাজের সুন্নাত কাজ
আমরা তো সকলেই ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম ও সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানলাম। তবে
আপনি জানেন কি ঈদুল ফিতর নামাজের কিছু সুন্নাত কাজ রয়েছে। আর এগুলো পালন করা একজন
মুসলীম ব্যাক্তি হিসেবে আপনার উত্তম। চলুন তাহলে জেনে নেই কোন কোন সুন্নাত
কাজগুলো ঈদের দিনে করতে হবে।
- খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে
- প্রথমে মিসওয়াক করতে হবে এরপরে গোসল করতে হবে
- পরিষ্কার পোষাক পরিধান করতে হবে
- চোখে সুরমা লাগাতে হবে
- সুগন্ধি ব্যাবহার করতে হবে
- মিষ্টি কোন কিছু খাবার খেয়ে তারপরে ঈদমাঠে যেতে হবে
- ঈদগাহ মাঠে যাওয়ার সময়ে তাকবীর বলতে বলতে যেতে হবে
- ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের পূর্বে সদকায়ে ফিতর আদায় করতে হবে
উপরের উল্লিখিত এই সকল সুন্নাত কাজগুলোই হলো ঈদুল ফিতর নামাজের সুন্নাত কাজ।
যেগুলো কাজ আমাদের প্রীয় নবী করছেন অথবা করারা জন্য তার উম্মতদের আদেশ করেছেন
সেগুলোই হলো সুন্নাত কাজ। এগুলো পালন করলে অনেক সওয়াব পাওয়া যাবে। তাই আমরা
চেষ্টা করবো এই সকল সুন্নাত কাজগুলো সঠিকভাবে পালন করার। আশা করছি আপনি এই
সম্পর্কে এখন বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন।
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত কি?
উত্তরঃ ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত আরবিতেঃ ‘নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া
লিল্লাহি তাআলা রাকাআতা সালাতিল ঈদিল ফিতরি মাসা সিত্তাতি তাকবীরাতি
ওয়াজিবুল্লাহি তা-আলা ইকতাদাইতু বিহাজাল ইমাম, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল
কাবাতিশ শারিফাতি ‘আল্লাহু আকবার’।
প্রশ্নঃ ঈদুল ফিতর এর নামাজ কত রাকাত?
উত্তরঃ ঈদুল ফিতর এর নামাজ হলো ২ রাকাত। আর এই দুই রাকাত ঈদুল ফিতর এর
নামাজ হলো ওয়াজিব নামাজ।
প্রশ্নঃ ঈদুল ফিতরের নামাজ কত তাকবীর?
উত্তরঃ ঈদুল ফিতরের নামাজ অতিরিক্ত ৬ তাকবীরের সাথে পড়তে হয়।
প্রশ্নঃ ঈদের নামাজ কোথায় আদায় করা উত্তম?
উত্তরঃ ঈদের নামাজ ঈদগাহ ময়দানে আদায় করা উত্তম। তবে কোন কারণ বশত না হলে
অবশ্যই মসজিদে আদায় করা উত্তম।
প্রশ্নঃ ঈদ কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ ঈদ দুই প্রকার। সেগুলো হলো
- ঈদ-উল-ফিতর
- ঈদ-উল-আযহা
শেষ কথা
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম ও সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে আজকের এই পাঠে আমরা বিস্তারিত
আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি এই বিষয়ে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। যদি আপনার কাছে
আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন
না। এমন আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
পেপারস্পট২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url